পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@あア সন্তুতিকে যে বিপদস্থ করিতে পারেন আমরা তাহা বুঝি না, ফলত আমরা এ কথায় আস্থা প্রদর্শন করিতে পারিলাম না । এক হয় আদি ব্রাহ্মসমাজের ন্যায় বিবাহ-কার্য্যে প্রচলিত দেশীয় প্রণালীর পৌত্তলিক অংশ ত্যাগ করিয়া চল, না হয় রেজেষ্টরি করাইয়া বিবাহ সিদ্ধ করিয়া লও; এই দুইটি পথ ভিন্ন ব্রাহ্মসমাজের আর যে কোন পথ আছে আমরা ত তাহ দেখিতেছি না । মাঝামাঝি ত্রিশঙ্কর স্বৰ্গ প্রস্তুত করা বিষম বিপদেরই কারণ বলিয়া বোধ হয় । আমরা রেজেষ্টরি বিবাহে নিরীশ্বর উপাধি দিয়াছি । প্রতিবাদ-স্থলে তত্ত্বকৌমুদী কহিয়াছেন যে ঈশ্বরের উপাসনা করিয়া যে কাৰ্য্য কৃত হয় তাহাতে নিরীশ্বর উপাধি কিরূপে সম্ভাবতে পারে । তামরা ও স্বীকার করি যে মুখ্যত ঈশ্বরের উপাসনা করিয়া যে কাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হয় তাহাতে নিরীশ্বর উপাধি সম্ভাবতে পারে না। কিন্তু এস্থলে একটা জিজ্ঞাস্য উপস্থিত হইল । সমাজ বিবাহ কালে ঈশ্বরের উপাসনা ও রেজেষ্টরি দুইটা রক্ষা করিতেছেন, কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে মুখ্যই বা কে গৌণই বা কে ? ঈশ্বরোপাসনা না রেজেক্টরি ? ষেটি না হইলে কার্য অসিদ্ধ হয় অবশ্য তাহাই মুখ্য এবং ষান্ত না হইলে ৪ কার্য্য অসিদ্ধ হয় না অবশ্য তাহাই গৌণ, কিন্তু দেখা যাইতেছে ঈশ্বরের উপাসনা করিয়াও এক রেজেস্টরী র্যতীত বিবাহ সিদ্ধ হইতেছে না, দম্পতী ঈশ্বরকে সাক্ষী করিয়া পরস্পর বিবাহ-সুত্রে বদ্ধ ছইলেন বটে কিন্তু কেবল রেজেষ্টরি না হওয়াতে তাহীদের সন্তানসন্ততি দায়াধিকারে এককালে বঞ্চিত হইলেন । এস্থলে বিবাহে রেজেক্টরিকেই অবশ্য মুখ্য বলিব। কিন্তু আবার দেখিতেছি ঈশ্বরকে সাক্ষী করি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা সাধারণ ! | זיזש י הקי "ג লাম না এবং অন্যান্য অঙ্গ রক্ষা করিয়া বিবাহ রেঞ্জেষ্টরি করাইয়া লইলাম, সে স্থলে বিবাহ অবশ্যই সিদ্ধ হইল । কারণ আমি মুখ্য অঙ্গ যে রেজেষ্টরি, যাচ্ছ না হইলে বিবাহ আদৌ সিদ্ধই হইবে না, তাহ করাইয়াছি, সুতরাং এস্থলে উপাসনা বা ঈশ্বরের সাক্ষিতা অবশ্যই গৌণ। অতএব ব্যবস্থা যখন এইরূপ দাড়াইল তখন আমরা কিরূপে স্বীকার করিব যে সাধারণ সমাজের বিবাহ সেশ্বর । আমাদের বিশ্বাস এই যে ঈশ্বরের হস্তের উপর অন্য হস্ত নাই, ঈশ্বরের নিয়মের উপর অন্য নিয়ম নাই, কিন্তু এখানে দেখিতেছি ঈশ্বরের হস্ত ও নিয়ম সমস্তই পরাস্ত । তত্ত্বকৌমুদী বিবাহ রেজেষ্টরি করাইবার যে কোন উদ্দেশাই দেখান না কিন্তু আমরা বলিব যে ঈশ্বরের সাক্ষিত সত্তে ও যখন রেজেক্টরির অভাবে বিবাছ অসিদ্ধ হইল, অর্থাৎ ঈশ্বরের সমক্ষে পরিণীত দম্পতীর সন্তানসন্ততি কেবল রেক্তেষ্টরি না হওয়াতে দায়াধিকারে বঞ্চিত হইল তখন তাহদের বিবাহে রেজেষ্টরীই মুখ্য, ঈশ্বরোপাসনা গৌণ, এই জন্যই আমরা এই বিবাহে নিরীশ্বর উপাধি দিয়াছি । আরও একটি কথা আছে। রেজেষ্টরি সাধারণ সমাজের বিবাহ-সম্পাদক একটী বিশেষ অঙ্গ। হিন্দুরীতিতে সম্প্রদান পাণিগ্রহণ প্রভৃতি না হইলে যেমন বিবাহ,সিদ্ধ হয় না, এই গুলি যেমন হিন্দু-বিবাহের প্রণালীভুক্ত ও অঙ্গ রেজেষ্টরিটিও ঠিকৃ সেইরূপ। রেঞ্জেষ্টরি না হইলে বিবাহ প্রণালী-পরিশুদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ হইল না, স্বতরাং পাণিগ্রহণাদির ন্যায় ইহা সৰ্ব্বথা দুস্ত্যজ্য । যিনি মনে করেন রেজেষ্টরি করা না করা বিষয়ে তাহার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে,তিনি গভর্ণমেণ্টের রেজেষ্টরি আইনের