পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

נ•של שtש লোক প্রাপ্তি হয় এবং সকল কামনা সিদ্ধ হয়।” “সতু তৎপদমাপ্নোতি যম্মাৎ ভূয়োন জায়তে।” তিনি সেই ব্রহ্ম-পদ প্রাপ্ত হন, যাহা হইতে র্তাহার আর প্রচু্যতি হয় না। ইহাই অধোলোকে আত্মোন্নতির চরম সীমা; ইহাই নিৰ্ব্বাণ-মুক্তির প্রত্যক্ষ ফল । এই অবস্থাতেই সাধক “ষথাদর্শে তথাত্মনি” এই ভাবই প্রত্যক্ষ প্রতীতি করেন। সূৰ্য্য প্রকাশিত হইলে যেমন চন্দ্র-প্রভ দীপ্তি পায় না, তেমনি সূর্যের সূৰ্য্য জ্যোতিস্ময় ঈশ্বর যখন আত্মাতে প্রকাশ পান, তখন খদ্যোতসদৃশ আত্মপ্রভাব নিৰ্ব্বাণ হইয়া যায়। যখন তার অনুপম সৌন্দৰ্য্য অন্তরে বাহিরে জাজ্বল্যতররূপে পরিদৃষ্ট হয়, তখন আপনার সৌন্দৰ্য্য বিলুপ্ত হয় । যখন র্তর অকপট উদার মঙ্গল ভাব, তার অনির্বচনীয় জ্ঞান শক্তি মহিমা চতুর্দিকে দেদীপ্যমান দেখা যায়, তখন দম্ভ মাৎসর্ঘ্য অহং-জ্ঞান স্বার্থপরতা নিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হয় । তখন জীব হর্ষ শোক হইতে বিমুক্ত হইয়া | স্বাধীন ইচ্ছার সহিত আপনার যথাসৰ্ব্বস্ব পরব্রহ্মে সমর্পণ করত অদীনসত্ত্ব হয়েন । চন্দ্র যেমন সূর্য্যের জ্যোতি প্রাপ্ত হইয়। জ্যোতিষ্মান হয়, আত্মা তেমনি ঈশ্বরের শোভা সৌন্দর্য্য অনুভব করিয়াই অপূর্ব শোভা ও অতুলন ব্রহ্ম বর্চস্ জ্যোতি ধারণ করত ব্ৰহ্মবান হয়েন । ইহাই নির্বাণ মুক্তি, ইহাই নিৰ্ব্বাণ মুক্তি | আত্মার লেt. কেতে ব্ৰহ্মদর্শনই সালোক্য মুক্তি ; সৰ্ব্ব কালে যোগযুক্ত হইয়া আত্মাতে ব্ৰহ্ম দর্শনই সাযুজ্য মুক্তি , ভাবের সহিত ব্ৰহ্ম দর্শনই সারূপ্য মুক্তি ; দেশ কাল ভাব ও কার্য্যের সহিত অচ্ছেদ্য যোগ-জনিত ব্রহ্ম লাভই নিৰ্ব্বাণ মুক্তি । সাধক দত্ত, মাৎসর্য্য, অহংজ্ঞান ও স্বার্থপরতা পরিত্যাগ করিয়া ব্রহ্মগত-প্রাণ হইতে আবেস্ত। অহুরমজদ ! bሥ(r S AAAA AAAAM MMATe MMeeeS ;~ পারিলেই পরম-পুরুষাৰ্থ স্বরূপ নিৰ্ব্বাণ মুক্তি লাভ করে । ভাবতের স্বপ্রসিদ্ধ কবি এবং সুবিখ্যাত ধাৰ্ম্মিক মহাত্ম। তুলসীদাস স্বীয় “দোহ” কদম্বে নির্বাণ মুক্তির যে বিশদ অর্থ তাৎপর্যা প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা এই “ধনমদ তনয়দ রাজমদ বিদ্যামদ অভিমান । এই পাঁচ কে আউটকে পাওযে পদ নির্বাণ । ” ধনমদ, দেহমদ, রাজ্যমদ, বিদ্যামদ, অভিমান এই পাঁচটি অতিক্রম করিতে পারলেই জীব নিৰ্ব্বাণ-পদ প্রাপ্ত श्झ । তাবেস্ত । (৯৩২ সংখ্যক পত্রিকার ৭৭ পৃষ্ঠার পর ) ষষ্ঠ অধ্যায়ে, যে ভূমির উপর মনুষ্য কিম্ব অন্য কোন পশু মরিয়াছে তাহার কি প্রকার ব্যবহার করিতে হইবে, মৃতশরীর জলে ভাসিতে দেখিলে অহুরমজদৃ-প্রবর্তিত নিয়মে নিষ্ঠ বন ব্যক্তির কর্তব্য কি, এবং অন্ত্যেষ্টি-ক্রিয়া কি প্রকারে সম্পন্ন করিতে হয়, প্রভৃতি কয়েকটি বিষয় বিবৃত হইয়াছে । জোরাস্তার জিজ্ঞাসা করিলেন হে যে ভূমির উপর কোন মনুষ্য বা পশু মরিয়াছে সে ভূমির কি রূপ ব্যবহার করিতে হইবে ? অহুরমজদু উত্তর করিলেন হে জোরাস্তার,সে ভূমি এক বৎসর কাল কর্ষণ করিবে না ও তাছাতে বারি সেচন করিবে না। যদি কেহ তাহ কর্ষণ বা তাহাতে জল সেচন করে তাহা হইলে সে মৃত শরীরের সমাধিকরণ রূপ মহাপাপে পাপী বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং তজ্জন্য সমুচিত দণ্ড প্রাপ্ত হইবে । জোরাস্তার জিজ্ঞাসা করিলেন হে সৰ্ব্বস্রষ্টা অহুরমজদ। যদ্যপি তোমার নিয়মপালক কোন ব্যক্তি কোন মৃত শরীর জলে ভাসিতে দেখে তাছা হইলে