পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चाश्विन »v s२ আর্য্যামি এবং সাহেবিআন SSq _ _ அடி_ _ ভদ্র রীতি নীতি আচার ব্যবহার শৈশধ কাল হইতে ভদ্র গৃহস্থ ব্যক্তির প্রাণের অভ্যন্তরে দিন দিন ক্রমশই গাঢ় হইতে গাঢ়তর-রূপে বদ্ধমূল হইয়া আসিতে থাস্তুে। এইরূপ করিয়া সকল দেশেরই ভদ্রসমাজে সদভাব এবং সদাচারের একটানা স্রোত ক্রমাগতই প্রবাহিত হইয়া আসিতে থাকে । বাঙ্গালী-সস্তান যেমন বাঙ্গাল ব্যাকরণ না পড়িয়াও অনর্গল বাঙ্গাল। কহিতে শেখেন, তেমনি বঙ্গদেশীয় ভদ্রলোক শাস্ত্র অধ্যয়ন না করিয়াও স্বদেশীয় ভদ্র রীতি নীতি আচার ব্যবহার চতুর্দিক হইতে আত্মসাৎ করিতে থাকেন। স্বদেশীয় ভাযার ব্যাকরণ এবং সমাজের ব্যবস্থt-প্রশালী যদি প্রতি ব্যক্তিকেই নিজের প্রযত্নে গড়িয়া লইতে গুইত, তবে মাতৃভাষাও কোনো দেশে ভূমিষ্ঠ হইতে পারিত না, আর, ভদ্রসমাজ ও কোন দেশে মস্তক তুলিতে পারিত না। এক্ষণে বক্তব্য এই যে, বঙ্গ সস্তানের শৈশব কাল হইতে অনুনি আঠারো বৎসর বয়ঃক্রম পর্য্যন্ত শিক্ষা উপার্জনের কাল ; সেই মুখ্য সময়টির মধ্যে স্বদেশীয় ভদ্র রীতি নীতি আচার ব্যবহার র্যাহাদের মনের অভ্যস্তরে রীতিমত আডডা গাড়িতে না পায়, – সেই মুখ্য সময়টিতে যাহার। স্বদেশে থাকিয়াও স্বদেশীয় ভালো কোনো কিছুরই মম্মাভ্যস্তরে প্রবেশ করিতে না পারেন, তাহীদের সেই শিক্ষার বয়সটি চলিয়া গেলে, তাহারা যে, কিরূপে বিদেশীয় ভদ্র রীতি নীতি আচার ব্যবহার উদরস্থ করিয়া জীর্ণ করিবেন—তাহা বুঝিতে পারা সুকঠিন । । অতএব ক্রাইষ্টের এ কথাটি অতীব সত্য ষে, যাহার আছে সে অারে। পায়, কিন্তু যাহার নাই তাহার যাহা অাছে তাহাও যায় ; তাহার সাক্ষী— স্বদেশের ভাষা-জ্ঞান এবং ভদ্র রীতি নীতির সংস্কার গোড়া হইতেই র্যাহাদের অন্তঃকরণের মধ্যে পুঞ্জীভূত আছে তাহারা বিদেশে গেলে সেখানকার সার সার বস্তুগুলি আকর্ষণ করিয়া আত্মসাৎ করেন –বিজ্ঞান শিল্প কৰ্ত্তব্য-নিষ্ঠা কাৰ্য্য-নৈপুণ্য তেজস্বিতা মহত্ত্ব পরামুকরণে বিরাগ এইগুলি আত্মসাং করেন ; পূৰ্ব্ব হইতেই যাহাঁদের অাছে র্তাহারা আরো পা’ন ; কিন্তু যাহাদের গোড়া থাকৃতি—স্বদেশীয় ভদ্র রীতি-নীতি আচার ব্যবহারের মৰ্ম্মরসের আস্বাদ যাহারা জানেনও না জানিতে চাহেনও না, তাহারা শিক্ষার্থে বিদেশে গেলে হিতে বিপরীত করিয়া বসেন; র্যাহীদের নাই তাঁহাদের যাহা অাছে তাহাও যায়। তাহীদের আপনাদের দেশের ভদ্রাভদ্রের তুলাদণ্ড যদি তঁtহাদের মনের অভ্যস্তরে বর্তমান থাকিত, তবে তাহা দিয়া তাহার অন্ত দেশের ভদ্রা ভদ্র ভেীল করিয়া দেখিয়া—তাহাদের - s=eos e-se =s-smas