পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরকাল । ৪১৫ সংখ্যক পত্রিকাল ১৭০ পৃষ্ঠাব পর । মন্বয্যের আদিম অবস্থাতে যখন তাছাদের বুদ্ধিশক্তি নিতান্ত তরুণ ও জ্ঞানসীম। অত্যন্ত সঙ্কীণ সেই সময়েই আত্মা সম্বন্ধায় মূল-ভাব সকল মনুষ্য হৃদয়ে স্বভাবতঃ উদয় ভয় । অামাদের আদিম জ্ঞান সকল উপলক্ষ পাইলেই উদয় হইয়। থাকে, অতএব আত্মা সম্বন্ধীয় মূলভাব সকল মে উপলক্ষ পাইয়া অতি প্রথমেই মানব হৃদয়ে উদ্যা হইবে, ইহা স্বাভাবিকই বটে । কারণ মত্স্য ঘথম চিন্তা করিতে সক্ষম হয়, ജ് هي f= జ

ॐ c'],

حي * তত্ত্ববোধিনী পত্রিক তখন সে সে নিজেই তাহার চিন্তার প্রথম ; বিষয় হইবে, তাঁহাতে আর জিজ্ঞাসার কি আছে ; মিতান্ত অস্পষ্ট ভাবে হইলেও তাত্মবোধই তাহার প্রথম চিন্তার ফল । যাহু। হউক মনুমোর আত্ম-বোধ প্রবুদ্ধ হইলে পর ইতস্ততঃ বিশাল গরিবর্তন সকল নিয়ত প্রত্যক্ষণ পাইয় তাহার চিন্ত আত্মপরিণাম অলধারণে নিযোজিত يعصب" উপলক্ষ পাইয়া হয়, এবং তাহার ব্যাকুল জিজ্ঞাসার এই | উত্তর সে নিজ আত্মার নিকট হইতেই প্রাপ্ত হয় যে সে জড়ের ন্যায় বদ্ধ পদার্থ নহে । সে ইচ্ছা শক্তি অমর। কোন যুক্তি অবলম্বন করিয়া তাহাকে এই তত্ত্বে উপনীত হইতে হয় না। প্রশ্ন তাহীর মনে উদয় হইলেই সে এই উত্তর স্বতঃ প্রাপ্ত হয় । যেমন চক্ষু উন্মীলন করিলেই আলোক চক্ষুকে স্পর্শ করে ; বিজ্ঞানের উদয়ে এই সত্যও তেমনি আসিয়া তাহার আত্মাকে স্পর্শ করে। মে শক্তি দ্বারা আত্ম। এই সহজ সত্য সকল গ্রহণ করে তাছাকে আত্ম প্রত্যয় বলা যায় । আত্ম প্রত্যয় দ্বারা আমর কেবল এই মাত্র জানি যে, মৃত্যুতে মানব আত্মা এক কালে ধ্বংশ হয় না । ১• কল্প ১ ভাগ কিন্তু আত্মপ্রত্যয় বলিয়া দেয় না যে মৃত্যুর পর আত্মার কি গতি হইবে । অথচ আবার মানব মনের স্বভাব এই যে সে অসম্পূর্ণ জ্ঞানে সন্তুষ্ট থাকিতে পারে না । সমগ্র তত্ত্ব আয়ত্ত করিব এই উচ্চ অাশয়ে সে নিয়ত কওয়িত হইতে থাকে । অতএব সে স্বাভাবিক উপায়ে কোন তত্ত্ব আংশিক অবগত হইলে কল্পনীবলে সে যথাসাধ্য আপন অভিরুচি অনুসারে তাহার পূরণ করিয়! লয়। এই জন্য মলুস্যের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় এই স্তযোগ পাইয়া যানব মনে অনেক গুলি স্বাভাবিক কুসংস্কার লব্ধ-প্রবেশ হইয়াছে । তত্ত্বং সেই সেই অবস্থার এক প্রকার অনিবাৰ্য্য ফল । ভূতে বিশ্বাস এইরূপ স্বাভাবিক কুসংস্কার সকলের অন্যতম । কিন্তু আমাদের নিরবলম্ব আত্ম প্রতীয় সকলকে এয়াপ কুসংস্কার বলা যাহতে পারে না । তাহার। কেবল সৰ্ব্বহৃদয়াধিষ্ঠিত বিশ্বজনীন মহে, তাহার। অবশ্য-বিশ্বসনীয় এবং একেবারে অত্যজা । যে হেতু তাহারা আত্মার সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষণের অমোঘ ফল । কোন কোন তীক্ষ্ণধী দার্শনিকগণ আমাদের জ্ঞানসমষ্টিকে অর্জিত, শিক্ষিত বা অভ্যস্ত বলিয়া প্রতিপন্ন করিবার জন্য মূল আত্মপ্রত্যয সকলকে স্বাভাবিক কুসং স্কার বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন। অনেকের পক্ষে ভঁাহাদের এই মহান অনর্থকর চেষ্টা নিতান্ত ব্যর্থ হয় নাই। অপরিপক্বুদ্ধি অনেক যুবকের তাহদের যুক্তি সকলকে যারবান জ্ঞান করিয়া ধৰ্ম্মরাজ্যে বিযম বিপ্লব উপস্থিত করিয়াছেন । বস্তুতঃ আমাদিগের আত্মপ্রত্যয়-মূলক আদিম জ্ঞান সকলের সহিত অর্জিত সংস্কার সকল এত বিবিধ প্রকারে আসিয়া মিশিয়াছে যে, তন্মধ্য হইতে সেই মূল জ্ঞান সকল নির্বাচন করিয়া লওয়৷