পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अचिन >*>२ আর্য্যামি এবং সাহেবিআন So 6. u LMM SSAAAASSSS S S ভ্রাতৃভাবে আলিঙ্গন করে ; এ আর্য্যের সুবিস্তীর্ণ ললাটে এই মন্ত্র-বচনটি স্বর্ণক্ষরে মুদ্রিত রহিয়াছে যে, “উদারচেতসাং পুংসাং বস্তুধৈব কুটুম্বকং” উদারচেতা পদ্ধযদিগের সমস্ত পৃথিবীই জ্ঞাতি কুটুম্ব । চতুৰ্থ, সঙ সাজা আৰ্য্য ;–এইটিই গোস্বামীর শিষ্যদিগের আর্য্য ; এ আর্য্য বৈদিক আর্য্য নহে ইহা বলা বাহুল্য ; কেননা, সত্য-যুগের বৈদিক আৰ্য্য যাহা ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশু এই তিন বর্ণের মূল উপাদান এবং ত্রেতা-যুগের বৈদিক আৰ্য্য যাহা ঐ তিন বর্ণের সমষ্টি এ দুই আর্য্য কলি-যুগের ত্রিসীমার মধ্যেও স্থান পাইতে পারে না—কেমন করিয়াই বা স্থান পাইবে ? এ ছার কলিযুগে ক্ষত্রিয়ও নাই, বৈশ্যও নাই ; কাজেই এক্ষণে ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্যের সমষ্টি বলিতে কেবল আকাশ কুসুমই বুঝায়—তা ছাড়া আর কিছুই বুঝায় না। এ আর্য্য পৌরাণিক আর্য্যও নহে ; কেননা পৌরাণিক অাৰ্য্য জাতি-বিচার না করিয়া সদাচারপরায়ণ ব্যক্তি মাত্রকেই ক্রোড়ে লইতে প্রস্তুত—গুহ চণ্ডালকেও তিনি ত্যজ্য পুত্র করেন নাই । পৌরাণিক আৰ্য্য সদাচারের পক্ষপাতী—সঙ আৰ্য্য সদসৎ সকলপ্রকার লোকাচারের পক্ষপাতী ; এ অায্য সামান্ত একটি লোকাচারের পান হইতে চুন খসিলেই—কি যেন একটা মহাপ্রলয় ঘটিয়াছে মনে করে ; গায়ে মানে না। আপনি মোড়ল হইয়। বিলাত-ফের্তাদিগের প্রতি গোবরের ব্যবস্থা করে ; ঢাল নাই খাড়া নাই fনধিরাম সদার হইয়া উনবিংশ শতাব্দীয় বিজ্ঞানকে দ্বন্দ যুদ্ধে আহবান করে ; নিরীহ সেকেলে পৌরাণিক আয্যের সাধ্য কি যে, এ আর্য্যের নিকটে এগোয় ! ! এ আর্য্য বৈজ্ঞানিক আর্য্যও নছে ; কেননা, গোস্বামীর বৈজ্ঞানিক আর্য্য ইংরাজ বাঙ্গালি ফরাসীসৃ জৰ্ম্মান প্রভৃতি সকল আর্য্য জাতিকেই ভ্রাতা বলিয়া আলিঙ্গন । করে ; কিন্তু এ আর্য্য আপনার মূষিক সম্প্রদায়-ভুক্ত আর্য্য ছাড়া আর অার সমস্ত আর্য্যকেই—সিংহ-সম্প্রদায়-ভুক্ত আৰ্য্যকেও –ম্লেচ্ছ বলিয়া অৰ্দ্ধচন্দ্র প্রদান করে । এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, গোস্বামীর শিষ্যদিগের আর্য্য—বৈদিক আর্য্যও নহে, পৌরাণিক আর্য্যও নহে, বৈজ্ঞানিক আৰ্য্যও নহে-তাহ যে কোন আর্য্য সেইটিই বিষম সমস্ত । পষ্ট কথা বলিতে কি — এ আর্য আর্য্যই নহে কেবল আর্য্যের একটা ভান – আর্য্যের একটা প্রহসন ! একটি জ্যেষ্ঠতাত বালক যে-রকমের জ্যেষ্ঠতাত—এ আর্য্যটি ঠিক সেই রকমের