পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कार्डिंक २४१२ ।। জীবন চরিত ബ *** ΥΡ.

  • _ اسمه مسجد ضمنصخوخ يضعه ضجيعيد تير تنقعاتهمتخصصـ بعدی یعنی بیبیسی =

তির লোক এবং নিতা যোগ বশিষ্ঠ পুরাণ ও গীতাদি ধৰ্ম্ম পুস্তক সকল পাঠ করিতেন। শিবনারায়ণকে দেখিয় তিনি অতিশয় আঙ্গলাদিত চিত্তে বিধি পূর্বক প্রতিষ্ঠা করিয়া বসাইলেন, এবং তাহার সমস্ত ভাব eলক্ষণ দেখিয়া ও র্তাহার কথা বাৰ্ত্তা শুনিয়া বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করিলেন । এবং শিষ্যকে ধন্যবাদ দিয়া বলিলেন, উত্তম মহাত্মাকে আমার নিকটে আনিয়াছ। তৎকালে সেই স্তানে অনেক অনেক ভদ্র লোক উপস্থিত ছিলেন। তাহাদের মধ্যে একজন জ্ঞানী মাড়ওয়ারি কএকটী অতি উত্তম সৰ্ব্বলোক হিতকর প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া ছিলেন । 쓰 2 || জয়কিষণ পণ্ডিতকে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, মহারাজ জগতের মধ্যে ত্যাগী ব্যক্তি কে ? জয়কিষণ পণ্ডিত উত্তর কবিলেন, যখন সম্মুখে মহাত্মা বসিয়া আছেন তাচাকে জিজ্ঞাসা কর আমি আর কি বলিব, আমি এই পর্য্যন্ত বলিতে পারি যে র্ষাক্তাব অন্তর তইতে ত্যাগ হইয়াছে সেই ব্যক্তিই ত্যাগী ; তত্ৰস্ত অপর একজন পণ্ডিত বলিলেন যে সাধু মহাত্মারাই ত্যাগী ব্যক্তি । শিবনারায়ণ জি জ্ঞাসিত হইয়া বলিলেন, ঘে সাধু মহাত্মার ত্যাগী বটে। কিন্তু এখানে গম্ভীর ভাবে বিচার কয়িয়া দেখিতে হয় যে মহাত্মাগণ কোন বিষয়ে ত্যাগী ; ত্যাগের মধ্যে তে গৃহস্তেরাই প্রধান ত্যাগী, কেন ন! সাধু মহাত্মাগণ এই দৃশ্যমান মায়াময় জগতকে স্বপ্নবং অসং পদার্থ জ্ঞান করিয়া :মথ্যা বোধে ত্যাগী হন এবং তাহার মধ্যে কেহ কেহ অহঙ্কার প্রযুক্ত মনে করেন যে আমি বড় ত্যাগী এবং অপর লোকে ও মনে করেন যে এই সাধু মহাত্মা বড়ই ত্যাগী কেন না ইনি সংসার ত্যাগ করিয়াছেন। তিনি মিথ্যা বস্তুকে ত্যাগ করিয়া অহংকার করিয়া থাকেন। কিন্তু গৃহস্থ ব্যক্তিগণ সৎ বস্তুকে ত্যাগ করিয়া অসৎ পদার্থে আসক্ত হইয় থাকেন, অর্থাৎ সৎস্বরূপ যিনি পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ আত্মা গুরু মাতা পিতা র্যাহার দ্বারা যাবতীয় বস্তু প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহাকেই ত্যাগ করিয়া গৃহস্থ ধৰ্ম্ম পালন করিতেছেন অতএব এরূপ স্থলে বিবেচনা করিয়া দেখুন যে এই উভয়ের মধ্যে কাহারা প্রকৃত ত্যাগী এবং ইহাদের ও উভয়ের বিচার করিয়া বুঝিয়া দেখা উচিত যে, জামার কি বস্তু ছিল যে আমি ত্যাগ করিয়াছি ও এমন কি বস্তু আছে যে আমি গ্রহণ করিব, যখন আমার একটা তৃণ ঘাস পর্য্যস্ত উৎপন্ন করিবার