পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৩১

প্ৰকাৰ্ত্তিক ১৮১২ سلسے বিশ্বাসী মুলার Nర్ఫి _______ টিন ও জাৰ্ম্মাণ ভাষা শিক্ষা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । পুনরায় তিনি নৰ্দ্ধসেন বিদ্যালয়ে প্রেরিত হইলেন । তথায় অসাধারণ *পরিশ্রম ও অধ্যবসায় গুণে শীঘ্রই অনেক ভাষা শিক্ষা করিয়া কুতবিদ্য হইয়া উঠিলেন । এখন তাহার বয়স বিংশতি বর্ম । এইবার তিনি জীবন গ্রন্থের আর এক পৃষ্ঠা উণ্টাইয়া এক নূতন অধায় আরম্ভ করি লেন । এই সময়ে যদি ও বাহ্য জীবনের পরিবর্তন হইল, তথাচ তাহার অন্ত জীবন এমনই মেঘাচ্ছন্ন ছিল যে এই সময়ে তাহার দৈনন্দিন লিণিতে লিখিয়াছিলেন, “আমি তখন লজ্জালীন হইয়া তা কাতরে মিথ্যা কথা ললিতে পারিতাম।” কিন্তু ভগবান এই দুষ্ট বালকেরই জীবন তাঙ্গার লীলাভূমি করিলেন । হেল্ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের দিন হইতেই জর্জের জীবনের গতি পরিবর্তিত হইল । তাহার লাম্পট্য ও অমিতব্যয়িতা এত বদ্ধিত হইয়াছিল যে, তিনি অযথা উপায়ে, বা স্পষ্ট কথায় বলিতে হইলে, মিথন্তু কথা, প্রবঞ্চন এবং অপহরণ দ্বার। অর্থে পার্জন করিতে ও কুfষ্ঠত হয়েন নাই । নৃতন অধ্যায় ; ১৮২৫ খৃষ্টাব্দ । মুলার এখন বিংশতি বর্ষবয়স্ক যুবা । ভগবান মুলারকে বেটা নামক পুরাতন বন্ধুর সহিত মিলিত করিলেন । র্তাহার সহিত মুলার শনিবার সন্ধ্যার সময় ধৰ্ম্মগ্রন্থ অধ্যয়ন ও প্রার্থনার্থে একজন ধাৰ্ম্মিকের গৃহে গমন করিতেন । পিতার ভবন পরিত্যাগ করিয়াছিল, সে পুনরায় গৃহে প্রত্যাগমন করিল। জর্জ এই সময়ে লিখিয়াছেন “একবারেই যে পাপ যে সন্তান বিশ্ব- } - Wo 屬 “আড্ডায়” যাওয়া, মিথ্যা কথা বলা পরিত্যাগ করিলাম।” নূতন সঙ্কল্প,—স্বয়ং পাপের ভীষণ আবর্ত হইতে পরিত্রাণ পাইয়। জর্জ জগতের পাপীদিগকে মুক্তির পথ দেখাইবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন। জর্জ প্রচারক হইবেন শুনিয়া তাহার পিত। कलं श्ब्रा উঠিলেন । পিতার অাশা ছিল যে জর্জ ধৰ্ম্মযাজক হইয়া অর্থে পার্জন করিবে ; সেই জন্যই তাহার শিক্ষার জন্য হার এত অর্থ ব্যয় করিয়াছিলেন । ইহার পর জর্জ আরও দুই বৎসর অধ্যয়ন করিলেন। কিন্তু তিনি পিতার নিকট অর অর্থ সাহায্য না লইয়া পরমেশ্বরের নিকট সাহায্য চাহিতেন । এই সময় হইতে বিশ্বাসের জীবন আরম্ভ হইল। মুলারের জীবন উনবিংশতি শতাবিদর ধৰ্ম্ম জগতের এক অত্যাশ্চর্য্যজনক অভিনব আধ্যাত্মিক দৃশ্য। মুলার এখন অনন্যোপায় হইয়া পড়িলেন । হঠাৎ হুেল মগরে কয়েক জন আমেরিকাবাসী ভদলোক আসিলেন। ঘটনাক্রমে মুলার তাহাদিগকে জৰ্ম্মাণ ভাষা শিক্ষ। দিলার জন্য শিক্ষক নিয়োজিত হইলেন। তাহার প্রচুর পরিমাণে মুলারকে বেতন দিয়াছিলেন । এই বার মুলারের হস্তে কিঞ্চিৎ অর্থ সঞ্চিত হইল । তিনি নিজের জীবন ও প্রার্থনার ফলের বিষয় অনেক বন্ধুকে বলিলেন । অনেকেরও জীবন সংশোধিত হইয়া গেল । এইবার তিনি রোগীর শুশ্রীষা করিতে এবং সকলকে মুক্তির বিষয় বলিতে প্রবৃত্ত হইলেন। একবিংশতি বর্ষ বয়ঃক্রমকালে জর্জ প্রথম ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান করেন । হেলস্থফানকার অনাথাশ্রমে(Frankes orphan house, থাকিয়৷ মুলার ধৰ্ম্মগ্রন্থাদি পাঠ ক শূন্য হইলাম তাহা নহে, তবে কুসঙ্গ, | রিতে লাগিলেন। ১৮২৬ খৃষ্টাব্দে বিদেশে