আর্য্য। জ্যেষ্ঠতাত বালকের জ্যেটামি যেমন একট। রোগ, এ আর্য্যের আর্য্যামি তেমনি একটা রোগ । অতঃপর গুরুর বৈজ্ঞানিক আর্য্য এবং শিষ্যের সঙ, ASAAAAS S ASAAMMSTTTS S সাজ আধ্য উভয়কে পাশাপাশি দাড় করাইয়া কাহার কিরূপ ভাবগতি তাহা একবার পর্য্যবেক্ষণ করিয়া দেখা যা’ক্‌ ৷ মহর্ষি ব্যাসের প্রণীত স্মৃতির অভ্যস্তরে সুন্দর একটি বচন আছে,—সেটি এই ;–“নৈতাদৃশং ব্রাহ্মণস্ত্যাস্তি বিস্তুং যথৈকতা সমত। সত্যত চ” “ব্রাহ্মণের এমন বিত্ত আর নাই যেমন একতা সমতা এবং সত্যতা” এই ঋষিৰাক্যটির নিক্তির ওজনে গুরু এবং শিষা দোহার দুইরূপ বিভিন্ন আর্য্যকে তৌল করিয়া দেখিলেই কাহার কি রূপ মূল্য তাহ তদণ্ডেই ধরা পড়িবে। ব্যাস-ঋষি বলেন যে, একতা ব্রাহ্মণের একটি প্রধান পরিচায়ক লক্ষণ ;–গোস্বামীর বৈজ্ঞানিক আর্য্যের একতা এমনি জগদ্ব্যাপী যে, তাহা ইংরাজ বাঙ্গালী ফরাসীস প্রভৃতি নানা দেশের নানা আর্যাজাতিকে সাজাত্য-পাশে বন্ধন করিয়া ফেলিয়াছে । পক্ষান্তরে তাহার বঙ্গীয় শিষ্যদিগের আর্য্য একতা’ব এমনি বিরোধী যে, যদিও তাহারা প্রত্যক্ষ দেখিতেছেন যে, ভারতবর্ষীয় আর্য্য এক্ষণে ক্ষত্ৰিয়-শূন্ত এবং বৈশ্যশূন্য সুতরাং হাত-পা খোড়া, আর, ব্রাহ্মণ-জাতি সে আর্যের মস্তক হইলেও ব্রহ্মজ্ঞান বিহনে তাহা মস্তিষ্ক বিহীন, ইহা প্রত্যক্ষ দেখিয়া ও তাহারা গায়ের জোবে বলিতে ছাড়েন না যে, সেই হাত-পা-খোড় মস্তি স্নবিহীন ভারতবর্ষীয় আর্যা-সন্তানেরাই প্রকৃত পক্ষে আর্য্য, আর, ইউরোপের হস্ত-পদ-বিশিষ্ট, মস্তিষ্কভূয়িষ্ঠ, জ্ঞানবান এবং তেজীয়ান আর্যোর মাযার নহে-তাহারা সকলেই মেচ্ছ নরাধম ! ব্যাস-ঋষি বলেন “সমতা ব্রাহ্মণের আর একটি প্রধান পরিচয়-লক্ষণ’; —বৈজ্ঞানিক আর্য্যের এমনি উদার সমতা-গুণ যে, তাঙ্গা ইংরাজ-লাঙ্গালির মধ্যস্থিত জাতিগত উচ্চ-নীচ ভাব একেবারেই কোপাইযা সমভূম করিয়া দিয়াছে ; পক্ষান্তরে, গোস্বামীর শিষ্যদিগের সঙ আৰ্য আত্ম-গরিমায় ভোঁ হইয়া আপনার বেলাষ তিলকে তাল দেখেন এবং অন্যের বেলায় তা লকে তিল দেখেন । এটা তাহারা দেখিয়াও দেখেন না যে, পৃথিবীস্থ সমস্ত আৰ্য্য-জাতির ভাল মন্দ স্বভাবচরিত্র হরে দরে সমান—তাই কতক গুল ছেলেভুলানিয়া অমূলক যুক্তি দ্বারা সকল লোককেই তাহার এই নিগুঢ় তত্ত্বটি বুঝাইতে চেষ্টা করেন যে,ভারতবর্ষীয় আর্য্যেরাই ধৰ্ম্মপুত্র যুধিষ্ঠির এবং ইউরোপীয আর্ঘ্যের শকুনি-মাতুলের প্রপিতামহ । অর্থাৎ যেন পূৰ্ব্বতন কালে আমাদের দেশে শকুনি ছিলেন না-দুাতক্রীড়। ছিল না—ভ্রাতৃবিচ্ছেদ ছিল না—রমণীহরণ ছিল না— দ্বেষ হিংসা মদ মাৎসর্ষ্য এসব কোনো লালা