صحسsصsمصطلع كجكمسمص ASMMA AM MSMAS AMMS পক্ষে যাহা ভাল তাছাই কেবল তাহারা গ্রহণ করি তেন ; কিন্তু সে তুলাদণ্ড যখন তাহাদের মনোমধ্যে নাই, তখন অজ্ঞাত অপরিচিত বিদেশীয় রীতি নীতির ভালমন যে, তাহারা কিরূপে বোধায়ত্ত করিবেন, তাহা বুঝিয়া ওঠা ভার। ফলে ও তাই দেখা যায়, অপক বুদ্ধি লঘুচিত্ত বঙ্গীয় যুবক ইংলণ্ডে গেলে, সেখানকার স্ব কু এবং যৎসামান্য এই তিন প্রকার বিরোধী সামগ্রীকে তিনি একাসনে বসাইয়া সু’য়ের অপমান করেন, কু’য়ের স্পৰ্দ্ধা বাড়াইয়। তোলেন, এবং অজ্ঞানের প্রবদ্ধক কাচের মধ্য দিয়া তিল-প্রমাণ ক্ষুদ্র বিষয়কে তাল-প্রমাণ বড় দেখেন । * জ্ঞানশিক্ষার জন্ত তাহার এখান হইতে ইংলণ্ডে যাত্র। করেন—ঢঙ শিক্ষা করিয়া তাহারা সেখান হইতে এখানে ফিরিয়া আসেন । এইরূপ করিয়াই আমাদের দেশে সাহেবি জানার স্বত্রপাত হইয়াছে এবং এখনো তাহাব জের চলিতেছে । অতঃপর সাহেবি অ’ন রোগের চিকিৎসায় প্রবৃত্ত হইয়া অচিরাং তাহাব একটা ঔষধের ব্যবস্থা করিয়া দিয়া আনুপুব্বিক নিরবচ্ছিন্ন মনঃসংযোগের যন্ত্রণা হইতে আপনাদিগকে শীঘ্রই অব্যাহতি প্রদান করিতেছি — আপনার সুস্থিল ইউন । ইতিপূৰ্ব্বে বারবার বলিয়াছি যে আয্যামি এবুং সাহেবিমান উভয় রোগেরই পক্ষে সাম্য-পন্থী চিকিং AAAAAA AAAASMAAA S SAAAS A SAAAAS AAAAAS AAAAA AAAA MSMMM AAAA SAAAAAM AAAA AAAA MM M MM

  • বাঙ্গালি সাহেবেরা যে, বাস্তবিকই ইংলাঞ্জা তিলকে তাল দেখেন এবং বাঙ্গালি তাণকে তিল দেখেন, তাহার প্রমাণ সেদিনকার সভাস্থলে হাতে হাতে পাওয়া গেল। একজন বক্তা উঠিয়া বলিলেন “মেষের চামড়া মেষকে সাজে –বৃকের চামড়া বৃককে সাজে, বাঙ্গালিরা আগে বুক হো’ন তবেই বুকের চামড়া তাহাদের গাত্রে মামাইলে ; আগে তাত ল। সাহেবদের মতে তেজী পুরুষ হো’ন তবেই তাতাদের গাত্রে সাহেবি ঢঙের কোর্তা মানাইবে” – যেন হ্যাটকোট তেজস্বিতার একটি অপরিহায্য অঙ্গ ! পুরাণের ভীমসেন তো আর মেষ ছিলেন না—বুকেদির তিনি বুকই ছিলেন ; তিনি কি ইংরাজি ঢঙের কোট পবিতেন ? হানিলাল কি রোমান ঢঙের পরিচ্ছদ পরি তেন ? পরাগ্লুকরণ তো আর তেজীয়ান বীর পুরুষেব লক্ষণ নহে—তাত লেজিয়ান বীর পুরুষেরই লক্ষণ । তাহার সাক্ষী —ইংবাজিতে Aping (হতু করণ) ব’লয়: যে একটি শব্দ আছে তাহ। আপনিই আপনার বীরংশের পরিচয় দিতেছে ! ইংবাজি তিল’কে যাহার। তাল দেখেন আর বাঙ্গালি তালকে র্যাহার। তিল দেখেন র্তাহারাই ইংরাজি ঢঙের কোর্ভাকে সভ্যতাব একটি প্রধান অঙ্গ বলিয়া হৃদয়ঙ্গম করেন, আর, দোধুয়মান সহজশোভন ধুতিচাদরের যে, একটি অঙ্কত্রিম শোভা, তাহার প্রতি তাহারা চক্ষু থাকতে ৪ অন্ধ।”