পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক ১৮১২ প্রমাণতত্ত্ব ১২৫ ন্দ্রিয়, সে বিধায় তাহ অতীন্দ্রিয় অর্থাৎ | প্রত্যক্ষের অগোচর। অথচ প্রকারান্তরে বলা হইল, অন্তঃকরণ প্রত্যক্ষের গোচর । ভাৰ এই যে, প্রত্যক্ষ পদার্থের ধৰ্ম্ম প্রত্যক্ষ, অপ্রত্যক্ষ পদার্থের ধৰ্ম্ম অপ্রত্যক্ষ, ইহাই দৃষ্ট হয়। অন্তঃকরণ ইন্দ্রিয় হইলে উক্ত নিয়মানুসারে অন্তঃকরণধৰ্ম্ম স্থখাদি সাক্ষাৎ অনুভূত হইতে পারে না । তথচ তাহা হন । সুতরাং জিজ্ঞাস্য হয়, সেরূপ হওয়ায় তাৎপর্য্য বা কারণ কি ? প্রত্যুত্তর —অন্তঃকরণ ইন্দ্রিয় নহে । অন্তঃকরণের ইন্দ্রিয়ত্বে প্রমাণ নাই । ভগবদগীতার “মনঃষষ্ঠানীন্দ্রিয়াণি—মন যাহাদের ষষ্ঠ অর্থাৎ ষট্ৰসংখ্যার পূরক, সেই সকল ইন্দ্রিয়—” এই বচন প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইতে পারে না । মন ইন্দ্রিয় ীি হইলেও তদ্বারা ষট্রসংখ্যার পূরণ হইতে পারে। ইন্দ্রিয়গত সংখ্যা ইন্দ্রিয়ের দ্বারাই পূরণ করিতে হইবে, অন্য কিছুর দ্বার নহে এমন কোন নিয়ম নাই। বিজাতীয় পদার্থের দ্বারাও বিজাতীয় পদার্থের সংখ্যা : পূরিত (গণনা ) হইতে দেখা যায়। যথা—“যাহাঁদের পঞ্চম যজমান সেই সকল পুরোহিত ইড়া ভক্ষণ করিবেন।” * দেখ, এই বাক্যে যজমানের দ্বারা পুরোহিতনিষ্ঠ পঞ্চসংখ্যার পূরণ হইয়াছে। “মহাভারত যে সকলের পঞ্চম সেই সকল বেদ অধ্যাপনা করিলেন।” এখানেও আবেদ মহাভারতের দ্বারা বেদগত পঞ্চ সংখ্যার পূরণ বা গণনা হইয়াছে। এতদ্ভিন্ন, মন যে ইন্দ্রিয় নহে তদ্বিষয়ে শ্রীতিপ্রমাণও আছে । শ্রীতি বলিয়াছেন, “অর্থ অর্থাৎ বিষয় সকল ইন্দ্রিয়াপেক্ষ পর এবং মন ঐ অর্থ অ পেক্ষ পর (শ্রেষ্ঠ বা উৎকৃষ্ট।” কেন পর ? ।

  • ६ क्लt ॥ Cश्tभ अ८वTब्र उपद८*ष ।

তাহা যথাস্থানে বক্তব্য) । বলিতে পার, মন. যদি ইন্দ্রিয় না হয় তবে তজ্জনিত সুখাদি জ্ঞান অপরোক্ষ (সাক্ষাৎকার) হয় কেন ? যে যে জ্ঞান ইন্দ্ৰিয়সন্নিকর্ষজনিত সেই সেই জ্ঞানই প্রত্যক্ষ, এই নিয়মানুসারে মনোজনিত বা মানস স্থখাদি জ্ঞান পরোক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ থাকাই ত উচিত ? ইহার প্রত্যুত্তর এই যে, জ্ঞানের সাক্ষাত্ত্ব বা প্রত্যক্ষত ইন্দ্ৰিয়-জন্যতা-মূলক নহে । অর্থাৎ ইন্দ্রিয়জনিত হইলেই সাক্ষাৎকারাত্মক জ্ঞান হয় অন্যথা পরোক্ষ জ্ঞান হয়, এরূপ কাৰ্য্যকারণ ভাব নচে । এমন কেহই বলিতে পারিবেন না যে, ইন্দ্রিয়জন্যতাই প্রত্যক্ষতার প্রযোজক বা নিয়ামক হেতু। ঐরূপ কাৰ্য্যকারণ ভাব হইলে মনোজন্য অনুমিতি-জ্ঞানে প্রত্যক্ষতার (অনুমানপ্রমাণজ জ্ঞান মাত্রেই পরোক্ষ থাকে ; প্রত্যক্ষ হয় না) ও অজন্য (নিত্য) ঈশ্বরীয় জ্ঞানের পরোক্ষতার আপত্তি হইবে । (ঈশ্বরের জ্ঞান নিত্যপরোক্ষ ; বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড র্তাহার সাক্ষাৎ কারে ভাসিতেছে ; পরোক্ষ জ্ঞান তাহাতে নাই ।) প্রশ্ন – তবে বেদান্তসিদ্ধান্তে প্রত্য ক্ষতার প্রয়োজক (নিয়ামক হেতু) কি ? অর্থাৎ কিরূপ হইলে পরিষ্কার প্রত্যক্ষ জ্ঞান হয় ? প্রত্যুত্তর ।—তোমরা কি জানিতে . চাও ? জ্ঞানগত প্রত্যক্ষতার # প্রয়োজক জানিতে চাও ? কি বিয়ষপ্রত্যক্ষের প্র য়োজক জানিতে চাও ? যদি জ্ঞানগত

  • *জ্ঞানগত প্রত্যক্ষ” এ কথার অর্থ জ্ঞানেব জ্ঞান ৷ ঘট জানা হইয়াছে এই ঘট, ইহা ঘটপ্রত্যক্ষের বোধক । তৎপরে যে আমি ঘট জানিয়াছি, আমার জানা হইয়াছে, ইত্যাদি প্রকারে যে অলংবুদ্ধি অর্থাৎ তৃপ্তিবিশেষ জন্মে, তাহাই ঘটজ্ঞানের জ্ঞান এবং তাহাই

खांन ©उTभः । नTांब्रwitळू ऐश1"श्रशूदादनांम्न ७ खांउी নামে প্রসিদ্ধ ।