পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১১১

च'ि्न Sv s२ ృృృ _ صیات=s ه..ےلیے ع बनिक श्रांद्र किछूहे भाहे किड़ खै*श८भद्र थङि भन्नु ভাস্করাচার্য্য প্রভৃতি পুরাতন আর্য্যদিগের বাৎসল্যপূর্ণ উপদেশ এখনো-পর্য্যস্ত আকাশে প্রতিধ্বনিত হইতেন্ধুে তাহ এই যে, “সত্যসত্যই যদি তোমরা আর্য্য হইতে চাও, তবে পূৰ্ব্বে আমরা যাহা করিতাম তাহাই কর ; লৌকিক এবং পৌরাণিক ভ্রান্ত মতের বিরুদ্ধে জ্ঞান-ধৰ্ম্মের জয়স্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত কর ; তোমাদের মধ্যে সামমোহন রায়ের ন্যায় প্ররত অাৰ্য্যদিগেব জন্ম গ্রহণ যেন নিস্ফল না হয়। আর্য্যামি করিলে কিছুই হইবে না ! নিশ্চিত জানিও যে অা র্য্যামি একটা সংক্রামক এবং মারাত্মক মতা ব্যাধি; আর, তাহার ঔষধ আর্য্যোচিত কার্য্য ।” আর্ম্যামি এষ্ট পর্য্যন্তই যথেষ্ট - অতঃপর সাহেবি আনা কিরূপ তা চার প্রতি একবার মনঃ সমাধান করা যাক। অtয্যামিও যেমন, সা:গুবি আনা ও তেমনি –্যুইট সমান। দুই নারিকেলের শাস ফেলিয়া ছোবড় ভক্ষণ। আমাদের দেশের জ্ঞান ধৰ্ম্ম ধৈর্য্য বা গ্য দযা দাক্ষিণ্য অহিংসা ক্ষমা ঋজুতা এষ্টগুলিই শাস, আর, টিকি রাখা, ফোটা কাটা ভি তলে সাল নাই মুখে বামন ষ্ট, দলাদলির মোড়ল-গিরি, ছোবড়া-গুলিই আর্য্যামির প্রধান সম্বল ; তেমনি আবার, উন্নত বিজ্ঞান, উন্নত শিল্প, প্রবল কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা, কম্মিষ্ঠত। কার্য্য-নৈপুণ্য, তেজঙ্গিতা,এইগুলিই উনবিংশ শতাব্দীয় সভ্যতা’র মল উপাদান --এইগুলিই শাল ; একক, এ আর, ইংরাজদিগের ন্যায চট ল-ধরণের চাল চোল, ইংরাজদিগের দ্যায জড়ানে জডানে বুলি, ইংরাজদিগের তায় রক্ত চলাচলের ব্যাঘাতজনক অ*াটা সাটা অশোভন পবিচ্ছদ, এই গুলিই ছোবড় ; এই ছোবড়া গুলিই সাহেবি আনার প্রধান সম্বল। তাই আমরা বলি যে, আর্য্যামি এবং সাহেবিআন এই গুলিই ছোবড়া ; এই ; যে-কোনো রীতিনীতি বা যে-কোনো জাচার ব্যবহার বাঙ্গালিদের মধ্যে প্রচলিত দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাই সাহেবি আনার লক্ষণ। ম্যাক্স মূলার ভট্টের এ কথা যদি সত্য হয় যে, ইংরাজ বাঙ্গালী ফরাসীস প্রভৃতি সকল আর্য্য-জাতিই গোড়tয় এক জাতি ছিল, তবে ইংরাজ-বাঙ্গালি জাতি-দ্বয়ের মৌলিক আচারপদ্ধতি যে একই ধ**চা’র হইবে তােহা তে হইবারই কথা বরং তাহা না হওয়াই বিচিত্র ; তব ও যদি এ ধিযয়ে কাহারো মনে কোনো প্রকাল সন্দেহ থাকে — তবে বক্ষ্যমান দুইটি উদাহরণ শুনিলে, সে সন্দেহ র্তাগর মন