পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ४२ कक्क, 8 छ। न কোনো কাজের কথা নছে ; এটা মন্ততঃ তাহার জানা উচিত যে, সকল-প্রকার জ্ঞান-চচ্চাতেই সকল জাতিরই সমান অধিকার ;–জ্ঞান এবং ধৰ্ম্ম জাতীয়শৃঙ্খলের বন্ধন-হইতে অনেক উচ্চে অবস্থিতি করে । পূৰ্ব্বতন গ্ৰীকজাতি যে, মিসরীয় জাতির নিকটে জ্ঞান শিক্ষা করিয়াছিল, তাহ বলিয়া তাহারা কি মিসরী হইয়া গিয়াছিল ? পাদরী জনেরা যে বাঙ্গালা শিক্ষা করেন—তাছা বলিয়া তাহারা কি বাঙ্গালী হইয়া যা’ন ? সার উইলিয়ম জোনস্ যে, কোনো দেশের কোনো ভাষাই শিক্ষা করিতে বাকি রাখেন নাই—তাহা বলিয়া তিনি কি স্বজাতির পদবী হইতে তিলমাত্রও বিচু্যত হইয়াছিলেন । স্বর্ণ যাহা—তাহা সকল দেশেই সমান—কেবল স্বর্ণের অলঙ্কাব দেশ-ভেদে ভিন্ন ; তেমনি জ্ঞানের আভ্যন্তরিক প্রকৃতি সকল-দেশেই সমান ; কেবল-জ্ঞানের বিকাশের তারতম্য-প্রযুক্ত তাহার ভাব-ব্যঞ্জক ভাষা দেশ-ভেদে বিভিন্ন। বিভিন্ন cদশের বিভিন্ন ভাষা জ্ঞানের বিভিন্ন পরিচ্ছদ বই আর কিছুই নহে । জ্ঞান ইংরাজীও নহে– বাঙ্গালিও নহে–সংস্কৃতও নহে, জ্ঞান জ্ঞানই । যাহার ভাণ্ডারে বৌপ্য আছে তাহাকেই আমি বলিব—ধনী ; ত৷ সেবৌপ্য সিলিঙ বেশেই থাক আর আদুলি বেশেই থাক আর যে-কোনো বেশেই থাক তাহাতে কিছুই আহসে যায না । সিলিঙ অপেক্ষা আঙ্গুলি আমাদের দেশে সমধিক ব্যবহারোপযোগী — ইহা খুবই সত্য ; কিন্তু ৩াঃ খলিয়া আমাকে যদি কোচ এক রাশ স1লঙ_ uদয --তাই কি আমি লহব না ? অবশুই লইল - ছুহ ছাত পাতিয়া লইব - লইতে ছাড়িব না ; কিন্তু লইয়াই টাকশালে দৌড়িব ; – ও সেখানে সেই সিলিঙ - গুলি দিয মনের সাধে টাকা আঙ্গুলি সিকি গড়াইয়। cইব , তাছার বাট্ট যত লাগে লাগুক সে জন্য কাতর ইব না। ইংরাজে বা কি করে ? আমাদের দেশ হইতে কঁাচ। মাল ধূলিরাশির ত্যায় ঝাটাইয়া লইয়া যায়, এবং তাহা দিয়া স্বদেশের ব্যবহারোপযোগী কত }ক নূতন নুতন অপূৰ্ব্ব সামগ্ৰী রচনা করে ; আমবা যদি তেমনি তাহাদের পুথি হইতে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সকল সংগ্ৰন্স করিয়া সেই উপাদান-গুলিকে স্বদেশীয় ভাষার ছাচে ঢালিয়া দেশোপযোগী করিয়া গড়িয়া লইতে জো পাই, তবে সে সুবিধাটি আমরা ছাড়িব কেন ? • ফল কথা এই যে, জ্ঞান, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা, SCMMAAA AAAA SAAAAA AAAA M MMMAAAA ASAS A SAS SSAS SS SS سيكي ويعد نكه

