পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Nつb" ΕΕ - তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २९ कन्न 8 छांश, তাহার তত্ব লইল না। যাহ'র মৃত দেহ পুড়াইতে আসিত তাহারা বলিত যে কোন পাগল পড়িয়া আছে। এই বলিয়া শিবনারায়ণকে কোন কথা তাহারা জিজ্ঞাসা না করিয়া চলিয়া যাইত। শ্মশানের অনতি দুরে মাড়োয়ারিদের প্রতিষ্ঠিত একটা ঠাকুর বাট আছে। সেখানে প্রবৈষ্ণব বৈরাগী সাধুরা বাস করিত। তাঙ্গার প্রতিদিন শিবনারায়ণকে দেখিতে পাইত কিন্তু কিছুই জিজ্ঞাসা করিত না এবং তাহাকে মুদফরাস জ্ঞান করিয়া তাহার নিকটেও আসিত না। ঠাকুরবাট দুইতলা, যাহারা ঠাকুর স্থাপন করিয়াছিল, তাহাদের অভিপ্রায় ছিল এই যে অভ্যাগত সাধু মহাত্মা সেই বাটাতে বিশ্রাম করিবেন। যে মাড় ওয়ারির। সেই বাটা প্রস্তুত করাইয়াছিলেন তাহাদের একজনের নাম জুয়াহরম আর একজনের নাম শিবনারায়ণ এবং অপরের নাম যমুনা দাস। সেই ঠাকুর বাটার তত্ত্বাবধানের জন্য এক জ্ঞানবান ব্রাহ্মণ পণ্ডিত নিযুক্ত ছিলেন। সেই পণ্ডিতের একটা কৰ্ত্তব্য কার্য্য fίνοί অমচিক অভ্যাগত কোন প্রকাপে অন্ন বস্ত্রের কষ্ট না পান । এইরূপ মহাত্মাদিগকে তিনি অনুসন্ধান কপিয়া ঠাকুর লাটীতে আনিস। তাতাদের সেবা শুশ্রাদা করিতেন । সেই জালিরাম পণ্ডিত এই ঘে পণ্ডিতেল নাম জালিরাম পণ্ডিত । এক দিবস শিবনারায়ণকে দেখিতে পাইয়া একখানি মাত্র বস্ত্র পরিধান করিয়া শিবনারায়ণের নিকটে গিয়া সাঠাঙ্গে প্ৰণিপাত করিলেন । শিবনারায়ণ তাচাকে নমস্কার করিয়া জি জ্ঞাসা করিলেন ? তুমি কাহীকে নমস্বার করিলে ? জালিরাম বলিলেন, আপনাকে নমস্কার করিলাম। শিবনারায়ণ ৰলিলেন, আপনি কে ঘে আমাকে নমস্কার করিলেন ? জালিরাম উত্তর কবিলেন, হে মহারাজ, আমরা নরাধম, আমরা বিষয়ভোগে আসি ক্ল সৰ্ব্বদা কাতর হইয়া আছি, আপনাকে জানিতে পারি নাই এবং পরমাত্মাকে ও জানিতে অপারক । আপনি কে আমি কেমন করিয়া চিনি ল কিন্তু এই জানিতে পারিতেছি যে আপনি মহাত্মা এবং ত্যাগিপুরুষ, পরমায়াব জানিত লোক এবং আপনি পরমাত্মা এইরূপ জানিয়া আমি নমস্কার করিলাম। শিবনারায়ণ বলিলেন, আমি যে তুমিও তে। সেই ব্যক্তি তোমার চিস্তা কি ? জালিরাম বলিলেন যে শাস্ত্রেতে এইরূপ লেখা আছে বটে কিন্তু আপনার মতন অভ্যাস করিয়া যদি স্বরূপে নিষ্ঠা হয়, তাহা হইলে