হইতে তৎক্ষণাৎ দূরীভূত হইয়। যাইবে। প্রথম উদাহরণ ;-বন্ধু গণের সন্মিলন-কালে ইউরোপীয়দিগের মধ্যে যেরূপ কর-নিপীড়নের (Shakeland এর) প্রথা প্রচলিত আছে আমাদের মধ্যে যে, সেপাপ নাই বা ছিল না, তাহ। নহে ; কালিদাসেব বিক্রমোববসীর প্রথম অঙ্কের প্রথম ঘটনাটিতেই দেখিতে পাওয়া যায় যে, পুরি বা ইন্দ্রপুরা-হইতে মৰ্ত্ত্যলোকে প্রত্যা বৰ্ত্তনের সময় পথিমধ্যে যখন চিত্ররথগন্ধবের সহিত র্তfষ্ঠার সাক্ষাৎকার হইল, তখন উভয়ে স্ব স্ব রথ হইতে অবতরণ পূর্বক পরস্পরের হস্ত নিপীড়ন করিলেন। আর্য্যামি এবং সাহেবিআন দুইই এপিট ওপিট – এ বলে আমায় দ্যাখ, ও’ বলে আমায় দ্যাথ । কেহ মনে করিতে পারেন যে, ইংরাজের যে কোনো প্রণালীতে যে-কোনো কাৰ্য্য করে, বাঙ্গালী বা সেই প্রণালীতে সেই কার্য্য করিলে তা হাতেই তাহা দের সাহেলি আনা হয় ; তাহা যদি কেহ মনে করেন – ' সেটি তাহার বড়ই ভুল ! কেননা তাহা হইলে এইরূপ দাড়ায় যে, ইংরাজে বা যেছে তু ইংরাজি লিখিবাল সময় বামদিক্ হইতে ডাহিন দিকে লেখনী চালনা করে এই জন্য বাঙ্গালিদের উচিত যে, তাই rরা বাঙ্গাল। লিখিবার সময় ডাছিনদিক্ হইতে বামদিকে পরিসীক ধরণে লেখনী চালনা করেন ; নহিলে যেন তাহাদিগকে সাহেবি মান-দোষে লিপ্ত হইয়া পড়িতে হইবে । ফলে, এ কথা কোনো কাজের কথা নহে যে, ইংরাজদিগের দ্বিতীয় উদাহরণ ; –বিবাহোদ্যত বর-কন্যার বয়সের ব্যবস্থা ইউরোপে যেরূপ —আমাদের দেশে ও পূৰ্ব্বে সেইরূপ ছিল ; তাহাব সাক্ষী —মনুর বিধানে পুরুষের ৩০ বৎসর বয়ঃক্রম এবং কণ্ঠার বাবে বৎসর বয়ঃক্রম বিবাহের উপযুক্ত বয়স। এখানে ইহা বলা বাহুল্য যে, আমাদের দেশের বারো বৎসর ইংলণ্ডের পোনেরো বৎসর অপেক্ষা বেশী বই কম নহে । বুঝা যাইতেছে ষে, ইউরোপ এবং ভারতবর্ষ উভয়েরই মধ্যে এরূপ কতক গুলি মৌলিক আচার ব্যবহার রীতি নীতি প্রচলিত আছে যাহা অtয্যজাতি মাত্রেরই সাধারণ সম্পত্তি –একা কেবল ইংরাজদের নিজস্ব সম্পত্তি নহে ; সে গুলিতে ~~কি ইংরাজ –কি বাঙ্গালি কি ফরাসীস্—সকলেরই তুল্য অধিকার ; কাজেই সেগুলি সাহেবি আনার উপকরণ বলিয়া গৃহীত হইতে পারে না । তা ছাড়া, তদপেক্ষ। ব্যাপকতর এরাপ কতক-গুলি বিষয় আছে যা . হাতে আর্য্যানার্য্য সকল জাতিরষ্ট সমান অধিকার – যেমন মনুষ্যত্ব, জ্ঞান, ধৰ্ম্ম হত্যাদি ; কাজেই এগুলি ৭ সছেবি আনার উপকরণ ললিয়া গৃহীত হইতে পাবে ন। একজন অতি বৃদ্ধ টোলের ভট্টাচাৰ্য্য হয় তো মনে করিতে পারেন যে, ইংরাজি বিদ্যালয়ে লেখাপড়। শিক্ষা সাহেবিমানারই সামিল; কিন্তু তাছার সে কথা ইহাতেই