ক্ষমতা নাই, তখন আমার কি আছে যে আমি অহংকার প্রযুক্ত ృNలిసి _ --- _ বলিয়া থাকি যে আমি ত্যাগ কবিয়াছি ও আমি গ্রহণ করিয়াছি ? অতএব আমার ত্যাগ ও গ্রহণের কিছুমাত্র সাধ্য নাই ; কারণ যাবতীয় পদার্থ পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃ স্বরূপের এবং অামি ও তাঁহারই অংশ মাত্র অর্থাৎ যখন পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ পরিপূর্ণরূপে প্রকাশমান আছেন, যখন তিনি ভিন্ন দ্বিতীয় কিছুই নাই তখন কি ত্যাগ করিব ও কি গ্রহণ করিব ? এবং যে ব্যক্তি গ্রহণ ও ত্যাগ হইতে মুক্ত আছেন, এবং যিনি সকলেতেই সমভাবে আছেন সেই ব্যক্তিই যথার্থ ত্যাগী, তিনিই যথার্থ ত্যাগ ও গ্রহণের ভাব বুঝেন । গৃহস্ত ধৰ্ম্মেই থাকুন অথবা সন্ন্যাস ধৰ্ম্মেই থাকুন—যে কোন ধৰ্ম্মেই থাকুন -তাহার পক্ষে সকলই সমান । দ্বিতীয় প্রশ্ন । পুনরায় ঐ মাড়ওয়ারী জয়কিষণ পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা করিলেন, মহারাজ ও কার, ব্রহ্মগায়িত্রী ধজাহুতি’ও বেদ অধ্যয়ন ইত্যাদি শ্রেষ্ঠ কার্য্যে শূদ্র এবং স্ত্রীলোকদিগের কি কারণে অধিকার নাই ? তাহাতে পণ্ডিত বলিলেন, কোন কোন শাস্ত্রে কোন কোন স্থানে লেখা আছে যে উহাদের অধিকার নাই, কেন যে অধিকার নাই তাহ৷ সন্মুখস্তিত মহাত্মাকে জিজ্ঞাসা কর।” তাহ শুনিয়া শিবনারায়ণ বলিলেন, অধিকার ও অনধিকার সকলের মধ্যে আছে । আমি স্থল করিয়া বুঝাইয়া দিতেছি তোমরা স্বাক্ষা করিয়া ভাব গ্রহণ কর । যেমন যাহার জলের পিপাস। হইয়াছে তাহাকে অন্ন দিলে সে কখনই তাহাতে প্রীত হুইবেক না । অতএব সে অন্নের অনধিকারী । এবং যে ব্যক্তির অন্নের ক্ষুধা লাগিয়াছে তাহাকে জল দিলে তাহার ক্ষুধার শান্তি তইবেক না । অতএব সে জলের অনধিকারী । সেইরূপ যে ব্যক্তির কেবল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য মিথ্যা অসৎ পদার্থে অত্যন্ত আসক্তি প্রযুক্ত ভোগ করিবার ইচ্ছা আছে, সত্য যে সংপদার্থ তাহাতে কিছুমাত্র ইচ্ছা নাই সেই ব্যক্তিকে সং পদার্থ অর্থাৎ পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ আত্মার কথা গ্রহণ করিতে বলিলে তাহা তাহার প্রিয় হইবে না । অতএব সে তখন শ্রেষ্ঠ কার্য্যে অনধিকারী। শূদ্র কিম্বা স্ত্রী অথবা ব্রাহ্মণ যে কুলেই জন্ম গ্রহণ করুক না কেন, এরূপ অবস্থাপন্ন ব্যক্তিমাত্রই অনধিকারী। এবং যে ব্যক্তির অসৎ পদার্থে ইচ্ছা নাই, এবং অসৎ প দার্থে লিপ্ত থাকিয়া ও সংপদার্থের প্রতি একাত্ত ইচ্ছা আছে অর্থাৎ পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ আস্মাতে যাহার অভেদ হইতে একান্ত ইচ্ছা আছে অথবা প্রেমও ভক্তি সহকারে তাছাকে জানিবার জন্য