পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

νίκη καινο" শঙ্করাচার্য্যের জীবন বৃত্তান্ত సె& বিখ্যাত হইলেন এবং সকলে একত্রিত হ- | সর্বোৎকৃষ্ট পরব্রহ্মের উপাসনা কর এবং ইয়া মহাসমারোহ সহকারে আচার্ষ্য গুরুর স্তুতি করিলেন । তৎপ্রদেশস্থিত দ্বিজগণ এতৎসমস্ত দর্শন করিয়া আশ্চর্যা হইয়। বলিল *এ কি ? তোমাদের মত সম্যক বলিয়া দর্শকদিগের বোধ হয় না ! তোমরা অtকাশের ন্যায় নিরালম্ব অদ্বৈত কেবল ব্রহ্মের উপাসনা কর । বাঙানের অগোচর ব্ৰহ্ম কিরূপে সাধারণের গ্রাহ হইতে পারে? অতএব তোমরা আমাদিগের এই বিখ্যাত ষড়ি,ণ-ভেদ-বিশিষ্ট গাণপত্য মত গ্রহণ পূর্বক কৃতাৰ্থ হও ।” এই বলিয়। তাহার। গাণপত্য মত ব্যাখ্যা করিতে আরম্ভ করিল। গণপতিই জগৎকারণ,ব্ৰহ্মা বিষ্ণু রুদ্র প্রভৃতি দেবগণের পতি, সৰ্ব্বাতীত, পরমাত্মা । গণপতিই সৰ্ব্বপ্রথমে বিদ্যমান ছিলেন এবং র্তাহার মায়ারচিত ব্রহ্মাদি সৰ্ব্বজগৎ । সুতরাং যাহার। মুক্তি প্রাপ্ত হইতে বাঞ্ছা করে তাহাদিগের গণেশ দেবের উপাসনা ব্যতীত উপায়ান্তর নাই। গাণপত্য মত ষড়বিধ । মহাগণপতিমত, হরিদ্রাগণপতি মত, উচ্ছিষ্টগণপতিমত, নবনীতগণপতিমত, স্বর্ণগণপতিমত, ও সন্তানগণপতিমত । মহাগণপতি মতোপাসক গিরিজাপুত্র, হরিদ্রাগণপতি মতোপসিক গণপতিকুমার, উচ্ছিষ্টগণপতি মতাবলম্বী হেরম্বস্তুত, নবনীতগণপতি মতানুসারী বীরভদ্র, স্বর্ণগণপতি মতামুযায়ী একদন্ত এবং সন্তানগণপতিমতোপাসক সকলে ক্রমান্বয়ে শঙ্করাচার্য্যেয় সমীপে উপস্থিত হইলে পর আচাৰ্য্য তাহাদিগকে বলিলেন “হে গাণপত্যগণ ! গণপতি রুদ্রস্থত বলিয়া প্রসিদ্ধ, সগুণ, এবং লয়ানুগ স্থতরাং কখনই পরমাত্মা হইতে পারে না । গণপতি পরমাত্মা ন হইলে তন্মতোপাসনা দ্বারাও মুক্তিলাভ করা যাইতে পারে না । অতএব নিগুণ, সচ্চিদানন্দময় সৰ্ব্বাতীত, মূঢ়বুদ্ধি পরিত্যাগ পূর্বক প্রায়শ্চিত্ত করিয়া মুক্তিমাৰ্গ অবলম্বন কর, পঞ্চপূজাপরায়ণ হও এবং অদ্বৈত মতের আশ্রয়ে মোক্ষপ্রাপ্ত হও।” এইরূপে উপদিষ্ট গাণপত্যগণ অদ্বৈত মত গ্রহণ করিল । তদনন্তর শঙ্করাচার্য্য তবানীনগরে গমন করিলেন । এস্থলে আচাৰ্য্য স্বশিষ্যবর্গের পূজা গ্রহণ করিয়া বৃহস্পতির ন্যায় শোভাপ্রাপ্ত হইলেন। ভবানীনগরে আচার্য্য একমাস কাল বাস করিলেন । ভবানীনগরবাসির। ঐ যতিশিরোমণিকে অভিবাদন পূৰ্ব্বক বিনয় সহকারে বলিল “স্বামিন ! আমাদিগের অতি বিচিত্র মত শ্রবণ করুন । ভগবতীই মহাশন্ত শক্তি সৰ্ব্বজগৎ-কারণ ; ভগবতীর মায়াবশত মহত্তত্ত্ব প্রভৃতি . নিখিল জগৎ উৎপন্ন হইয়ছে, ণ্ঠস্থা হইতে ব্ৰহ্মাদি দেবগণ উৎপন্ন হইয়াছেন । অতএব ভগবতরূপ। ভবানীর চরণারবিন্দ-সেবা-তৎপর হইয়া তাহার চিন্তু কুঙ্কমাদি ধারণ পূর্বক এবং তৎপাদাকৃতি স্বর্ণপদক গলদেশে ও বাহুতে বন্ধন করিয়া আমরা জীবন্মুক্ত হইয়াছি। ভবানীর কৃপামাত্রেই মুক্তি লাভ হইবে, তজ্জন্য মোক্ষাভিলাষিরা ভবানীকেই উপাসনা করিবে।” এতদুত্তরে আচার্ষ্য বলিলেন যে তোমাদের মতে ভবানী সংসার ভয়-হারিণী জগৎ-কারণ ; কিন্তু ঈশ্বর-জ্ঞান দ্বারা মুক্তি ইহাই সর্বত্র প্রতিপাদিত হইয়াছে । “আত্মানমাত্মনা ধ্যাত্বা মুক্তোভবতি নান্যথা” এইটি মুক্তির বচন । “ব্রহ্মবিদ ব্রহ্মৈব ভবতি ।” বিদ্যয়াইমৃতমশ্ন তে’ একবচনান্ত বিদ্যাশব্দের অর্থ আত্মাভিন্ন সকল পদার্থ অনিতা, আত্মাই শুদ্ধ যুদ্ধ মুক্ত সচ্চিদানন্দরূপ এতদাত্মক জ্ঞান। সগুণ ভবানীর উপাসনা অল্পফলপ্রদ এবং বেদবিরুদ্ধ। সুতরাং কুঙ্কুমপুণ্ডে স্বর্ণ পদক দিচিহ্ন বজন পূর্বক শুদ্ধাদ্বৈত মতে “ব্রহ্মাহমস্মি”