পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* १ कछ, a छी त्र ృషి তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা কীৰ্ত্তন করেন, নানাবিধ ফলশ্রুতির প্রলোভনে ভোগাভিলাষী ব্যক্তিগণকে যাগ রিয়া থাকি, ফল থাকুক আর না থাকুক, গৃহধৰ্ম্ম পালন করিতে আমার যাহা কৰ্ত্তব্য আমি তাহাই করি । যাহারা স্বর্গাদি ফল-, যজ্ঞাদিকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত করিয়া থাকেন। জ্ঞানীরা জ্ঞানপ্রভাবে কৰ্ম্মকাণ্ডের অলীকতা উপলব্ধি করিয়া জ্ঞানযোগে পরমাত্মার উপাসনার দ্বারা পরমানন্দে মগ্ন হয়েন । বেদশিরোভাগ বেদান্ত স্বরূপ জ্ঞানকাণ্ড উপনিষৎ ও গীতা এবং পুরাণ ভাগবতাদিতেও কাম্য কৰ্ম্মের যথেষ্ঠ নিন্দ দেখিতে পাওয়া যায় । ভগবদগীতা কাম্য কৰ্ম্মের নিন্দাতে পরিপূর্ণ। যদিও শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে লোক সংগ্রহের জন্য কৰ্ম্ম করিতে উপদেশ দিয়াছেন, তাহা সকল কৰ্ম্মের উপদেশ নহে, নিষ্কাম কৰ্ম্মযোগই গীতাতে উপদিষ্ট হইয়াছে । বর্তমান হিন্দু সমাজে যে সকল কৰ্ম্মনুষ্ঠান প্রচলিত রহিয়াছে, গীতোক্ত নিষ্কাম ধৰ্ম্মের সহিত তাহার কোন সম্বন্ধই নাই । যে সকল যাগ যজ্ঞ পুজা অৰ্চনাদির আরম্ভেই সংকল্প, ভোগাভিলাষ পুত্র ও বিত্ত কামনা ব্যতীত যাহা অনুষ্ঠিতই হয় না, পরজন্মে বা স্বগলোকে ধন, মান ও বিবিধ ইন্দ্রিয় সুখদ বস্তু লাভের তাশায় যে সকল ব্রত । অনুষ্ঠিত হয় ব্রহ্মোপাসক আপনার জ্ঞান বিশ্বাসের বিরুদ্ধাচরণ করিয়া সমাজরক্ষা বা লোক রক্ষার জন্য কি প্রকারে তাহার৯ অনুষ্ঠান করিবেন আমরা বুঝিতে পারি না । ধৰ্ম্মের জন্যই ধৰ্ম্ম, কৰ্ত্তব্যের জনাই কৰ্ত্তব্য, ধৰ্ম্মের পুরস্কার স্বয়ং পরমেশ্বর | প্রবঞ্চনা ও প্রতারণা দ্বারা যে সুখ উপার্জন করা যায়, সেই সুখ যদি ৷ ধৰ্ম্মের লক্ষ্য হয়, তবে তার ধৰ্ম্মের মহত্ত্ব কি । মহাভারতে দ্রৌপদীকে ধৰ্ম্মাত্মা যুধিষ্ঠির বলিতেছেন, আমি ফলাকাঙক্ষী হইয়া কৰ্ম্মানুষ্ঠান করি না, আমি দী স্তব্য বলি য়া যজ্ঞ ক লাভ লোভে ধৰ্ম্মাচরণ করে, তাহারা ধৰ্ম্মবণিক ও অতি মূখ। সেই ধৰ্ম্মবণিকেরা ধাৰ্ম্মিক সমাজে ঘৃণিত হইয়া থাকে। শ্ৰীমদ্ভাগবতে কথিত হইয়াছে, “ এবং ব্যবসিতং কেচিদবিজ্ঞায় কুবুদ্ধয়: । ফলশ্রুতিং কুসুমিতাং ন বেদজ্ঞা বদস্তি চি” । বেদের তাৎপর্য্য যে মোক্ষ তাহা না জানিয়া কুবুদ্ধি ব্যক্তি সকল আপাততঃ রমণীয় যে ফলশ্রুতি তাহাকেই পরম ফল কহিয়া থাকে, কিন্তু প্রকৃত বেদত্তেরা এ প্রকার কহেন না। স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য বলেন, পণ্ডিতেরা মূখদিগকে কাম্য কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত করিবেন না। তিনি ভাগবতের এই বচন উদ্ধত করিয়াছেন, “স্বমং নিঃশ্রেয়স বিদ্বান ন বক্ত্যজ্ঞায় কৰ্ম্মহি । ন রাতি বোগিtণপথ্য বাঞ্চতেপি ভিযক্তমঃ’ ৷ আপনি মুক্তিসাধন পথকে জানিয়া তাজ্ঞ ব্যক্তিকে কাম্য কৰ্ম্ম করিতে কহিবে না । যেমন কুপথ্য আহারেচছু রোগীকে সৎ বৈদ্য কদাপি কুপথ্য দেন না । লোক সমাজের গভীর অজ্ঞানত দেখিয়া আৰ্য্য ঋমিরা মনে করিলেন যে, সাধারণ জনগণ জ্ঞানমার্গানুসরণ করিয়া পরমাত্মার উপা সনাতে সক্ষম হইবে না, এই জন্য র্তাহার সাধারণ শ্রেণীর নিমিত্ত যাগযজ্ঞের ব্যবস্থা করিলেন এবং ঐ সকল ক্রিয়া নিষ্কাম হইয়। করিলে ক্রমে ব্রহ্মজ্ঞান লাভে অধিকারী হইবে এই প্রকার আশ্বাস দিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হৃদয়শূন্য বাহ্য কৰ্ম্মকাণ্ডই এদেশের সাধারণ ধৰ্ম্ম হইয়া পড়িল । ব্ৰহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মপূজা গৃহস্থভবন পরিত্যাগ করিয়া অরণ্যবাসী ব্রহ্মবাদী ঋষিদিগের আশ্রমভূমি আশ্রয় করিল। ফলত কৰ্ম্মের