পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N98 岑 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক २९ कञ, a छाँ१ों குறமகமாக গকে এক দিবসও অনাহারে কাটাইতে হয় নাই । মুলারের দৈনন্দিন লিপি ছইতে দুই একটা ঘটনার বিবরণ উদ্ধৃত করিয়া দিলেই বেশ বুঝা যাইবে যে ঐ মহাত্মা কি রূপে দিনাতিপাত করিতেন এবং করেন । “অদ্যকার মত কোনও দিন নিঃস্ব হওয়া যায় নাই। দিবসে সাহায্যার্থ প্রাথনানন্তর এক ঘটিকার সময় আশ্রম হইতে নির্গত হইলাম। আশ্রম হইতে ৪০ হস্ত মাইতে না যাইতেই এক ব্যক্তির সহিত সাক্ষাৎ হইল । তিনি আমার সহিত আশ্রমে আসিয়া অল্প কথা বাৰ্ত্তার পর আমাকে ভিন্ন ভিন্ন কার্য্যের সাহায্যার্থে ২০ পাউণ্ড দান করিলেন । চারি দিবসের মধ্যেই পুনরায় একেবারে নিরুপায় হওয়া গেল । সহকারিগণের সহিত প্রার্থনারম্ভ হইল । প্রার্থনাকালে সম্মুখস্থ টেবিলের উপর একটী পত্র অসিয়া পড়িয়াছিল । তাহার মধ্যে ১০ দশ পাউণ্ড ছিল । এবং দাতা পরে আরও দশ পাউণ্ড প্রেরণ করেন। আর এক সপ্তাহের মধ্যেই জনৈক বন্ধুর নিকট হইতে ১০০ পাউণ্ড পাওয়া গেল ।” সকল প্রকার ব্যয় চালাইবার জন্য বাৎসরিক সাত আট লক্ষ টাকা প্রয়োজন হয়। প্রায় দুই শত প্রচারক, এক শত বিদ্যালয়, চারি কোটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা এবং দশ সহস্ৰ ধৰ্ম্ম গ্রন্থ প্রতি বৎসর বি না মূল্যে বিতরণের ব্যয়ভার মুলারকেই বহন করিতে হয় । তজ্জন্য মুলার কদাপি চিন্তা করেন না । তিনি সৰ্ব্বদাই নিশ্চিন্ত এবং প্রশান্ত । তিনি বলেন, “র্তার কাজ, তিনিই করিতেছেন, এবং ভবিষ্যতেও তিনিই করিবেন।” l মধ্যাহ্লে কিছু কাল পূর্বে এই মহাত্মা কলিকাতা নগরীতে আসিয়া আত্মজীবন-রহস্য বিবৃত করিয়াছিলেন। প্রভু পরমেশ্বরের ভূত্য মুলার জগতে বিশ্বাসের বিজয়-নিশান উডডীয়মান করিয়াছেন । ইহঁর পূর্ব জীবন স্মরণ করুন, এবং দেখুন যে বিশ্বাস স্পর্শমণির স্পর্শে সেই মলিন জীবন কেমন উজ্জ্বল এবং স্থদর হইয়াছে। কেবল বিশ্বাসেরই বলে এক জন যুবা পুরুষ উনবিংশতি শতাব্দীর সভ্য সমাজকে স্তম্ভিত ও চমৎকৃত করিতে সমর্থ হইয়াছেন । যাহার বাল্য জীবন আলো এবং ছায়ায় পরিপূর্ণ, সেই ক্রপেনন্টে নিবাসী জজ মুলার প্রার্থনারই বলে আজ সহস্ৰ সহস্র পিতৃমাতৃহীন বালক বালিকার নয়নবারি মোচন করিতে সক্ষম হইয়াছেন । ভগবানের যজ্ঞ এখনও সমাধ। হয় নাই, তাই অদ্যাবধি তিনি দুঃখজরাপূর্ণ মৰ্ত্তলোকে রহিয়াছেন, তাই অদ্যাবধি ব্রিন্টলবাসী অনাথগণ সেই অশাতিবর্ষবয়স্ক বৃদ্ধের সহস্য বদন দর্শনে সৰ্ব্ব দুঃখ সন্তাপ বিস্মৃত হইতেছে, এবং র্তাহ দ্বারা দরাময় নামের জয় পৃথিবীময় ঘোষিত হইতেছে। ঘনান্ধকার-নিমগ্ন তরঙ্গ সঙ্কুল সংসার-সমুদ্র মধ্যে পথভ্রান্ত যাত্রিগণের পক্ষে মুলারের জীবন তীরস্থ জ্যোতি- ' গৃহের আলোক স্বরূপ। অবিশ্বাস-গিরির শিরোদেশে তিনি যে বিশ্বাসালোক স্থাপন করিয়াছেন তাহার ছটা চতুর্দিকে দেশ বিদেশে বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িয়াছে এবং দূর ভবিষ্যতের ও তমোজাল ভেদ করিবে তাহাতে অণুমাত্র সন্দেহ নাই । ধন্য সেই সাধু, যিনি ব্রহ্মের নামরূপ কৃপাণের সাহায্যে সৰ্ব্ব বাধা বিঘ্নকে ধরাশায়ী করিতে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন । ধন্য সেই আত্মা, যাহা পরমাত্মাতে প্রতিষ্ঠিত, এবং