পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ్నం २२ कछ, a छां★ाँ স মন্ততেইহুঃ কুচতুর্থসংস্থা মিথশচতে তির্য্যগি বামনস্তি । অধঃশিরস্কাঃ কুদলাস্তরস্থ • শছায়া মনুষ্যা ইব নীর তীরে অনাকুল স্ত্যি্যগধঃস্তিতাশ্চ তিষ্ঠন্তি তে তত্র বয়ং যথাত্র ॥” 源 “যিনি যেস্থানে থাকেন, তিনি পৃথিবীকে তলস্থ এবং আপনাকে তাহার উপরিস্ত মনে করেন ; র্যাক্তারা পরস্পব হইতে পৃথিবীর চতুর্থাংশ দূরে অবস্থান কবেন, তাহারা পরস্পরকে তাড় চা ভাবে (অর্থাং কাত হইয়। পড়। ভাবে) অবস্থিত বলিয়া মনে করেন । পুথিবীর উণ্ট। পিটে জলাশয়েল তার স্ত ব্যক্তিপ জল-বিদ্যস্ত প্রতি বিম্বের দ্যায় মন্তষ্যেরা অধোমস্তক, কিন্তু আমরা যেরূপ ভাবে এখানে অবস্থিতি করিতেছি, উপরি-উক্ত অধঃস্থিত এবং তিম্যক-স্তি ত ব্যক্তিরা ঠিক সেইরূপ অনাকুল ভাবে স্ব স্ব স্থানে অবস্থিতি কপিতেছে।” ভাস্করাচায্যের স্ব হস্ত-বচিত এই শ্লোকটি পাঠ করিয়া শ্ৰোতৃবর্গের কিরূপ মনে হয় ? এইরূপ কি মনে হয় যে, তিনি লৌকিক এবং পৌরাণিক মত শিরোধtয্য করিয়াই নিশ্চিন্ত ছিলেন—ম উন্ট আলো এইরূপ মনে হয় যে, তিনি প্রচলিত মতের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানের জয়পা তাকা উড়ীয়মান করিয়াছিলেন ? পৃথিবী শুদ্ধ লোক যেখানে এক বাক্যে বলিতেছে যে, পৃথিবী ত্রিকোণ, সেখানে তিনি একাকী শুদ্ধ কেবল বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ললে--কেহ যাহা চক্ষে দেখে নষ্ট কর্ণে শোনে নাই এইরূপ একটা অস্তুত সিদ্ধাস্ত টানিয়া অানিয়া দাড় করাইলেন ; অসংকুচিত চিত্তে অমান, বদনে বলিলেন যে, “পুথিবী গোল” –ষ্টলে কি যে-সে লোকের কাজ ? ইহা রক্ট নাম আর্য্যোচিত কাপ । এইরূপ আর্য্যোচিত কার্য্যের পরিবর্তে তিনি যদি অtম্যামি কলিতেন, তিনি যদি বলিতেন "মহাজনো যেন গত: স পন্থ।” পূৰ্ব্ব পুরুষেরা যাহা দলিয়াছেন তাহাই ঠিক--পুরাণ যাই বলিয়াছে তাঙ্গাই ঠিক —সকলে যাহা একবাক্যে বলে তাঙ্গাই ঠিকৃ– পৃথিবী ত্রিকোণ ইহাই ঠিক, তবে আমাদের দেশের পূপা তন জ্যোতিষের অাস্যত ষ্ট লা কোথায় থাকি ত, প্রামাণিকতাই বা কোথায়

  • “কদলা স্তরস্থ।”—ণু শব্দে পৃথিবী ; পৃথিবীর দ লাস্তলস্ত’ অর্থাৎ ছোলার যেমন দুইটি দল আছে, তেমন ভূগোলকে দুইটি দলে বিভক্ত মনে করা যাইতে পাবে –একটি দল তা হার উপরিস্তিত অৰ্দ্ধ খণ্ড, আর একটি দল তা চার নিম্নস্থিত অৰ্দ্ধ থও ; নিম্নস্থিত আন্ধ খণ্ডের ভূপৃষ্ঠে যাহারা বাস করে তাহারাই “কুদলাস্তরস্থ” ।