পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>br তত্ত্ববোধিনী পত্রিক »२ कब्र, a छानि সাই সবিশেষ ফলপ্রদ। "সমে সাম্যং প্রয়োজয়েৎ”-- नांट्झदिब्रांनांव्र छि ठान्न झे नांtश्दि श्रांना द्र खेश द खांत्रिতেছে, এখন তাহাকে বাহির করিয়া লইতে জানিলে হয়! সাহেবদিগের আকার প্রকার ভাব-ভঙ্গী প্রভৃতি বাহ আবরণের ভিতরে বিজ্ঞান তেজস্বিতা আত্মনির্ভর কৰ্ত্তব্য নিষ্ঠা কার্য্য-নৈপুণ্য কৰ্ম্মিষ্ঠত এই সার পদার্থগুলি জাগিতেছে ; সেগুলিকে এক কথায় ব্যক্ত করিতে হইলে, তাহার নাম উনবিংশ শতাব্দীয় সভ্যতা ; এইটিই হ’চ্চে সাহেলী উপকরণ-গুলিব মাতৃক সত্ত্ব কিনা mother tincture ; qā Mtoo lost, wool of TT গুলিয়া তাহার তেজ কমানো চাই –নহিলে তাহা বাঙ্গালিদিগের সেবনোপযোগী হওয়া ক্ষের । এই ৷ উনবিংশ শতাব্দীয় সভ্যতার যেরূপ মহত্ত্ব এবং তেজ স্বিত। তাহাতে পরাস্করণের নীচত্ব তাহার ত্রিসীমায় । অগ্রসর হইতে সাহসী হয় না ; তাহার সাক্ষী— | ইংরাজেরা জৰ্ম্মানদিগের নিকট হইতে দার্শনিক তত্ত্বজ্ঞান আদায় করিতে কিছু মাত্র সংকোচ করিবে । ন। কিন্তু জন্মানদিগের আকার প্রকার ভাবভঙ্গী, রকম সকম, আপনাদের মধ্যে চালাইতে কিছুতেই সম্ম ত হইবে না ; জয়নে বা ইংরাজদিগের নিকট-হইতে বাণিজ্য ব্যবসায়ের রাতি পদ্ধতি আদায় করিতে কিছু মাত্র কুষ্ঠিত হইবে মা, কিন্তু ইংরাজদিগের আকার প্রকার ভাবভঙ্গী কখনই আপনাদের মধ্যে প্রচলিত করিতে চাহিবে না । ইউরোপের সর্বত্রই এইরূপ । { + নিতান্ত কাছাকাছি দেশস্থ ব্যক্তিদিগের মনের ভাব যেহেতু অনেক অংশে সমান, এই জন্য তাছাদের মধ্যে বেশ-ভূষাদির অনুকরণ যাহা কিছু দেখিতে পাওয়া যায় তাহ প্রকৃত পক্ষে অনুকরণ নহে ; কেননা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, সমান মনের ভাব হইতে সমান কার্য্য অভিব্যক্ত হইলে তাহ অনুকৃতি শব্দের বাচ্য নহে– তাহ প্রতিকৃতি শব্দেরই বাচ্য। ইতার দুইটি উদাহরণ দিতেছি ; তাহা হইলেই এখানকার এই কথাটির মন্ম বুঝি বার পক্ষে আর কোনো গোল থাকিবে না। “নাচের উপযোগিতা’ এই ভাব হইতে ইংরাজ এবং ফরাসাস উভয় জাতিরই মজলীষী গাউনের ঢঙ (কোত্তাদিরও ঢঙ) উত্তত হইয়াছে ; উভয় জাতির মনের ভাব এইরূপ সমান হওয়াতে ইংরেজেরা পারিস ঢঙ অনুকরণ করিলে তাহাদের স্বপক্ষে এইরূপ একটি কথা বলিবার থাকে যে, সেরূপ ঢঙ তাহাদের 1নজের মনের ভাবেরই প্রতিকৃতি । পক্ষাস্তরে ‘‘নাচের উপযোগিতা" এ ভাবটি বাঙ্গালিদের মনে কোনো পুরুষেই নাই –এ অবস্থায় বাঙ্গালিরা যদি উহাদের দেখাদেখি ঐরুপ ঢঙের অনুকরণ করেন, তবে তাহtদের স্বপক্ষে কাহারে এরূপ কথা বলিবার জো