পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ככ של הtuא দ্বারা কৰ্ম্ম কখন ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না। কাম্যবস্তুর উপভোগে কামনার কখন নিবৃত্তি হয় না, প্রত্যুত মৃতপ্রাপ্ত অগ্নির ন্যায় আরও বৃদ্ধিই হইতে থাকে। যযাতি রাজার এই আক্ষেপোক্তি অতিমাত্র সত্য । যাহারা সকাম কৰ্ম্ম দ্বারা চিত্তশুদ্ধির প্রত্যাশা করিয়া ব্রহ্মজ্ঞানের আকাঙ্ক্ষা করেন, র্তাহারা ঘৃতাহুতি দ্বারা জ্বলন্ত পাবককে নিৰ্ব্বাণ করিতে ইচ্ছা করেন । “যজ্ঞার্থাত কৰ্ম্মণোন্যত্র লোকোয়ং কৰ্ম্মবন্ধনঃ" । ঈশ্বরের উদ্দেশ বিনা যে কৰ্ম্ম তাহাই জীবের বন্ধনের কারণ ৷ বেদান্তশাস্ত্র পঞ্চদশীতেও কৰ্ম্মকাণ্ডীয় অনুষ্ঠানের দ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞানের আলোচনা প্রতিরুদ্ধ হয়, এই-- রূপ উপদেশ রহিয়াছে। অনেকে বলেন, । অগ্রে দেবদেবীর পূজা ও কৰ্ম্মানুষ্ঠান দ্বারা চিত্তের নিৰ্ম্মলতা সম্পাদন কর, তার পর ব্রহ্মোপাসনা । ভগবান বাদরায়ণ শারীরকের “অথাতে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” । এই প্রথম সূত্রে চিত্তশুদ্ধির পর ব্রহ্মজিজ্ঞাসা ইহাই নির্দেশ করিয়াছেন, মূর্তি পূজা বা যাগযজ্ঞের পর একথা বলেন নাই । শ্রীমৎ শঙ্করাচার্য্য বেদান্তভাষ্যে লিখিয়াছেন, "ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসায়াঃ প্রাগপি অধীতবেদান্তস্য ব্রহ্ম জিজ্ঞাসোপপত্তেঃ ।” কৰ্ম্মানুষ্ঠানের পূর্বেও যে ব্যক্তি বেদান্ত অধ্যয়ন করিয়াছে, তাহার ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা হইতে পারে। আসল কথা এই ; নিত্য নৈমিত্তিক কৰ্ম্মানুষ্ঠানে অজ্ঞানত। যে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা হইলেই বুঝিতে হইবে চিত্তশুদ্ধি হইয়াছে, কেননা কাৰ্য্য থাকিলেই কারণ অনুমান করিতে হয় । ব্রহ্মউপাসকদিগের যে যজ্ঞাদি ক্রিয়ার কোন প্রয়োজন নাই, হিন্দু শাস্ত্রে তাহার প্রচুর প্রমাণ পাওয়া যায় । ব্রহ্মজ্ঞানীর পক্ষে চরিত্র সত্যনিষ্ঠ ও সম দম প্রভৃতি আন্ত হিন্দুধৰ্ম্ম ও ব্রহ্মপূজা >N) রিক সাধনই যজ্ঞস্থানীয়। মহাভারতের অনেক স্থলে চরিত্রকে প্রধান যজ্ঞ বলা হইয়াছে। ক্ষমাও যজ্ঞ ইহাও মহাভারতের উপদেশ । “অশ্বমেধ সহস্রঞ্চ সত্যঞ্চ তুলয়া ধৃতং । অশ্বমেধ সহস্রাত্ত সত্যমেকং বিশিষ্যতে"। মহাভারত । এক সহস্ৰ অশ্বমেধ অণর এক সত্য ইহার মধ্যে কে অধিক কে নূ্যন ইহা বিবেচনা করিতে এক সত্যই গুরুতর হইলেন । মনু বলিয়াছেন, “যথোদ্ধান্যপি কৰ্ম্মাণি পরিহায় দ্বিজোত্তম : । আত্মজ্ঞানে শমেচ স্যাৎ বেদাভ্যাসেচ যত্নবান ।” দ্বিজোত্তম ব্যক্তি শাস্ত্রোক্ত যাবদীয় কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া ও ব্রহ্মোপাসনাতে ইন্দ্রিয়নিগ্রহে এবং প্রণব ও উপনিষদাদি বেদাভ্যাসে যত্ন করিবেন। “জ্ঞানেনৈবাপরে বিপ্রা যজন্ত্যেতৈৰ্ম্মখৈঃ সদা । জ্ঞানমূলাং ক্রিয়ামেষাং পশ্যন্তোজ্ঞানচক্ষুষা” । মম | আর কোন কোন ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থের, গৃহস্থের প্রতি যে যে যজ্ঞ শাস্ত্রে বিহিত আছে, তাহা কেবল ব্রহ্মজ্ঞানের দ্বারা নিষ্পন্ন করেন, জ্ঞানচক্ষুর দ্বারা তাহারা জানিতেছেন যে পঞ্চ যজ্ঞাদি সমুদায় ব্ৰহ্মাত্মক হয়েন, অর্থাৎ ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থদের ব্ৰহ্মজ্ঞান দ্বারা সমুদায় যজ্ঞ সিদ্ধ হয়। (মহাত্মা রা, মো, রায়) শঙ্করাচার্য্য “আত্মনাত্মবিবেক” গ্রন্থে নাশ হয় কি না, এই সন্দেহ করিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, যে, “ন কৰ্ম্মাদিন অবিদ্যানিবৃত্তিঃ” কৰ্ম্মাদি দ্বারায় অজ্ঞান নিবৃত্ত হয় না । কি জন্য হয় না, না, “কৰ্ম্মাজ্ঞানয়োবিরোধো ন ভবেৎ কৰ্ম্ম আর অজ্ঞান এই উভয়ের বিরোধ হয় না । জ্ঞানের দ্বারা অজ্ঞান নিবৃত্ত হয় জ্ঞান