পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

२ कछ, s छन

ঢালা হইতেছে’ এ বৃত্তান্তটি একেবারেই অপ্রমাণ হইয়া যায় ; এইরূপ যুক্তি-কৌশলের বশবৰ্ত্তী হইয়াই—দুই এক জন বাঙ্গালী সাহেব কথায় কথায় ইংলণ্ডকে হোম বলিয়া নির্দেশ করেন, কেননা তাহ না করিলে তিনি যে বাঙ্গালী নহেন কিন্তু প্রকৃত পক্ষেই সাহেব এ বৃত্তান্তটি অপ্রমাণ হইয়া যায় ; শূদ্রের মুখ নুতন ব্রহ্মচারীর নয়নগোচর হইলে “তিনি যে তপোবনে গুরুর সম্মুখে বসিয়া বেদ অধ্যয়ন করিতেছেন” এ বৃত্তান্তটি একেবারেই নস্তাৎ হইয়া যায় ! এসব ছেলেমি কাও পূৰ্ব্বে আমাদের দেশে ছিল না— এগুলি হ’চ্চে অধুনাতন টোলের অধ্যাপকদিগের নস্তান্ধ মস্তিষ্কের নূতন স্বষ্টি ! একজন নৈয়ায়িক স্মাৰ্ত্তবাগীশ বলিতে পারেন যে, কলিযুগের বিধানে তিন দিবস কারাগুহে বদ্ধ থাকা’র নামই বারো বৎসর গুরুগৃহে বেদাভ্যাস করা ; তাহা যদি তিনি বলেন, তবে তাহার প্রতি আমার বিনীত নিবেদন এই যে, অতগুলা কথা না বলিয়া দুই কথায় তিনি এইরূপ বলিলেই তো বলিতে পারিতেন যে, কলিযুগের বিধানে স্বত্র-গুচ্ছ-ধারী শূদ্রের নামই ব্রাহ্মণ । মুড়া যিনি ব্রাহ্মণ—তাহারই যখন এই দশা, তথন, পেটি যিনি ক্ষত্রিয় তাহার তো কথাই নাই । মুড়াটির মজ্জা না থাকুকু—কঙ্কালখানা আছে, পেটির আবার তাছাও নাই ! কাল রাক্ষস এমনি তাহাকে নিকিয়া পুছিয়া পরিস্কাররূপে উদরস্থ করিয়াছে যে, কত্রাপি তাহার চিকু মাত্রও খুজিয়া পাওযা যায় না। বর্তমান অব্দে ক্ষত্রিয় শব্দ কেবল পরশুরামের কোপা গ্নিকেই আমাদের মনে পড়াইয় দেয় । আমরা আমাদের চারি দিকে চাহিয়া দেখিলেই দেখিতে পাই যে, রাম সিংহ শ্যাম সিংহ প্রভৃতি পশ্চিম প্রদেশায় সিংহের নামেই কেবল সিংহ ; তা ভিন্ন ভারতের এ মুড়া-হইতে ওমুড়া-পর্য্যন্ত দাপাইয়া বেড়াইলেও কেহ বলিতে পারিবেন না যে, তাহার মধ্যবৰ্ত্তী প্রদেশে তিনি কোথাও একটা সিংহ দেখিয়াছেন অথবা কোথাও একজন ক্ষত্রিয় দেখিয়াছেন ! ত্রেতাযুগে পরশুরাম যৎকিঞ্চিৎ যাহা বাকি রাখিয়াছিলেন—দ্বাপর-যুগে কুরুক্ষেত্র তাঙ্গ সমূলে নিঃশেষিত করিয়া ছাড়িয়াছে। বৈশ্য আবার ততোধিক রহস্য । বর্তমান অব্দে কে যে বৈশ্য আর কে যে বৈশ্য নয় তাহা “দেব ন জানন্তি কুতে মনুষ্যা: !” খুব সম্ভব যে, পুরা-প্রচলিত অসবর্ণবিবাহের দ্বিমুণ্ড রাক্ষস, ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয় এই দুই মুখের শোষণ বলে, সমস্ত বৈশ্য-শোণিত ক্রমে ক্রমে গলাধঃকরণ করিয়া অবশেষে অন্নাভাবে প্রাণত্যাগ করিয়াছে । পূৰ্ব্বে ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য তিনই যখন সশরীরে বর্তমান ছিল, তখন সেই তিন বর্ণকে এক সঙ্গে জ্ঞাপন করিবার জন্য আর্য্য-শব্দেরও প্রয়ােগুন ছিল। কিন্তু এক্ষণকার এই কলিযুগের কঠোর অব্দে আর্য্যের মধ্যে ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য বাদে একা কেবল ব্রাহ্মণই অবশিষ্ট । বর্তমান কালে তিন বর্ণ যখন এইরূপ এক বর্ণে আসিয়া ঠেকিয়াছে, তখন আর্য্যশব্দের সাহায্যে তিন বর্ণকে এক সঙ্গে জোড়া দিবার জন্য কাহার কি এত মাথাব্যথা পড়িয়াছে বলিতে পারি না ; তিন-বৰ্ণই যখন নাই—তিন বর্ণের মধ্যে যখন এক বর্ণ-ই কেবল আছে —তখন তিন বর্ণকে এক শব্দে জ্ঞাপন করিবার জন্য আর্য্য-শব্দের সাহায্য যাদ্ধ করা নিতান্তই "শিবো নাস্তি শিরঃপীড়া”—মাথ৷ নাই তার মাথা ব্যথা । তবে কি এক কেবল ব্রাহ্মণকেই আয্যের কোটায় কারারুদ্ধ করিয়া রাখা যাইবে ? তাহা করিলে নিরীহ ব্ৰাহ্মণ-বেচারীর প্রতি নিতান্তই জুলুম হয় । রাজ-পুরুষেরা আমাদের দেশের কোনো ata16fsif Hété &j{gic* Gontleiman qā Certificate প্রদান করিলে তাহাতে যত তাহার মানময্যাদা বদ্ধি ত হয় তাহা বুঝাই যাইতেছে! সেরূপ করিলে শুধু যে কেবল তেলা মাথায় তেল দেওয়া হয় তাহা নহে, তাহাতে প্রকারাস্তরে লোককে জানানো হয় যে, পুৰ্ব্বে ইহার মাথায় তেল ছিল না—দয়ার্দ্রচিত্তে আমরা ইহার মস্তকে বিলাতি পোমেটম লেপন করাতে ইহার পদতলে ধ্বজ বজাঙ্কুশের চিকু ফুটিয়া বাহির হইল, অর্থাৎ পূৰ্ব্বে ইনি ভদ্রলোক ছিলেন না—আমরা ই হার হস্তে জেণ্টেলম্যানের সাটিফিকেট প্রদান করাতে তাহারই অমোঘ প্রসাদ-বলে অভ্যাজ অবধি ইনি ভদ্র-লোকের শ্রেণীভুক্ত হইলেন । আমাদের দেশের কোনো চির-প্রসিদ্ধ বংশের ভদ্রলোককে Gentelmano Certificate of Win oil gas &fnof জাতিকে অাৰ্য্য উপাধি প্রদান করা দুইই অবিকল সমান। ফলে, ব্রাহ্মণকে ব্রাহ্মণ না বলিয়া আর্য্য বলিলে ব্ৰহ্মণ্যদেব তাহাতে তুষ্ট না হইয়া বরং রুষ্টই হ’ন ; র্তাহার রোষের কারণ এই যে আর্য্য তো সকলেই— ক্ষত্রিয়ও আর্য্য—বৈশ্যও আর্য্য—এবং কলিযুগের নুতন শাস্ত্র অনুসারে যাহার লোহার সিন্ধুকে টাকা श्राद्दछ किन्न नाटश ब्र श्रख-उॉtशं झूहे फ्रांब्रिछे हे१ब्रांडौ অক্ষর আছে তিনিই আর্য্য ! ব্রাহ্মণ তো আর সেরূপ আর্য্য নহে ! শাস্ত্রের বিধান মতে ক্ষত্রিয়-বীৰ্য্যও ব্ৰহ্মতেজের নিকটে নত-মস্তক । তাহার সাক্ষী-বাস্মীকির রামায়ণে স্পষ্টাক্ষরে লিখিত আছে “ধিক্বলং ऋबिग्न-दव्ण१ अक्रtऊ८खांदण१ वश२* क्रबिग्न-रुण झांब्र