থাকে ন যে, সে ঢঙ তাহাদের মনের ভাবের প্রতিকৃতি ; যেহেতু তাহ অনুকৃতি ভিন্ন আর কিছুই হইতে পারে । বাঙ্গালিরা যদি ইউরোপীয়দিগের আকার প্রকার ভাবভঙ্গীর প্রতি ক্ৰক্ষেপ না করিয়া শুদ্ধ কেবল উনবিংশ শতাব্দীয় সভ্যতাটি তাহাদের নিকট হইতে সঙ্গ হ করেন এবং সঙ্গহ করিয়া তাহাকে আপনাদের দেশের ছাচে ঢালিয়া আপনাদের মতো করিয়া গড়িয়া ল’ন, তবে তাহারা সাহেবি আনা রোগ হইতে পরিত্রাণ পাইয়া একটা জাতির মতো জাতি হন। তাই আমরা বলি যে, উনবিংশ শতাব্দীয় সভ্যতাই সাহেবি আনা রোগের মহৌষধি । উপসংহারকালে “মধুরেণ সমাপয়েৎ" এই বচনটি আমার মনের সম্মুখে আসিয়া দুই হাত দুইদিকে প্রসারণ পূর্বক পথ-রোধ করিয়া দণ্ডায়মান-- ইহাকে আমি লঙ্ঘন করিতে অসমর্থ। আর্য্যামি এবং সাহেবিআনার ৰিপক্ষে আমি অনেক কথা বলিয়াছি, কিন্তু দোহার স্বপক্ষে একটি কথা যাহা আমার বলিবার আছে তাহাতেই উভয়ের সাত খুন মাপ ! সেই কথাটি বলিয়াই আমি প্রস্তাব সাঙ্গ করিতেছি । আৰ্য্যামিকে আমি এই জন্য ভাল বলি যেহেতু তাহার গৰ্ত্তে আর্য্যোচিত কার্য্য ভষ্মাচ্ছাদিত অগ্নির দ্যায় জাগিতেছে ; আর, সাহেবিআনাকে আমি এইজন্ত ভাল বলি যেহেতু তাহার গৃহাভ্যন্তরে উনবিংশ শতাবদীয় সভ্যতা গোকুলে বাড়িতেছে । আর্য্যামির গৰ্ত্ত झश्८ङ यथन श्राप्र्याङि कार्या छूभिई श्हेग्रो काणক্রমে যৌবনে পদার্পণ করিবে তখন সে উনবিংশ শতাব্দীয় সভ্যতার পাণিগ্রহণ করিবে ; তাহার পরে অর্য্যোচিত কার্য্যের ঔরষে এবং উনবিংশ শতাব্দীয় সভ্যতার গৰ্ত্তে তিলোত্তমার ন্যায় একটি পরমাসুন্দরী কন্ত জন্মগ্রহণ করিবে ; তাহার নাম পঞ্চবিংশ শতাব্দীয় সভ্যতা ; এ সভ্যতার গাত্রে ভারতবর্ষীয় আর্য্যদিগের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ এবং ইউরোপীয় আর্য্যদিগের বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ দুইই একাধারে সম্মিলিত হইবে—এইটি যে দিন হইবে, সেই দিন ভারতের সমস্ত দুঃখদুর্দিনের অবসান হইবে। এই খানেই শাত্তিঃ শাস্তিঃ । না। তেমনি বাঙ্গালিদের সন্দেশ প্রভৃতি भिष्ठेॉब्र“জল-খাবার’ এই ভাব হইতে উৎপন্ন হইয়াছে (কেননা মিষ্ট দ্রব্য জল-পিপাসার উদ্দীপক) ; পক্ষাস্তরে —ইংরাজদের শুকনা বিস্কুট আদি ভক্ষ্য সামগ্ৰী “মদ-খাবার’ এই ভাব হইতে উৎপন্ন হইয়াছে (কেন ন। সেইরূপ সামগ্রীই মদ্যের চাটের উপযোগী); এ অবস্থায়—বাঙ্গালিরা যদি সন্দেশ-অাদির পরিবর্তে বিস্কুট-আদির ব্যবহার আপনাদের মধ্যে চালা’ন— তাহা হইলে তাহা অমুকুতি-ভিন্ন আর কিছুই হইতে পারে না। তবে, এখন যেরূপ কাল পড়িয়াছে তাছাত্তে দ্বিতীয় উদাহরণটি অনেক স্থলে না থাটিবারই কথা।