পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-8 নিয়মেই সে তে। তাছার স্বরূপের অনুকরণ করিবেই। শুদ্ধ-সত্ত্ব পবিত্র আত্মা, সেই অনন্ত-উন্নত পবিত্র আদর্শ পরমেশ্বরের নিকটে থাকিয় জবাকুস্থম-সন্নিহিত স্ফটিকের ন্যায় তাহার স্বরূপের প্রতিবিম্ব তো প্রাপ্ত হইবেই। এই অবস্থাতেই উন্নতআত্মা সাধুদিগের অন্তরতম প্রদেশ হইতে এই বাক্যই বিনির্গত হয় " ত্বম অস্মাকং তবাৰ্ম্মি ।” তুমি আমারদের, আমি তোমার । ইহাই মুক্তির তৃতীয় অবস্থা । সমুদায় আত্মার সহিত পরব্রহ্মের সত্য-স্থলদর মহান মঙ্গল-স্বরূপের অনুকরণ ও অনুসরণ করার নামই সারূপ্য-মুক্তি । ৪র্থ নির্বাণ মুক্তি। আত্মা মুক্তির তৃতীয় অবস্থাতে উত্থিত হইয়া ঈশ্বরের স্নেহ করুণা ও মঙ্গল-ভাবের অনুকরণ করিতে সমর্থ হইলেও তাহার উন্নতির শেষ হয় না। সেই মুক্ত আত্মা, ঈশ্বরের উদার অকপট স্নেহের অনুকরণ করিয়া আত্মপর সকলকেই সমভাবে রক্ষণ-পালন করিতেছে, কিন্তু তাহার ঘলে যশঃপূহ বৰ্তমান থাকিতে পারে। দীন-দরিদ্রদিগকে নানা কষ্ট ক্লেশ হইতে উদ্ধার করিতেছে, কিন্তু সেই করুণার অন্তরালে মান-সন্ত্রম-লালসা সঞ্চরণ করিতে পারে । গ্রন্থাদি প্রণয়ন দ্বারা জগতের অজ্ঞান-অন্ধকার বিনষ্ট করিতেছে, কিন্তু তাহার ভিত্তি-মূলে মান-সন্ত্রম-ইচ্ছ। লুকায়িত থাকাও তাসম্ভব নহে। বল বিক্রম দ্বারা বিশেষ বীরত্বের সহিত স্বদেশের অন্তঃ-শল্য উদ্ধারের চেষ্টা করিতেছে কিন্তু সেই অসম সাহসিক কাৰ্য্য-মূলে দাস্তিকতা দীপ্তি পাইতে পারে। শুদ্ধ-সত্ত্ব পবিত্র হইয়৷ ধৰ্ম্ম-সাধনে নিযুক্ত রহিয়াছে কিন্তু তাহার অভ্যন্তরে সাধুত্বের অভিমান অবস্থিতি করিতে পারে । বিদ্যালয়, চিকিৎসালয়, ধৰ্ম্ম মন্দির প্রভৃতি সংস্থাপনে, সাধক তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। i | २० कछ, ५ लांर्ण অকাতরে অর্থসাহায্য করিতেছেন, কিন্তু স্থখ্যাতি ও সন্নাম-ইচ্ছা তাহার মধ্যে অবস্থান করিতে পারে। ঈশ্বরের উদার মঙ্গলস্বরূপের অনুকরণ ও অনুসরণ করিলেও সাধকের হৃদয়ে অহং-জ্ঞান দীপ্তি পাইতে পারে। আমি হুৰ্ভাৰ্কৰ্ত্ত, দাতা পালয়িত}; আমি বিদ্বান ধাৰ্ম্মিক ইত্যাকার অহং জ্ঞান ও অভিমান এবং দস্তু মাৎসর্ঘ্য পরিতৃগি । করিয়া নিরবচ্ছিন্ন নিষ্কাম ও নি:সাৰ্থ ভাবে ঈশ্বরের প্রিয়-কাৰ্য্য সাধনে নিযুক্ত থাকাই নিৰ্ব্বাণ মুক্তির লক্ষণ । সকল প্রকার ফলকামন-শূন্য হইয়া—অপর লক্ষ্যে জলাঞ্জলি দিয়া কেবল পরব্রহ্মের ইচ্ছা উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পাদনে ব্রতী থাকাই আত্মোন্নতির চরম অবস্থা। ক্ষতি লাভ ও পাপ পুণের ফলাফল গণনায় নীয়মান না হইয়া--অীপনার ক্ষুদ্রত্ব, লঘুত্ব বিসর্জন দিয়া যখন সাধক ঈশ্বরের ইচ্ছা, অভিপ্রায় ও উদে শ্যের সহিত আপনার ইচ্ছা অভিপ্রায়কে একীভূত করিতে পারে, যখন তাহার উদার অনন্ত জ্ঞান প্রেম ও মঙ্গল-ভাবের সহিত আপনার জ্ঞান প্রেম মঙ্গল ভাব, দুগ্ধ নিক্ষিপ্ত জলের ন্যায় বিলীন হইয়া যায়; যখন লক্ষ্য-বিদ্ধ শরের ন্যায় আত্মার সকলই ব্রহ্মের অন্তনিবিষ্ট হইয়া পড়ে ; যখন তাহার জয়ে আমার জয় ; তাহার মঙ্গলে আমার মঙ্গল; তাহার জগতের উন্নতিতে আমার আনন্দ অনুভূত হয়, তখনই সেই সাধক নিৰ্ব্বাণ মুক্তির অধিকারী হইয়। থাকেন। তখনই সেই সাধক “স সৰ্ব্বজ্ঞঃ সৰ্ব্বমেবাবিবেশ” ঈশ্বরকে জানিয়াই সৰ্ব্বজ্ঞ হয়েন এবং সকলেতে প্রবেশ করেন । “সোহশ্ন তে সৰ্ব্বান কামান সহ ব্ৰহ্মণ বিপশ্চিতা” তিনি তখন ঈশ্বরের সহিত কামনার সমুদায় বিষয় উপভোগ করিতে থাকেন। "তাঁহাকে প্রাপ্ত হওয়াতেই তাহার সকল