জীব কৃত কার্য্য শিবনারায়ণ বলিলেন, যদ্যপি তোমার থাকে তাহা হইলে ও त्र् झे प्रे 弯哥 1 वक्त:of निष्ठै' न' ंन। মহাত্মা সাধুগণ । ப_. शक्नc°i८ङ छूभिशे श्रां८छ् उांश८ङ ८उांभांब्र क्लेिख করিবার কোন কারণ নাই। জালিরাম পণ্ডিত শিবনারায়ণকে উত্তর করিলেন, মহাশয় অমুগ্ৰহ করিয়া বলুন আপনি কত দিন এইখানে আসিয়াছেন এবং আপনার আহারের কিরূপ হই তেছে। আপনাকে কেহ দেখিয়াছে কি ? ' তাহ শুনিয়া শিবনারায়ণ বলিলেন, আমি ভিন দিবস আসিয়াছি। আমাকে অনেকে দেখিয়াছে। কিন্তু কেহই আহারের জন্য জিজ্ঞাসা করে নাই। জালিরাম পণ্ডিত বলিলেন, কি আহার করিবেন আমাকে আজ্ঞা করুন তাহা এইখানে আনিয়া দিই। না হয় ঠাকুরবাড়ীতে চলুন, সেই খানে আপনাদের জন্য বৃহৎ বাট আছে। আপনার যতদিন ইচ্ছ। হয় দোতালায় থাকিবেন। আহারাদির ব্যবস্থা সেই থানেই হইবেক এবং বড় বড় জ্ঞানী ধনিলোক আপনার চরণ দর্শন করিতে আমার সঙ্গে আসিবেন। শিবনারায়ণ বলিলেন, যে আমাব ধনিলোকের সহিত কোন প্রয়োজন নাই। এবং আমার বিষয় কাহার ও নিকট প্রকাশ করিবাল ও প্রযোজন নাই । যদ্যপি তোমার শ্রদ্ধা হইয়া থাকে তাহা হইলে কিঞ্চি ই অন্ন এই স্থানে পাঠাইয়া দিতে পার । জালিরাম পণ্ডিত ললিলেন অামি পাঠাইয়া দিতে পারি এবং নিজে ও অনিয়া দিতে পারি। কিন্তু আপনি যে স্থানে আছেন, সেখানে শবদাহ হয় । লোকে এইখানে আসিতে ঘুণ করে । স্নান করিয়া থাকে এবং আপনি কৃপা করিয়া গা তুলিয়া একবার আমার সহিত ঠাকুর বাটীতে আম্বন । তাহার প্রার্থনাম ত শিরনারায়ণ সেই স্থান হইতে ঠাকুর বাটীতে আসিয়া আহার করিয়া বিশ্রাম করিলেন। সেই সময় জালিরাম পণ্ডিতের সহিত তাহার বন্ধু মহাজনেরা আসিয়া শিবনারায়ণকে দর্শন করিলেন, এবং তাছাকে যাইবার সময় বলিলেন মহাশয়, আপনি কৃপা করিয়া অামাদের সঙ্গে চলুন এবং আমাদের বাট পবিত্র করিয়া দিন । শিবনারায়ণ বলিলেন যে তোমার বাটতো সৰ্ব্বদাই পবিত্র আছে, এইটা কেবল মনের ভ্রম। র্তাহারা কোন মতে শিবনারায়ণকে না ছাড়িয়া ভক্তি ও শ্রদ্ধা পূৰ্ব্বক সঙ্গে করিয়া লইয়া গেলেন । সেই সময় তদেশীয় জয়কিষণ নামক একজন প্রধান পণ্ডিতের কোন শিষ্য শিবনাবায়ণকে দর্শন করিতে আসিয়াছিল। তাহার প্রার্থনা মত তিনি জয়কিষণ পণ্ডিতের নিকটে যাইতে সন্মত হইলেন । জয়কিষণ পণ্ডিত অতিশয় ধীর ও বিজ্ঞ, এবং নম্র প্রকৃ.