পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘్నం তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २१ कन्न, s छfभ ml -سم - مسپهحصاس ------------ - ভূতের যোনি অর্থাৎ কারণ স্বরূপ, সেই পরব্রহ্মকে ধীরেরা সৰ্ব্বতোভাবে দৃষ্টি করেন । তলবকার শ্রীতিতে আচার্য্য ললিতেছেন, যিনি বাক্যের বচনীয় নহেন, বাক্য র্যাহ কর্তৃক প্রেরিত হয়, হে শিষ্য ! তাহাকেই তুমি ব্রহ্ম বলিয়া জান, লোকে মাহ কিছু পরিমিত পদার্থের উপাসনা করে তাহ। কখনও ব্রহ্ম নহে । “প্রাণোহেষযঃ সৰ্ব্বভূতৈর্বিভাতি” ইনি প্রাণ স্বরূপ সৰ্ব্বভূতে যিনি প্রকাশ পাইতেছেন। আর্য্য ঋষিরা প্রকৃতির অভ্যন্তরে এবং আপনার প্রাণের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া ধ্যান ধারণা ও সাধনবলে দেশ কালের অতীত সকল জ্ঞানের মূল জ্ঞান সকল কার कु श्ढत । দেই দেখিতে পাওয়া যায় । এই সময়ে আর্য্যেরা ব্রহ্মজ্ঞানের উচ্চতম শিখরে অt রোহণ করিয়া যে সকল অধ্যাত্ম তত্ত্বের • উপদেশ করিয়াছেন, তাহা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ উপদেশ আজ পর্যন্ত কোথাও দৃষ্টিগোচর হয় না। এই সময়ে ভারতীয় আর্য্যসমাজ উন্নতির অতু্যচ্চ অবস্থাতে উপনীত হইয়াছিল,কিন্তু দেশের আপামর সাধারণ লোক আরণ্যক ঋষিদিগের উন্নত ভাব হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারায় কালক্রমে অধিকার ভেদে ধৰ্ম্মযাজনার নানা পদ্ধতি আবিস্কৃত পুরাণকারেরা বৈদিক ধৰ্ম্মকে নানা অাখ্যায়িকার আকারে সাধারণের ণের মূল কারণ সকল শক্তির মূল শক্তি । জ্ঞানশক্তিসমন্বিত মহান পুরুষকে জানিতে পারিয়াছিলেন, এবং সেই মহান পুরুষকেই সকল গতি হইতে চরম গতি সকল সম্পদ হইতে পরম সম্পদ এবং সকল আনন্দ হইতে পরম আনন্দরূপে আত্মাতে সম্ভোগ করিয়া বলিয়াছেন, “তনাত্মস্থং যেইতুপশ্যন্তি ধীরাস্তেষাং শান্তিঃ শাশ্ব তী নেতরেষাং** র্তাহাকে যে ধীরেরা আপন আত্মাতে সাক্ষাৎ দৃষ্টি করেন, তাহাদেরই নিত্য শান্তি হয়, অপর ব্যক্তিদের তাহা কদাপি হয় না। যএতদ্বিদুর মৃতাস্তে ভবন্তি আথেতরে দুঃখমেবাপিয়ন্তি” যাহার। ইহাকে জানেন, র্তাহারা অমর হয়েন, তদ্ভিন্ন আর সকলেই দুঃখ পায় । “অধ্যাত্মযোগাধিগমেন দেবং মত্বা ধীরে হর্ষশোকে। দেহ তি” ধীর ব্যক্তি পরমাত্মাতে স্বীয় অtসুীর সংযোগ দ্বারা অধ্যাত্মযোগে সেই পরম দেবতাকে জানিয়া হর্ষ শোক হইতে মুক্ত হয়েন । আত্মাতে পরমাত্মাকে উপলব্ধি করিবার উপদেশ একমাত্র উপনিষ মধ্যে প্রচার করিতে লাগিলেন। স্ত্রীলোক শূদ্র ও পতিত ব্রাহ্মণের বেদোক্ত জ্ঞানালোচনায় অনধিকারী ছিল। তাহারা পুরাণবর্ণিত ব্রতনিয়ম ও ಇತ!" ुष्ठ করিল /*ौंश#ऊकडीएनद्र উপদেশ এই যে, যাচার ব্রহ্মোপাসনা ব্ৰহ্মজ্ঞানানুশীলন J ও কামনা পরিত্যাগ করিয়া একমাত্র ব্রহ্ম কেই লক্ষ্য করিতে সমর্থ নছে, সেই সকল মৃঢ় ব্যক্তির ফলকামনা করিয়া ধৰ্ম্মকার্য্য করিলে ও কালে তদ্বারা চিত্তশুদ্ধি হইয়া নিষ্কাম প্রীতিতে পরমাত্মার উপাসন করিতে অধিকারী হইবে, এই জন্য কনিষ্ঠ অধিকারী লোকের চিত্তশুদ্ধির নিমিত্ত বাস্থ্য ক্রিয়ার আবশ্যকতা । কিন্তু জ্ঞান ও কৰ্ম্মে চির-বিরোধ দৃষ্ট হইয়া থাকে। জ্ঞানের উপদেশ এই, যাহা সত্য ও সার বলিয়া জান, তাহাই অনুষ্ঠান কর । জ্ঞানী বলেন, পার্থিব ও স্বগের সুখভোগ আসার, ইন্দ্রিয়সুখ অপেক্ষা ঈশ্বর প্রেমের আনন্দ নিৰ্ম্মল ও শ্রেষ্ঠ, তাই তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে হৃদয়ের স্বাভাবিক ভক্তিভরে পরমাত্মার উপাসনা করিয়া কৃতাৰ্থ হয়েন। বিষয়বন্ধন অতিক্রম করিয়া নিরন্তর ব্রহ্মানন্দে মগ্ন হইবার