পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ১৮১২


میسی-eaeerعیت

জন্যই তাহার আকাঙ্ক্ষা । জ্ঞান বলেন, বিচার করিয়া হৃদয়ের অনুভবে কার্য্য কর • আর কৰ্ম্মের আদেশ এই মাহ বিধি, তাহা রই অনুসরণ কর, বিধির যেন কোন তাঙ্গহানি না হয়, প্রাণে অনুভব কর আর না কর, সে জন্য কোন ভাবনা নাই । যজমান ধৰ্ম্মোপার্জনের নিমিস্ত ভূতিভুক্‌ পুরোহিন নিযুক্ত করিয়াই আশ্বস্ত । এই বিধিসিদ্ধ যাগযজ্ঞাদি ব্রতানুষ্ঠান কেবল ফলাকাঙক্ষী ব্যক্তিদিগের চিত্তাকর্ষণের নিমিত্ত । কেহ পুত্রের আশায়, কেহ স্বামীর আশায়, কেহ ধনের অাশায় কেহ কেবল যশের অশায় ধৰ্ম্মকাৰ্য্য করিয়া থাকে । ভোগের কামনায় ধৰ্ম্ম করে, তাহার কামনা আবার সর্ববাপেক্ষা অধিক । ধৰ্ম্ম কার্য্যে এখন যদি যৎসামান্য ব্যয় করি, স্বর্গে তাহার কোটিগুণ সুখ সৌভাগ্য লাভ হইবে, এই আশাতে ফলকামীরা ধৰ্ম্মীনুষ্ঠান করিয়া থাকে । ভারতীয় আচাৰ্য্যগণ সকলপ্রকার অধিকারীর উপযোগিতা অনুসারে উপদেশ করিয়াছেন, কেহই পৰ্ম্মকৰ্ম্ম হইতে একেবারে বঞ্চিত না থাকুক, এই তাহীদের অভিপ্রায় । এই বিময়ে মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় যাহা লিখিয়াছেন, তাহ। এখানে উদ্ধৃত হইল । “অধিকারিবিশেষেণ শাস্ত্রাণুক্তিন্যশেষতঃ” অধিকারী প্রভেদেতে শাস্ত্রে নানা প্রকার বিধি উক্ত হইয়াছে । অর্থাৎ যে ব্যক্তির পরমাত্মতত্ত্বে কোন মতে প্রীতি নাই এবং সৰ্ব্বদা অনাচারে রত হয়, তাহাকে অঘোর পথের আদেশ করেন, তদনুসারে --سے --اے--سہ --س- --

  • বেদীপ্তশাস্ত্রে জ্ঞান বলিতে আত্মার অভেদ জ্ঞান বুঝায়। এই জ্ঞানের সহিত কৰ্ম্মেৰ চির বিরোধ । কৰ্ম্ম কৰ্ত্তসাধ্য আর যে আকৰ্ত্ত জ্ঞান তাহারই হয়, এই কর্তৃত্বা কর্তৃত্ব লইয়াই বেদান্ত শাস্ত্রে জ্ঞান কৰ্ম্মে বিরোধ প্রদর্শিত হইয়াছে। সং

হিন্দুধর্ম ও ব্রহ্মপূজ। যে ব্যক্তি স্বর্গ ృ్ఫ ساتھ سے সেই ব্যক্তি কহে যে “অঘোরান্ন পরোমন্ত্রঃ” অঘোর মন্ত্রের পর তার নাই । আর যে ব্যক্তি পরমার্থ বিষয়ে বিমুখ এবং পানাদিতে রত তাহার প্রতি বামাচারের আদেশ করেন, এবং সে কহে যে “অলিনা বিন্দু মাত্রেণ ত্রিকোট কুলমুদ্ধরেৎ’ বিন্দু মাত্র মদির দ্বারা তিন কোটি কুলের উদ্ধার ছয় । তার মে ব্যক্তির পরমেশ্বর বিষয়ে শ্রদ্ধা ন হইয়া স্ত্রীস্থখাদি বিষয়ে সর্বদ। আকাঙক্ষ হয়, তাহার প্রতি স্ত্রী পুরুমের ক্রীড়াঘটিত উপাসনার উপদেশ করিয়াছেন এবং সে কহে যে,

  • “বিক্রীড়িতং ব্ৰজবধুভিরিদঞ্চ বিষ্ণো: শ্রদ্ধাম্বিতোস্ত্র শৃনুয়াদথ বর্ণয়েদৃযঃ” ইত্যাদি

যে ব্যক্তি ব্ৰজবধূদের সহিত শ্ৰীকৃ. ষ্ণের এই ক্রীড়াকে শ্রদ্ধান্বিত হইয়। শ্রবণ এবং বর্ণন করে সে ব্যক্তির শ্ৰীকৃষ্ণেতে পরম ভক্তি হইয়া অন্তঃকরণের দুঃখ ত্বরাঘ নিবৃত্তি হয়। আর যাহার। হিংসাদি কৰ্ম্মেতে রত হয়, তাহার প্রতি ছাগাদি বলিদানের উপদেশ করিয়াছেন এবং সে কহে যে, মেষের রুধির দান করিলে এক বৎসর পর্য্যন্ত ভগবতী প্রীতা হয়েন । এ সকল অপরা বিদ্যা হয়, কিন্তু ইহার তাৎপর্য্য এই যে, আত্মতত্ত্ব বিমুখ সকল যাহাদের স্বভাবতঃ অ শুচি ভক্ষণে মদিরাপানে স্ত্রীপুরুষসেবিত আলাপে এবং হিংসাদিতে রতি হয়, তাহারা নাস্তিক রূপে এই সকল গর্হিত কৰ্ম্ম না করিয়া পূৰ্ব্বলিখিত বচনেতে নির্ভর করিয়া ঈশ্বরে দেশে এই সকল কৰ্ম্ম যেন করে, যেহেতু নাস্তিকতার প্রাচুর্য্য হইলে জগতের অত্যন্ত উৎপাত হয় । হিন্দুশাস্ত্র জ্ঞানকাণ্ড ও কৰ্ম্মকাণ্ড উভয় ভাগে বিভক্ত। কৰ্ম্মীর কৰ্ম্মকাণ্ডীয় শ্রুতি সকল অবলম্বন করিয়া কৰ্ম্মেরই প্রাধান্য