পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$్నం సిరి _ ஆறாமம்கர் ইষ্ট ছিল না— প্রত্যুত সকলেই ঋষ্যশৃঙ্গের ন্যায়ফল-মূল ভক্ষণ করিয়া বনে বনে তপস্যা করিয়া বেড়াইতেন ! তাহার পরে কালিদাসের সময়ে যেন ভারতবর্ষীয় আর্য্যের মদ্য-পান বেশ্যাসক্তি অভিসার এ সকল কিছুই জানিতেন না —সকলেই জিতেজিয় যোগী পুরুষ ছিলেন ! তাহার আরো কিছু দিন পরে যেন চানক্য ছিলেন না—নরহত্য ছিল না । রঘুনন্দনের ন্যায় দিগ্বিজয়ী স্মাৰ্ত্তবাগীশের মূল-গ্ৰন্থসকলের শব্দ এবং অর্থ অবলীলাক্রমে উণ্টাইয়া দিয়া (এমন কি ব-য়ের পেট কাটিয়। তাহাকে র করিয়া গড়িয়া তুলিয়া) যেন হয়কে নয় করিতেও জানিতেন না, নয়কে হয় করিতেও জানিতেন না—প্রবঞ্চনা প্রতারণা কাহাকে বলে তাহ জানিতেন ন! ! ভারতবর্ষীয় আর্য্যেরা সকলেই যুধিষ্ঠির, সকলেই রামচন্দ্ৰ ! আর, ইউরোপীয় আর্য্যের সকলেই চানক্য, সকলেহ শকুনি ! কি চমৎকার সমতা ! ব্যাস-ঋষি বলেন যে, সত্যতা প্রাহ্মণের তৃতীয় আর-একটি পরিচয়-লক্ষণ ; –গোস্বামীর আর্য্যের সত্যতা স্থয্যালোকের ন্যায় দেদীপ্যমান ! সে স ত্যতার প্রত্যক্ষ প্রমাণ যাবতীয় আর্য্য ভাষার অস্থিতে অস্তিতে গ্রস্থিতে ওস্থিতে রোমে রোমে অবিনশ্বর অক্ষরে মুদ্রাঙ্কিত রহিয়াছে। পক্ষান্তরে গোস্বামীর শিষ্যদিগের যত কিছু সত্যতা সকলই মুখের ফু, হাতের ফঙ্কা । তাহারা বলিবার সময় বলেন “গঙ্গা গঙ্গেতি যে ব্রুয়াং যোজনানাং শতৈরপি মুচ্যতে সৰ্ব্বপাপেভ্যে। বিষ্ণুলোকং স গচ্ছতি-গঙ্গা হইতে শত যোজন দূরে থাকিয়াও যিনি গঙ্গা গঙ্গা বলেন তিনি সকল পাপ ১ইতে মুক্ত হইয়। বিষ্ণুলোকে গমন করেন” অথচ প্রায়শ্চিত্ত বিধানের সময়-—যিনি প্র ত্যন্ত গঙ্গা স্নান করেন তাহার ও যে-পাপের যে প্রায়শ্চিত্ত বিধান করেন আর যিনি কোনো জন্মেই গঙ্গার ত্রিসীমা মাড়া’ন না তাহারও সেই পাপের সেই প্রায়শ্চিত্ত বিধান করেন ; “গঙ্গ। গঙ্গুেতি যো ক্ৰয়াৎ” এ বচনটির প্রতি এতই যদি তাহাদের অটল শ্রদ্ধাভক্তি তবে বিলাতফের্তা বঙ্গীয় যুবকদিগের প্রতি গোবর খাইবার বিধান না দিয়া গঙ্গাস্নানের বিধান দিলেই তো হইতে পারে--তাহা তাহারা না দে’ন কেন ? তবেই হইছে যে, তাহদের শাস্ত্রের বিধানে নিষ্পাপ ব্যক্তিরই পাপ ধৌত হইয়া যায়, পাপী ব্যক্তির কেনো পাপই স্বস্থান হইতে তিল মাত্র ও বিচলিত হয় না । তাছাদের ঔষধ-সেবনে নীরোগ ব্যক্তিই জারোগ্য লাভ করে— রোগী ব্যক্তি যেমন আছে তেমনিই থাকে ! কি চমৎ কার সত্যত । Q す。 ○ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা s२ क्षन्त्र, 9 ड1ं _ _ _ * = o oso =ബ് eenen - এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, গোস্বামীর বৈজ্ঞানিক আর্য্য যেমন একতা সমতা এবং সত্যতার একটি জলন্ত আদর্শ, র্তাহার বঙ্গীয় শিষ্যদিগের সঙ, আর্য্য তেমনি অনৈক্য বৈষম্য এবং অসত্যতার একটি অদ্বিতীয় অাদর্শ। গোস্বামী তাহার আপনার মতে কার্য্য করিতেছেন—মহতের মতো কাৰ্য্য করিতেছেন – পৃথিবাস্থ বিভিন্ন আর্য্যজাতির অন্তর্নিচিত ভ্রাতৃবিচ্ছেদের মুলে কুঠার আঘাত করিয়া সকলের মধ্যস্থলে একতা সমতা এবং সত্যতার জয়স্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত করিবার উদ্যোগ করিতেছেন ; তাহার বঙ্গীয় শিষ্যেরাও র্তাহাদের আপনাদের মতো কার্য্য করিতেছেন—ইতরের মতো কার্য্য করিতেছেন—অনৈক্য বৈষম্য এবং কপট ব্যবহারের জিলিপির পাক ক্রমাগতই অধিকাধিক পেচা ও করিয়া পাকাইযা তুলিতেছেন—ভ্রাতৃ-বিচ্ছেদের জলস্ত হুতাশনে ক্রমাগতই অধিকাধিক আহুতি প্রদান করিতেছেন ; —এখন কে আর্য, কে অনার্য্য, শ্রোতৃ-মহোদয়েরা তাহ মনে মনে নিস্তন্ধে ঠাহরিয়া দেখুন। এই পুরাতন ঋষি-বাক্যটি যদি সত্য হয় যে, “নৈতাদৃশং ব্রাহ্মণস্যাস্তি বিত্তং যথৈকতা সমতা সত্যত। চ” ব্রাহ্মণের এমত বিত্ত আর নাই, যেমন একত। সমতা এবং সত্যতা, তবে অগত্যা এইরূপ স্বীকার 事 করিতে হয় যে, গোস্বামীর আর্য্যই প্রকৃষ্ট রূপে ব্রাহ্মণ, লক্ষণাক্রান্ত এবং তাহার বঙ্গীয় শিষ্যদিগের আর্য্য চণ্ডালেরও অধম লক্ষণাক্রান্ত । অতঃপর অনুসন্ধান করা যাইতেছে—প্রথমতঃ আর্য্যামি রোগটা কি ? দ্বিতীয়তঃ সে রোগের গোড়ার স্বত্রটা কি ? তৃতীয়তঃ সে রোগের চিকিৎসা-প্রণালী কি রূপ ? প্রথম, আর্য্যামি রোগটা কি ? রোগটা আর কিছু ন –বাতুলের প্রলাপ ! আৰ্য্যাম করা স্বতন্ত্র এবং অর্য্যোচিত কাৰ্য্য করা স্বতন্ত্র । যাহারা পৃথিবীতে একতা সমতা এবং সত্যতার জ্যোতি বিকীর্ণ করেন তাহারাই আর্য্যোচিত কার্য্য করেন। পৃথিবী-মাতার মুখ উজ্জ্বলকারী বঙ্গের শিরোভূষণ রামমোহন রায় আর্য্যোচিত কার্য্য করিয়াছেন ; কঠোর অধ্যবসায়ী পরহিত-পরায়ণ বিদ্যাসাগর মহাশয় চিরজীবন আর্য্যোচিত কার্য্য করিয়াছেন এবং অদ্যাপি আর্য্যোচিত কার্যt করিতেছেন ; আকুল পুরাতত্ত্ব সাগরের অদ্বিতীয় রত্নধীবর ম্যাক্স মূলার আর্য্যোচিত কাৰ্য্য করিতেছেন ; ইহারই নাম আর্য্যোচিত কাৰ্য্য ; আর, র্যাহারা ন৷ পড়িয়া পণ্ডিত—ন কিছু করিয়া বেয়াল্লিস কৰ্ম্ম, যাহারা হাসির জায়গায় কাদেন কান্নার জায়গায় হাসেন এমনি র্যাহাদের কবিত্ব-রসবোধ, তাহারা যখন বুক ফুলাইয়া বলেন “আমরাই আৰ্য্য—ইংরাজ ফরাসীস্