পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्र शशग्न१ sv*२ ক্রীচৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ >8N)

  • -*m. -o-- -

তাহার উদ্দেশে জনস্রোত প্রবাহিত হইতে লাগিল। যুবজনোচিত যৌবনত্রীর সহিত .সন্ন্যাসীবেশ গোরিক বস্ত্রাদির সমাবেশ হওয়া'ত প্রাতঃসৰ্য্যের তরল কিরণচছটার ন্যায় গৌরের অপূর্ব রমণীয় শোভা হইয়া ছিল । তিনি যেখানে যাইতেন, লোক সকল আকৃষ্ট হইয় তাহার নিকটে অাসিত । র্তাহাতে অশ্রু পুলক স্বেদ কম্প প্রভতি অষ্ট সাত্তিক মহাভালের লক্ষণ দেদীপ্যমান দেখিয়া সকলে মন্মমৃগ্ধের নtেয় fরচল ল হইয়া যাইত। গৌরাঙ্গের অাগমনে গোড়নগরে মহা কোলাহল পড়িয়া গেল । “গৌড়ের নিকটে গঙ্গাতীরে এক গ্রাম । ব্রাহ্মণ সমাজে তার রামকেলি নাম ॥ দিন পাচ সাত প্ৰভু সেই পুণ্যস্তানে । তাসিয়া রহিলা সেন কেহ নাহি জানে ॥ সৰ্য্যের উদয় কি কখন গোপ্য হয়। সৰ্ব্বলোকে শুনিলেন চৈতন্য বিজয় ॥ সৰ্ব্বলোকে দেখিতে আইসে হর্ষমনে । স্ত্রী বালক রদ্ধ আদি সজ্জন তর্জনে ॥ নিরবধি প্রভুর আবেশময় অঙ্গ । প্রেম ভক্তি বিনা আর নাহি কোন রঙ্গ ॥ হুঙ্কার গর্জন কম্প পুলক ক্ৰন্দন । নিরন্তর আtছাড় পাড়েন ঘনে ঘন ॥ নিরবধি ভক্তগণ করেন কীৰ্ত্তন। তিলাৰ্দ্ধেক অন্যকৰ্ম্ম নাহি কোন ক্ষণ ৷ হেন সে ক্রন্দন প্রভু করেন ডাকিয়া । লোক শুনে ক্রোশেকের পথেতে থাকিয় ॥ যদ্যপিও ভক্তিরসে অজ্ঞ সৰ্ব্বলোক । তথাপিও প্রভু দেখি সভার সন্তোষ । দূরে থাকি সৰ্ব্ব লোক দণ্ডবৎ করি । সবেfমশি উচ্চকরি বলে হরি হরি ॥ শুনিমাত্র প্রভু হরি নাম লোকমুখে । বিশেষ উল্লাস বাড়ে প্রেমানন্দ সুখে ॥ L) হেন সে আনন্দ প্রকাশেন গোর রায় । যবনেও বলে হরি অন্যের কি দায় ॥ যবনেও দূরে থাকি করে নমস্কার। হেন গৌরচন্দ্রের কারুণ্য অবতার ॥ নির্ভয় হইয়া সৰ্ব্বলোক বলে হরি । দুঃখশোক ঘর দ্বার সকল পাশরি। নিরন্তর সন্ন্যাসীর উদ্ধ রোমাবলী । পনসের প্রায় যেন পুলক মণ্ডলী ॥ ক্ষণে ক্ষণে সন্ন্যাসীর হেন কম্প হয় । সহস্ৰ জনে ও ধরিবারে শক্তি নয় ॥ দুই লোচনের জল অদ্ভুত দেখিতে । ক ত নদী বহে হেন না পারি কহিতে ॥ কখন বা সন্ন্যাসার হেন হাস্য হয় । অট্ট অট দুই প্রহরে ও ক্ষমা নয় ॥ কখন মূচ্ছিত হয়, শুনিয় কীৰ্ত্তন , সবে ভয় পায় কিছু না থাকে চেতন ॥ কত দেখিয়াছি আমি ন্যাসী যোগী জ্ঞানী । । এমত অদ্ভূত কভু দেখি নাহি শুনি ॥ কহিলাম এই মহারাজ তোমাস্থানে । দেশ ধন্য হইল এ পুরুম আগমনে ॥” চৈতন্য ভাগবত –অন্তখণ্ড । যে দৃদ্ধর্ষ যবনরাজ হুসেন সা উড়িম্যার রাজার সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া এক সময়ে হিন্দু দেবমূৰ্ত্তি দেউলাদি নষ্ট করিয়াছিল, সেই হুসেন সা নগররক্ষকের প্রমথাং চৈতন্যের অলৌকিক মহিমা ও কীৰ্ত্তিকলাপ শ্রবণ করিয়া বিস্মিত হইলেন এবং কোন প্রকার উৎপীড়ন করা দূরে থাকুক গৌরচন্দ্র যাহাতে স্বচ্ছন্দে গৌড়নগরে প্রেমভক্তি বিলাইতে পারেন তাহার উপায় করিয়া দিলেন । “এই আজ্ঞা করি রাজা গেল অভ্যন্তর । হেন রঙ্গ করে প্রভু শ্ৰীগের সুন্দর ৷ যে হুসেন সাহা সৰ্ব্ব উড়িয়ার দেশে । দেবমূর্তি ভাঙ্গিলেক দেউল বিশেষে ॥