পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২s যে এই ছোট মন্দির ভগ্ন করিয়৷ বৃহৎ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দাও । মন্দির প্রস্তুত হইল এবং স্বর্ণের দ্বার। সেই মন্দির মোড়াই করিয়া দিল । কেবল যে পর্য্যস্ত बश्वाद्र शङ याबू cगहे পর্য্যস্ত প্রস্তর ফাক রাখিয়াছে।” পাঠকগণ কোন আশ্চর্য্য বোধ করিয়া যেন জালামুখি তীর্থে যাইয়া অগ্নিজ্যোতিকে দর্শন না করেন, কেন না সেই অগ্নিজ্যোতি তো সকল স্থানে দর্শন হইয়া থাকে। তোমরাও তো নিজ নিজ ঘরে অগ্নি প্রজুলিত করিয়া থাক, সেই অগ্নি তো তোমাদের প্রত্যেকের শরীরের মধ্যে আছেন। যিনি প্রত্যক্ষ পরম জ্যোতি স্বর্য্যনারায়ণ চন্দ্র মা দি বারাত্র জ্বলিতেছেন ও যাহার তেজ তৈল ঘৃত সংযোগ ব্যতীত স্বয়ং প্রজলিত আছেন এই স্বর্য্যনারায়ণ এবং চন্দ্রম। জ্যোতিকে দর্শন করিলে তিনি তোমাদের সকল দুঃখ পাপ মোচন করিয়া আনন্দস্বরূপ রাখিবেন । শিবনারায়ণ মনে মনে ভাবিয়া দেখিলেন, যে সকল তীর্থের তো একই রূপ ভাব, তবে আর বদ্রিনারায়ণ যাইবার প্রয়োজন কি, সেখানেও তে। এইরূপ প্রস্তর ও বরফে আবৃত পাহাড় আছে । এই ভাবিয়া অনর্থক বদ্রিনারায়ণ না গিয়া জালামুখি হইতে বরাবর দিল্লী চলিয়া আসিলেন । দিল্লী হইতে মাড়ওয়ারে পুষ্কররাজ মধ্যে উপস্থিত হইলেন। তথায় একটি পুষ্করণী আছে। সেই পুষ্করণীতে সকলে স্নানাদি পুণ্যকায্য করে । পুষ্করিণীর পশ্চিমদিকে দুইটা পাহাড় আছে। সেই পাহাড়ের উপর দুইটা মন্দব আছে । সেই মন্দি:রর মধ্যে একষ্টাতে সাবিত্রী মাতা ও একটাতে গায় ত্রা মাতা স্তাপিত আছেন । ইহঁাদের এইরূপ প্রভাব যে ইহারা সকল ৫:থ পাপ হইতে মোচন করেন । সা|বত্রী এবং গায়িত্রী মাতা শাস্ত্র দিতে ষে বণিত আছেন তাহার সার অর্থ এইরূপ ; সাকার ব্রহ্ম অর্থে জ্যোতিঃ স্বরূপ স্বর্য্যনারায়ণ । তাহারই সাবিত্রী এহ্ম নাম কল্পনা কর। হইয়াছে এবং চন্দ্রম। জ্যোতি ব্রহ্মের গায়িত্রী নাম কল্পনা করা হইয়াছে। এই জ্যোতিঃস্বরূপ ঈশ্বর জীবকে সকল দুঃখ পাপ হইতে মুক্ত করেন । ইহঁাকে ন৷ চিনিয়া ব্লাজ। প্রজা সকলে কল্পিত স্থানে খাইয়। ভ্ৰমেতে পতিত হন । অনস্তর সেখান হইতে শিল নারায়ণ অাজমেড় আসিলেন । অাজমেড় সইরের মধ্যে এক মুসলমান খাজা সাহেবের কবরস্থান ও তাহার এক পাশ্বে মসজিদ আছে। যেখানে থাঞ্জ। সাহেবের কবব আছে, সেই ঘরের মধ্যে চতুiদক ঝাড় লণ্ঠন ইত্যাদির দ্বার। ভ ম রূপে সুসজ্জিত করিয়া রাখয়াছে। সেই কবর দশন করবার জন্য হিন্দু এবং মুসলমান সকলেই যাহতেন। খাজা সাহেলের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०२ कछ, 8 छ,' _ স্থানের ফকিররা সেই দেশের চারিদিকের রাস্তার দাড়াইয়া থাকে, এবং পুষ্করতীর্থ দর্শনে যে সকল হিন্দু যাত্রিরা যান তাহাদিগকে সেই মুসলমান ফকিররা ডাকিয়া আনে আর বলে, “আমাদের এই তীর্থ দশন । করিলে তোমরা সকল ফল প্রাপ্ত হইবে” । " সংক্ষিপ্ত সমালোচনা | মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবন চরিত— ঐনগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রণীত—দ্বিতীয় সংস্করণ --পরিবর্তিত ও পরিবদ্ধিত—কলিকাতা ত্ৰাক্ষমিসন প্রেস ১২৯৬ । এই পুস্তক বাঙ্গলা ভাষার জীবন চরিত বিভাগে একটি আদর্শ পুস্তক বলিয়া থ্যাতি লাভ করিয়াছে । অতএব ইহার বিষয় অধিক বলা অনা বশ্যক। নগেন্দ্র বাবু এই দ্বিতীয় সংস্করণে অনেক নুতন বিষয় ও আদি ব্রাহ্মসমাজের সংস্থাপক মহাত্মা রামমোহন রায় সম্বন্ধীয় কতকগুলি নুতন গল্প দিয়াছেন । বিশেষত রামমোহন রায়ের যে সকল বন্ধু ব্ৰহ্ম-সঙ্গীত রচনা করিয়াছিলেন ও যাহাদিগের নামের আদ্যক্ষর নিজ নিজ রচিত গানের শেষে সংযুক্ত আছে র্তাহাদিগের সম্বন্ধে পুস্তকের শেষে যাহা দিয়াছেন তাঙ্গা নিতান্ত নুতন ও ইহাদ্বারা পুস্তকের মর্য্যাদা আরও বুদ্ধি করিয়াছে। চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের রচনা শক্তি উৎকৃষ্ট এবং গল্প (আমরা মিথ্য গল্প বলিতেছি না, সত্য গল্প) জমাইবার বিলক্ষণ ক্ষমতা আছে । এই পুস্তক রচনাতে বিশেষতঃ এই দ্বিতীয় সংস্করণে চট্টোপাধ্যায় মহাশয় নানা পুস্তক ও নানা লোকের নিকট হইতে সম্বাদ সংগ্ৰহ কায্যে যে অসাধারণ পরিশ্রম করিয়াছেন তাই তাহ (র পক্ষে অ তীব গৌরব জনক । ভরসা করি পাঠক বর্গ প্রথম সংস্করণ অপেক্ষ এই দ্বিতীয় সংস্করণ অধিক ক্রয় করিয়া তাহার পরিশ্রম সার্থক কারবেন । আয়ুৰ্ব্বেদীয়মৃ ভৈষজ্যবিজ্ঞানম্। শ্রমতা ঈশানচন্দ্র বিশারদেম সঙ্কলিতম্। গ্রন্থকার আয়ুৰ্ব্বেদীয় ঔষধের উপকরণ দ্রব্য সমূহের পরিভাষা অর্থাৎ পরিমাণাদি মূল আযুৰ্ব্বেদায় বহুবিধ প্রামাণিক গ্রস্থ হইতে সংগ্ৰহ করিয়া প্রত্যেক শ্লোকের নিজ রচিত টীকা ও বিশুদ্ধ প্রাঞ্জল বাঙ্গল। অনুবাদ প্রকটন করি: ছেন। তিনি স্থানে স্থানে নিজের ধাঁচত সিদ্ধা ও ও নিয়মাদি প্রকাশ করিয়া অনেক জটিল বিষয়ের মীমাংসা করিয়াছেন । গ্রন্থ খানি আয়ুৰ্ব্বেদায় মতানুযায়ী চিকিৎসক মাত্রেরই মহোপক রক হইয়াছে। ইহার প্রণয়ন বিষয়ে বিশারদ মহাশয় স্বায় অসাধারণ পাণ্ডিত্য গভীর গবেষণা ও প্রগাঢ় শাস্ত্রাভনেশ প্রদ শন করিয়াছেন । ভরসা করি তিনি অবশিষ্ট খণ্ডগুলি প্রকাশ করিয়৷ বৈদ্যক সমাজের একটী বিশেষ অভাব নিবারণ কfরবেন।