পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وهي الأميethanة ষ্যতের সহিত আদৌ তুলনীয়ই হয় না। আবার কেবল পরিমাণ লইয়াই উহা মহান নহে, উহার প্রকার আরো মহত্তর । এই ভবিষ্যতের গর্ভেই বিশ্বাসীদিগের শাশ্বত মুখ নিহিত রহিয়াছে; সেই সুখের প্রত্যা পরকাল শায় তাহার শোক-তাপ-পূর্ণ এই মর্ত্য লো- ৷ কের অশেষ ক্লেশ-পরম্পরা প্রফুল্ল ও অপরাজিত চিত্তে বহন করিয়া থাকেন । সত্য বলিতে কি, মানব জীবন যে কী | লাংশ টুকু অঙ্কিত করিয়া যায়, তাহ দুঃখে- । রই আলেখ্য । তাঁহাতে কদাচিৎ শুভ যোগ ক্রমে যদি কিছু সুখভোগ প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহা সহস্ৰগুণ অধিকতর যন্ত্রণ " (&ペ) মিটিল না ; ভক্তি আছে, কিন্তু তাহার উদ্রেক মাত্রেই তাহ ধূলিময় দেহের সহিত ধূলিতে মিশাইয়া গেল । তাহার জীবন্ত স্বাধীন আত্মা রহিয়াছে, কিন্তু সে সবে মাত্র যেই স্বাধীনতার সুস্বাদ বুঝিতে পারিল, আধ্যাত্মিক উন্নতির মহান ভাব সকল উপলব্ধি করিতে সক্ষম হইল অমনি নিপাত ! একবারেই বিনাশ ! "মহতী বিনষ্টিঃ ” !! তাহার তেজস্বিনী কল্পনা—স্মৰ্ত্তিমতী আশ। অচিরাৎ এককালে নিৰ্ব্বাণ হইবার জন্যই প্রজ্বলিত হয় । এতাদৃশী চিন্ত সকল অবিশ্বাসীদিগের তাপিত হৃদয়ে অল্প যন্ত্রণাদায়ক ও ক্লেশ নিপীড়ন করিয়া নিঃসারণ করিতে । হয়, কয়েক বিন্দু মধুর রসের জন্য শুকাবরণ কঠিন ইক্ষুদণ্ড পেষণ করিতে হয় । এবং এই দুঃখময় সংসারে ভয়াল প্রতিকূলতা সকলও দণ্ডে দণ্ডে মানব জীবনের গতি রোধ করিতেছে । প্রত্যুত পরকালের সহিত বিচ্ছিন্ন করিয়| দেখ, মানব জীবন দুঃসহ যন্ত্রণাময় বলিয়া প্রতীত হয় ; মনুষ্যকে অনন্তত্বের অধিকার হইতে বিচ্যুত কর, তাহার তুল্য অতি দীন কৃপাপাত্র জীব- | বিপুল । রাজ্যে আর দ্বিতীয় পাইবে না। প্রভাবশালী মনোবৃত্তি সকল তাহার অাছে সত্য, কিন্তু যদি বিরত শ্বাসক্রিয়ার সহিত তাহার আত্মার শেষ হয়, তাহা হইলে তাহার তৎসমূহ চরিতার্থ করিবার অবসর থাকিতেছে না"। "চারি দিনের জীবন” লইয়া সে তাহার অনন্ত আশা, উন্নত অভিলাষ, অপ্রতিহত-প্রভাব চিত্তবৃত্তি সকলকে চরিতীর্থ করিতে পারবে, ইহা কি কখনই সম্ভব হইতে পারে । অতএব,তাহার সেই উৎকৃষ্ট মনোবৃত্তি সকলই তাহার অশেষ ক্লেশের কারণ হইয় উঠে । তাছার প্রীতিস্বত্তি রহিয়াছে, প্রীতি করিয়া তাহার সাধ জ্ঞান করে ? নহে । লোকে কেন তবে, ইচ্ছা পূর্বক এরূপ যন্ত্রণাদায়ক সংশয়কে মনে স্থান প্রদান করে ? সুভদ পারলৌকিক বিশ্বাসকে অলীক তাত্মিীর অমরত্ব ও পরকাল বিষয়ক যুক্তি সকল তাহদের মনে প্রতীতিজনক না হউক্ দেহাবসানে তায় একেবারে বিনষ্ট হইবে, ইহাই কেন তাহার নিশ্চয় করিয়৷ বলিতে পারেন ? আমিরা এখন যেমন বর্তমান রহিয়াছি, অনন্ত উত্তর কালে সেরূপ যে থাকিব না, কেন ? স্বাধীনশক্তি আত্মীকে ধ্বংশ করিতে পারে, জগতে এমন কি শক্তি কে প্রত্যক্ষ করিয়াছে ? মৃত্যু নিজে শক্তি নহে, উহা একটা ঘটনা মাত্র । উহা বরং শক্তির বিরতি-ভাব । প্রত্যুত আত্মার নশ্বরত্ব বিষয়ে শুদ্ধ সংশয় ব্যতীত এতাবৎ কেহ কোন যৌক্তিক প্রমাণ প্রদর্শন করিতে পারেন নাই ৷ পক্ষান্তরে ইহাও যদি স্বীকার করা যায় যে, আত্মার অমরত্ব বিষয়েও কোন ন্যায়সঙ্গত প্রমাণ নাই, তাহা হইলে এরূপ সংশয়স্থলে কোন পক্ষ অবলম্বন করা স্ববুদ্ধির কার্য্য হয় ? এক পক্ষে নৈরাশ্য, বিষাদ ও চিত্তবৈরব্য, অপর পক্ষে অনন্ত আশা, অপার