  • এই সুযোগে ফাকতালে একটি কথা বলিয়া নই ;—ইংরাজী ভাষার বাঙ্গালা অনুবাদ-কালে অনেক লেখক কিন্তত কিমাকার নূতন এক-তরে ভাষাগড়িয়া তোলেন,—এইটি বড় দোষের কথা ! আমরা তাই

কাৰ্য্য-নৈপুণ্য, তেজস্বিত, এই সকল মনুষোচিত গুণ জাতি-বিশেষের বা ব্যক্তি-বিশেষের এক-চেটিয়া পণ্য দ্রব্য হইতে পারে না ; এ গুলির প্রতি কস্ত প্রসারণ করিবার অধিকাব সকল জাতীয় সকল মনুষ্যেরই সমান ; অতএব জ্ঞান-উপার্জনের জন্য ইংরাজি শিক্ষণ কোনো গতিকেই সাহেলিআনা শব্দের বাচ্য হইতে পারে না। কিন্তু জ্ঞান-উপার্জনের জন্য ইংরাজি শিক্ষা করা স্বতন্ত্র, আব, বাবাকে পাপ৷ বলি বার জন্য অথবা দারাকে ডিয়ার বলিবার জন্য ইংরাজি শিক্ষা করা স্বতন্ত্র । জ্ঞান উপার্জনের জন্য ইংরাজি শিক্ষা করিলে লোকে মানুষের মতো মানুষ হয় ; ঢঙ উপার্জনের জন্ত ইংরাজি শিক্ষা করিলে লোকে বনমানুষের মতো মা মুষ হয় ;–দুয়ের মধ্যে এইরূপ আকাশ-পাতাল প্রভেদ । পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি যে, যে-সকল রীতিনীতি আচাব-ব্যবহার সমস্ত-আর্য্যজাতির সাধারণ-সম্পত্তি— সাহেবি আনার উপকরণ-গুলি তাহার ভিতরে খুজিয়া পাওয়া যাইতে পারে না ; এক্ষণে দেখিলাম যে, জ্ঞান ধৰ্ম্ম প্রভৃতি মনুষ্যত্বের সার উপাদান যাহা মনুষ্যজাতির সাধারণ সম্পত্তি, তাহার ভিতরেও সাহেবিআনার কোনো প্রকার উপকরণ খুজিয়া পাসয়। যাইতে পাবে না। তবেই দাড়াইতেছে যে, ইংরাজদিগের এরূপ-কতকগুলি বিশেষ-রকমের হাব-ভাব অা কার-প্রকার ভাব-ভঙ্গী চাল চোল যাহা আর্য্যগণেরও সাধারণ সম্পত্তি নহে, আর, মনুষ্য জাতিরও সাধারণ সম্পত্তি নহে—সেই গুলিই সাহেবি আনার উপকরণ । এই তো গেল উপকরণ ; সাহেবি আনার প্রকরণ কি যদি জিজ্ঞাসা কর, তবে তাই এক কথায় বলিয। দেওয়া যাইতে পাবে ; কি ? না -অনুকরণ। পূৰ্ব্বোক্ত উপকরণগুলি শেষোক্ত প্রকরণেব মধ্য দিয়া সাজিয়া গুজিয়া বাহির হইলেই তাত কেই আমরা বলি — সাহেবিআনা । এমতে দাড়াইতেছে যে, অনুকরণই সাঙ্গেবিআনা-রোগের মুল-স্বত্র । অনুকরণ কেবল একটা দিক্‌বিদিকশূন্য অন্ধ চপল তা – তাহার ভিতবে কোনো পদার্থ নাট । অনেক সময় অনুকবণের এটা মনে থাকে না যে, “ঘার যা তারে সাজে অন্তে তাহা লাঠি বাজে” তাই “Letter killtell' spirit giveth life” ai. বচনটির অম্বুবাদ করিতে হইলে এইরূপ অনুবাদ করি যে, মৌখিক শব্দ বাক্যের প্রাণবধ করে, আস্তরিক ভাব বাক্যের প্রাণদান করে ; নচেৎ এরূপ অনুবাদ করি না যে, “অক্ষর বধ করে ও আত্মা জীবন-দান করে ।” “স্বৰ্গ রাজ্য সন্নিকট’ এরূপ ধরণের অনুবাদ শুনিলে আমাদেব গাত্রে জর আইসে !