পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘్న80 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক_

२ संझ, a छी*

_ _ তাঙ্গর একান্ত ইচ্ছা আছে সেই ব্যক্তি অসৎ পদার্থে অনধিকারী। এবং সৎপদার্থে অধিকারী । অর্থাৎ ওঁকার, ব্ৰহ্মগায়ত্রী যজ্ঞাহুতি ও বেদাদি শাস্ত্র এবং ব্ৰহ্মচর্য্য ইত্যাদি শ্রেষ্ঠ কার্য্যে তিনি অধিকারী হইবেন । শ্রেষ্ঠ কার্য্য সকল করিলে অবশ্যই শ্ৰেষ্ঠ ফল লাভ হইবে। স্ত্রী হউক অথবা পুরুষ হউক শূদ্র হুউক অথবা ব্রাহ্মণ হউক —যে কুলেই জন্ম গ্রহণ করুক না কেন-শ্রেষ্ঠ কার্য্য কৰিলেই শ্রেষ্ঠফল প্রাপ্ত হইবেক । তোমাদের মানব ধৰ্ম্ম শাস্ত্রে ও তো ८का९्रl यग्छि cञ्च-- পূদ্রঃ ব্রাহ্মণতামেতি ব্রাহ্মণশ্চেতি শূদ্রতাং । ক্ষত্রিয়াঃ জাতমে বস্তু বিদ্যাৎ বৈশ্যাস্তথৈবচ। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, শূদ্র ও বৈশ্য ও ক্ষত্রিয় যে কেহ শ্রেষ্ঠ কার্য্য করিবে সেই ব্রাহ্মণ হইবে । এবং ব্রাহ্মণ কুলে জন্মগ্রহণ করিয়া যদি নিকৃষ্ট কার্য্য করে তাছা হইলে সেই ব্যক্তি শূদ্র হইবে। শ্ৰীমদ্ভাগবতেও ८तः१] यiद्म यध्वं--- y বিপ্ৰ দ্বিষড়গুণযুতাদরবিন্দনাভ পাদারবিন্দবিমুখাৎ শ্বপচং বরিষ্ঠং । মন্তে তদপিত মনো বচনে হিতার্থ প্রাণং পুনাতি সকুলং নতু ভূরিমানঃ ॥ শ্ৰীমদ্ভাগবৎ ॥ ইহার তাৎপর্য্য এই যে, বিপ্র যে ব্রাহ্মণ তিনি যদি জ্ঞান, সত্য, দম, শাস্ত্র জ্ঞান, আমাৎসর্য্য, লজ্জা, ক্ষমা, ক্রোধ শূষ্ঠতা, যজ্ঞ, দান, ধৈর্য্য, শম--এই বার গুণ সম্পন্ন হইয়াও বিষ্ণু ভগবানে অর্থাৎ পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ আত্মা গুরুতে নিষ্ঠ ভক্তিযুক্ত না হন তাহ। হুইলে তিনি চণ্ডাল হইতেও অধম । পুথিবাও তাহার ভার সহ্য করিতে অক্ষম এবং আপনার তনু, মন, ও ধন ইত্যাদি বিষ্ণু ভগবানেতে অর্থাৎ পুর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ গুরু আত্মাতে প্রেম ভক্তি সহকারে অর্পণ করেন সেই ব্যক্তিই যথার্থ ব্রাহ্মণ ও তিনিই শ্রেষ্ঠ । নিরবলম্ব উপনিষদেও লেখা আছে CNー o কে৷ ব্ৰাহ্মণ । যো ব্রহ্মবিদ সএব ব্রাহ্মণ: | যে ব্যক্তির সমদূষ্টি হইয়াছে, পরিপূর্ণ ব্ৰহ্মময় দেখিতেছেন সেই অবস্থাপন্ন ব্যক্তিই ব্রাহ্মণ শব্দে কথিত হয়। ইহাতে দেখা যায় যে শাস্ত্রোক্ত গুণ সম্পন্ন ব্রাহ্মণ কোটার মধ্যে এক আধু জন