পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۹ود چامه —আমাদের প্রার্থন এবং ঈশ্বরের করুণ কুপস্থ দুইটী বারিপাত্রের (বালতির) মত ; একটা উঠিলেই অন্যটা নামিতে থাকে । Adam.— -ðe reason why the world is not re >○ | formed, is, because every man would have others make a beginning and never thinks of himself.” —পৃথিবী সংস্কৃত হয় না তাহার একটী কারণ, প্রত্যেকেই চাহে যে অন্যে আরম্ভ করুন এবং নিজের বিষয় কখনও ভাবে না। Keshub Chundra. Sen.– “Faith liveth in anticipation: the future S 8 || is its dwelling house.” —আশাতে বিশ্বাস বঁাচিয়া থাকে । বাসগৃহ । ভবিষ্যৎ উহার t_: S t l Confucius.– “The mind of the superior man is conversant with righteousness; the mind of the mean man is conversant with gain.” —মহৎ লোকের মন ধৰ্ম্মের ভাবে মগ্ন, (ধৰ্ম্মভাবের সহিত সুপরিচিত), এবং নীচ ব্যক্তির মন লাভালাভের চিন্তায় পূর্ণ। পরমহংস শিবনারায়ণ দেবের জীবন চরিত। খাজা সাহেবের কাছে যে যাহা প্রার্থনা করিবেন তিনি সেই ফলই প্রদান করিবেন। সেই কথা শুনিয৷ যাত্রিরা খাজা সাহেবের কবর স্থানে আইসে। কৌশল করিয়া সেই কবর স্তানের মধ্যে একজন মুসলমান বসিয়া থাকে, এবং অপর একজন বৃদ্ধ মুসলমান ফকির যাত্রিদিগকে বলে যে, তোমরা ইহার ভিতরে এক এক জন করিয়া হাত দাও, এবং ধন অথবা পুত্র যাহা হয় ইচ্ছা কর তাহাই খোদা তোমাদিগকে দিবেন। এই কথা শুনিয়া ষে যাত্রী তাহার মধ্যে হাত প্রবেশ করাইয়া দেয়, সে যদি স্ত্রীলোক হয় তাহা হইলে কবরের ভিতর কৌশল করিয়া যে মুসলমান বসিয়া থাকে সেই ব্যক্তি তাহার হাত ধরিয়া ভিতরের দিকে টানে এবং ======================gے. جيج ১৩৭ স্ত্রীলোক উপর দিকে টানে। তখন বুদ্ধ ফকির সেই স্ত্রীলোককে বলিয়া দেয় যে তুমি হাত টানিও না খোদা খোদ তোমার হাত ধরিয়াছেন, তোমার ভাগ্য ভাল, তুমি যাহা চাহিবে তাহাই পাইবে। এখন তুমি শীঘ্ৰ দান পুণ্য কর । ১০ শিকা হাত ধরাই এবং ১ • শিক। হাত ছাড়াই এই ২।• টাকা তুমি এখানে দিয়া দাও । খোদা শীঘ্র তোমার হাত ছাড়িয়া দিবেন। যাত্রী বলেন, যে আমার কাছে ২॥০ টাকা নাই। এই ১০ শকা দিতেছি হাত ছাড়াইয়া দাও । তখন সেই বৃদ্ধ মুসলমান ফকির বলেন, যে খোদ খোদা হাত ধরিয়াছেন, ১০ শিকাতে হইবে না । যাত্রা কি করে কষ্ট পাইতেছে অতএব ২ টাকা দিয়া হাত ছাড়াইয়। লয় ; সে দিন আরও এক জনকে ডাকিয়া এইরূপ করিল। তাহাতে শিবনারায়ণ বলিলেন, যে তোমরা যাত্রিদিগকে কেন অনর্থক কষ্ট দিতেছ, যাঙ্গ উহার শ্রদ্ধা করিয়া দেয় তাহাই সন্তোষ পূৰ্ব্বক গহণ কর। ইহা শুনিয়া সেই বৃদ্ধ মুসলমান ফকির শিবনারায়ণকে বলিল, যে তুমি ফকির মানুষ, তোমার এ সকল কথায় প্রয়োজন কি ? তুমি দর্শন করিয়া চলিয়া যাও । এই বলিয়া শিবনারায়ণের গলায় এক ছড়া ফুলের মাল৷ দিল ও হাতে কতকগুলি ফুল দিয়া বলিল আপনি এস্থান হইতে যান। শিবনারায়ণ মনে মনে বলিলেন মুসলমান ও হিন্দুদিগকে ধিক্ যে আপনার সনাতন ধৰ্ম্ম জ্যোতিঃস্বরূপ ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করিয়া কেবল মৃত কবরস্থানে বিশ্বাস করিয়া পড়িয়া আছে ও তাহাতে তেজোহীন, বলহীন, শক্তিহীন,পবাধীন হইয়া রসাতলে যাইতেছে । শিবনারায়ণ কবরস্থান হইতে বাহির হইয়া দুই এক জন ভদ্র মুসলমানের নিকটে এই সকল কথt বলিলেন, যে এই সকল বড় অন্যায়। সেই ভদ্র জ্ঞানবান মুসলমানেরা শুনিয়া বলিল যে মহাশয়, আমর। ইহা তদভ্যস্ত করিয়া দেখিব যদি ইহা যথার্থ হয় তাহ। হইলে বড় লজ্জার কথা এবং তাহা হইলে আমরা গোপনে এই প্রপঞ্চ তুলিয়া দিব। আপনি কাহার ৪ নিকট এ কথা প্রকাশ করিবেন না। সেথান হইতে শিবনারায়ণ গুজরাটী আহমদাবাদ সহর হইয়া কাঠিওয়ার দেশে সুরথ নগরে যাইলেন এবং সুরথ নগর দেখিয়া বোম্বাই সহরে সমুদ্রের ধারে বালকেশর নামক গ্রামে যাইলেন। ঐ গ্রামের শ্মশানে যেখানে চিতার উপরে মৃত ব্যক্তির নামখোদিত প্রস্তর আছে শিবনারায়ণ সেই স্থানে সৰ্ব্বশরীর কাপড়ে আচ্ছাদিত করিয়া একট। প্রস্তরের উপর তিন দিবস পড়িয়া রছিলেন। তিন দিবসাবধি কেহই