পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

נישג אוויזיט পরকাল கம் மகr_. מל -es-- *** - - - ----- مس -سه - - | vy • - - ব্যক্তির কারণ নির্দেশ করণ छनाहे ঈশ্বরের তঁtহার । পূর্ণতৃপ্রমাণ পক্ষে উহার কার্যাকা (Divine Intelligence অস্তিত্ব স্বীকার করা । is but an assumption to account for the phenomena of the universe) এই কৌশলাত্মক যুক্তি প্রামাণিকদিগের স্বকপোল-উদ্ভাবিত নহে। ইহা অতি প্রাচীন ও স্বাভাবিক যুক্তি । ইউরোপের অনেকানেক বাস্তবিক অস্তিক দার্শনিক যুক্তির দ্বারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ জন্য এই অসম্পূর্ণ যুক্তির উপর বিশেষরূপ নির্ভর করিয়াছেন। স্বভাবের গতি নিরোধ হইবার নয় বলিয়া যদিও তাহারা আত্মার অতীন্দ্রিয় শক্তি দ্বারা ঈশ্বরকে অব্যক্ত অনন্ত রূপে দর্শন করিয়াছেন কিন্তু দুৰ্ব্বল অভিগশক্তি-বিশিষ্ট ইউরোপীয় মনে উক্ত ভোঁতিক যুক্তি যে বলবত্তর বলিয়া প্রতীত হইবে তাহা এক প্রকার পূর্বেই বলা হইয়াছে। । না র্যাহার। ঈশ্বরপ্রেমী সাধু আত্মা | উক্ত বলা হইয়াছে যে, বেকন-দর্শন ইউরোপীয় মনের অতিগ শক্তি আসাঢ় প্রায় করিয়া তুলিয়াছে , অতীন্দ্রিয়-যুক্তি—আধ্যাত্মিক যুক্তি — যুক্তি কেন – আধ্যাত্মিক প্রত্যক্ষ তাহাদিগের নিকট বলবৎ প্রমাণ বলিয়৷ প্রতীত হয় না। তাহদের মনের উপর ভৌতিক আকর্ষণের বলই অধিকতর। কিন্তু আমাদের ব্রহ্মদশী ব্ৰহ্ম-প্রাণ অাৰ্য্য ঋষির আধ্যাত্মিক প্রত্যক্ষকেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ে বলবত্তম প্রমাণ বলিয়া নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। বেকন-শিষ্যদিগের মনে যাহাই হউক আমরা প্রাগুক্ত ভৌতিক যুক্তিকে বলবত্তম বা সম্পূর্ণ বলিয়া স্বীকার করিতে পারি না। প্রত্যক্ষণকেই আমরা সৰ্ব্বাপেক্ষ বলবৎ প্রমাণ বলিয়া জ্ঞান করি । বস্তুতঃ এ বিষয়ে আমরা প্রত্যক্ষবাদিদিগের, অপেক্ষ। অধিকতর প্রত্যক্ষবাদী। প্রাগুক্ত যুক্তি ঈশ্বরের কেবল অস্তিত্ব—“অন্ততি কেবলং”, প্রমাণ জন্য বরং বলবৎ প্রমাণ বলিয়া স্বীকার করা যাইতে পারে, কিন্তু রিতা অতি সঙ্কীর্ণ ও অপ্রচুর। আত্ম শক্তিবিশেষ দ্বারা ভূমা ঈশ্বরকে দর্শন করে মাত্র ভঁহাকে ধারণ করিবার শক্তি তাহার নাই । তিনি বাক্য মনের অগোচর সুতরাং যুক্তি দ্বারা বিশেষতঃ ওরূপ যুক্তি দ্বারা ঈশ্বরের পূর্ণত্ব ভাবে ত:স্থার তায়ন্ত করিয়া দিবার চেন্ট নিষ্ফল, কাজেই নিম্প্রয়োজন । ঈশ্বরকেত আমরা সকলেই পূর্ণ পুরুষরূপে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ করিতেছি । যদি কেহ কেহ তাহাকে দেখিতে না পান, স্বভাব-দোষে না পান, শিক্ষা ও অভ্যাস-দোমে না পান, তাহা হইলে তাহীদের কি করা কৰ্ত্তব্য ! তামরা বলি বিশ্বাস্ত লোকের কপীয় প্রথমতঃ বিশ্বাস করিয়া তৎপরে তাহার পরীক্ষার্থে যত্নবান হওয়া কৰ্ত্তব্য । এবিষয়ে বিশ্বস্তলোক কহারা অধ্য তৃিক অন্ধের এই সাধু পুরুমদিগকে সকল বিষয়ে বিশ্বাস করেন । এমন কি ইহাদের হস্তে যথাসৰ্ব্বস্ব প্রাণ পৰ্য্যন্ত সমপণ করিয়া নিরুদ্বেগ হইতে পারেন, কেবল এই কথাটী বিশ্বাস ন করিয়| বিশ্বাসের নিয়ম লঙ্ঘন করেন কেন ? অন্ধের চক্ষুস্মাণ ব্যক্তির কথায় বিশ্বাস করিয়া কি নিৰ্ব্ব দ্ধিতার কার্য্য করে ১ অতএব আবিশ্বাসকারিদিগকে বলি, প্রত্যক্ষ ঈশ্বর-বিভূতি তোমরা যদি দেখিতে না পাও এবং শ্রদ্ধেয় লোকের বাক্যেও প্রত্যয় করিতে ন চাও, তাহ হইলে প্রতিকূল প্রমাণের ভার তোমাদেরই উপর পতিত হইতেছে। ঈশ্বর-ভাব সম্বন্ধে এরূপ প্রতিকূল প্রমাণ প্রদর্শন করিতে কেহই কখন সক্ষম হয়েন নাই; নিশ্চয় বলা যাইতেছে, কেহ কথন হইবেন ও না । এত কাল তাহারা যে সমস্ত বিরুদ্ধ মত প্রচার করিয়া আসিয়াছেন, তাহা মতই মাত্র, অনুমান মাত্র । তৎতাবৎ ন্যায়সঙ্গত প্র