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | STA SAM TAAA LSL AAAASAAAA s থাকিত ? তাহা হইলে আজিকের এই উনবিংশ শতাবদীতে সে জ্যোতিষকে কে-ই বা পুছিত অfর কেই বা তাহাকে গ্রাহের মধ্যে আনিত ? দ্বিতীয় উদাহরণ। এ উদাহরণ দৃষ্টি প্রমাণ ফুৰে যে, আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ধৰ্ম্ম অস্ত্রে লোকাচারের অনুমোদিত কুরীতির সঙ্গিত সংগ্রাম করিতেন। অতীব পুরাকালে –বেণ রাজার আমলে—আমাদের দেশে রাক্ষস বিলাহ প্রভৃতি কতকগুলা অসভ্য বিবাহ-পদ্ধতি লোক-সমাজে প্রচলিত ছিল । আমাদের পূর্ব পুরুষের সেই সকল পুরাতন প্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিয়৷ —উঠিষা পড়িয়া-লাগিয়া সে গুলিকে দেশ হইতে বহিস্কৃত করিম দিT -তাচার পরিবর্তে ব্রাহ্মবিলাঙ্গের সুসভ্য পদ্ধতি জনসমাজে চালাইয়া দিলেন ; ইহারই নাম আর্ম্যোচি ত কার্য্য ; তাহা না করিয়া তাতারা যদি আর্ম্যামি করিতেন —লো কাচারের জোয়ালে ঘাড পাতিয়া দিয়া বলিতেন “মহা জনো যেন গত: স পন্থা" আর্য্য পুলপুরুষেপ যাহা কপিয়া গিয়াছেন তাহাষ্ট ঠিক - রাক্ষস বিবাহই ঠিক” তবে আজিকের এই হিন্দুসমাজের অর্থে ত্বই বা কোথায় থাকি ত—ভদ্রত্বই বা কোথায থাকিল ! এই দুই দৃষ্টাগুষ্ট যথেষ্ট ; ইচ’তেই এক অণচড়ে বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, অামাদের পূৰ্ব্বপুরুষেরা লৌকিক কুসংস্কার এবং কুরীতিল বিরুদ্ধে বিজ্ঞান-অস্ত্রে এবং ধৰ্ম্ম-অস্ত্রে সংগ্রাম করিয়া—সত্য এবং মঙ্গলের জয়-পতাকা উডডীযমান করিয়া—নিক্তির ওজনে উচিত মূল্য প্রদান করিয়া--আর্য্যকীৰ্ত্তি ক্রম করিয়াছিলেন। কিন্তু নব্য আর্য্যের কি করিয়াছেন ? তাহার। কি লৌকিক অথবা পৌরাণিক কুসংস্কাবেব বিরুদ্ধে একটিও বৈজ্ঞানিক সত্য আবিষ্কার করি . য়াছেন ? দেশের কোনো প্রকার লোক-প্রচলিত কুরীতির বিরুদ্ধে আলস্ত-শয্যা হইতে গাত্রোথান করিয়া একটিবারও উঠিয়া দাড়াইতে সাহসী হইয়াছেন ? তাহা দূরে থাকুক - আদুরে ছেলেরা যেমন অষ্ট প্রহর যার তার নিকট হইতে মাদর ভিক্ষা করে তাহার তেমনি ভদ্র ভদ্র সকল প্রকার প্রচলিত লোকাচারের স্বপক্ষে অলীক বাচালতা করিয়া ভদ্রাভদ্র সকল-শ্রেণীস্থ বঙ্গ জনেরই আদর ভিক্ষা করিয়। বেড়াইতেছেন এবং সেই ভিক্ষার ধনে আপনাদের আর্য-গরিমার ভাণ্ডার দিন দিন স্ফীত করিয়া তুলিতেছেন। এইরূপে র্যাঙ্গার সিকি পয়সা দিয়া লাখ টাকা মূল্যের আর্য্যকীৰ্ত্তি ক্রয় করেন, তাহাদিগকে আমরা শুধু এই কথাটি বলিয়াই এ যাত্রা ক্ষান্ত হইতে চাই যে, সস্তার তিন অবস্থা ! এই সকল নব্য আর্য্যদিগের প্রতি আমাদের বক্তব্য ইহার অধিক