যথার্থ ব্রাহ্মণ পাইবার সম্ভব। এবং যজুৰ্ব্বেদে লেখা আছে – যদি চণ্ডাল হইয়া । ■ যথেমাং বাচং কল্যাণি ম্যুবদানি জনেভ্যঃ । ব্ৰহ্ম ইত্যাদি ৷ ইহার অর্থ, ভগবান বলিতেছেন । কল্যাণি মা বদানি জনেভ্য ব্রহ্ম অর্থাৎ অামি যে এই কল্যাণকর বাক্য কহিতেছি ইহা সকলেই গ্রহণ করিবে, অর্থাৎ সকলেই বেদ পাঠ করিয়া বেদের সার ভাবকে গ্রহণ করিয়া শ্রেষ্ঠ কার্য্য করিবেন । ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র এবং শূদ্র হইতেও অতি শূদ্র, চণ্ডাল প্রভৃতি স্ত্রী ও পুরুষ সকলেই বেদ ও শাস্ত্রাদি পাঠ করিয়া তাহার সার ভাবার্থ গ্রহণ করিয়া ব্যবহারিক অথবা পারমার্থিক ইত্যাদি শ্রেষ্ঠ কার্য্যে নিযুক্ত থাকিবেন ইছাতে কোন বাধা নাই। এবং ওঁকার মন্ত্র জপ এবং ব্রহ্ম গায়ত্রী অর্থাৎ পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ আত্মা গুরুকে উপাসনা অর্থাৎ তাহাকে জানিবার জন্য যে জ্ঞান উপার্জন করা তাহাকেই বেদ পাঠ বলে অর্থাৎ জ্ঞানের নামই বেদ । যে শাস্ত্রেতে সত্য বাক্য আছে ও যিনি সত্য বলেন তাহাকেই বেদ জানিবে ; সেই এক অদ্বিতীয় জ্ঞান তোমাদের ভিতর বাহিরে জ্যোতিঃস্বরূপে পরিপূর্ণ আছেন এইরূপ সৰ্ব্ব বিষয়ে বুঝিয়া লইবেন । তাহাতে মাড়ওয়ারী ব্যক্তি বলিলেন, মহারাজ শাস্ত্রেতে ইহাও তো লেখা আছে যে – জন্মন জায়তে শূদ্রঃ সংস্কারাৎ দ্বি জ উচ্যতে । বেদাভ্যাসাৎভবেদ বিপ্রো ব্ৰহ্ম জানাতি ব্রাহ্মণ: | অর্থাৎ জীব যখন জন্ম গ্রহণ করেন তখন তাহার আত্মা পরমা স্থার স্বরূপেতে কোন বোধ থাকে না সেই অবস্তাকেই শূদ্র বলে । এবং যখন সেই জীবের ংস্কার পড়ে তখন তাহাকে দ্বিজ সংজ্ঞা বলা হয় । এবং সেই জীব যখন বেদ পাঠ করেন তখন তাহাকে বিপ্র বলা হয়, অর্থাৎ যখন জ্ঞান উপাজ্জন করেন তখন বিপ্র শব্দে কথিত হয় । এবং যখন জীব ব্রহ্মকে জানেন তখন তাহাকে ব্রাহ্মণ সংজ্ঞা বলা হয়, এবং জীবের যখন পূর্ণ পরব্রহ্ম আত্মা গুরুর উপাসনার অদ্বৈত জ্ঞান উদয় দ্বারা জীবাত্মা ও পরমায়ায় অর্থাৎ পুর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ আত্মাতে অভেদ হইয়া যান, তখন ঐ অবস্থাপন্ন জীবকে ব্ৰহ্ম বলা হয় । বিজ্ঞাপন । পরলোক গত ৮ বাবু অম্বিকাচরণ সরকারের পুত্র শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র সরকার মহাশয় বৰ্দ্ধমান ব্রাহ্মসমাজের সম্পাদক হইয়াছেন । so