পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ अंशंग्र१ ४v३२ মনন অসম্ভব । এই জন্য ভক্ত সাধক ও যোগার্থীরা বিষয়কামনা পরিহার করিয়া নিশ্চিন্তমানস হইবার জন্য ভূয়োভূয়ঃ উপদেশ দিয়াছেন। সংসারের সহিত जभूोश সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন করা বিষয়কামনা ত্যাগের অর্থ নহে। বিষয়ের প্রতি পূর্ণ আসক্তি পরিত্যাগ করাই তাহার তাৎপর্যা। র্যাহারা ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য বোধে সংসারধৰ্ম্ম প্রতিপালন করেন, র্তাহারা বিষয়বিষে জর্জরিত না হইয়া শান্তি সম্ভোগ করেন । ফলতঃ সুমিষ্ট সুপক্ক সুরসাল ফল ভক্ষণ করিলে যেমন আর নিম্বফলের প্রতি আস্থা থাকে না, সেইরূপ র্যাহারা জীবনে একবারও ঈশ্বরপ্রেমের আস্বাদ লাভ করিয়াছেন, তাহার। আর কুটিল সংসারের সেবা করিতে পারেন না । সৎপ্রসঙ্গ সাধুসঙ্গ শ্রীচৈতন্যের পবিত্র সহবাস ও ভক্তিবিগলিত মধুর উপদেশ এবং দেবপ্রসাদে রূপ সনাতনের চিত্তভূমিতে প্রেমভক্তির বীজ অঙ্কুরিত হইয়াছে। মধুমত্ত মধুকরের ন্যায় হরিচরণারবিন্দ তাহাদের এখন একমাত্র আশ্রয় । বৈরাগ্যের কি অমোঘ প্রভাব ! এই বৈরাগ্যের প্রভাবেই কপিলবস্তুর রাজকুমার ইন্দ্রের ন্যায় অতুল ঐশ্বৰ্য্য প্রমোদকানন । জীবনতোষিণী পতিপ্রাণা প্রণয়িনী ও সুকুমার শিশু সন্তানকে পরিত্যাগ করিয়া পথের ভিখারী হইয়াছিলেন । হরিপ্রেমে মাতোয়ার নিমাইচন্দ্র বৈরাগ্যের তেজে উদ্দীপ্ত হইয়াই শচীমাতার স্বগীয় স্নেহের বন্ধন ছেদন করিয়াছেন নির্মিপরাধ বিষ্ণু প্রিয়ার অশ্রুসিক্ত বিষন্ন মূৰ্ত্তিকে উপেক্ষা করিয়াছেন । রূপ সনাতনের কঠোর বৈরাগ্য ও ভগবৎনিষ্ঠার বিষয় শ্রবণ করিলে স্বার্থীন্ধ ঘোর বিষয়ী ব্যক্তিরও মোহনিদ্রা ভাঙ্গিয়া ঐচৈতন্য ও তাহার শিষ্যগণ বল্লভের আর এক নাম অনুপম । ృ8(t _ যায়। গৃহে ফিরিয়া আসিয়া রূপ সনাতন বিষয়ৰন্ধন মোচনের উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন । প্রথমতঃ রূপ গোস্বামী গৌড়নগর পরিত্যাগ করিয়া নৌকারোহণে বাসগ্রামে আসিলেন, এবং বিত্ত বিভব ধন রত্ন ব্রাহ্মণ বৈষ্ণব ও কুটুম্বগণকে বিভাগ করিয়া দিলেন । সনাতন যদি সংসারধৰ্ম্মে থাকেন, তবে তাহার সাহায্য হইবে এই মনে করিয়া দশ হাজার মুদ্রা গৌড়ে কোন ব্যবসায়ীর নিকটে গচ্ছিত রাখিয়া দিলেন । এ যাত্রায় গৌরাঙ্গের বৃন্দাবন যাওয়া হইল না । বহু লোক সমারোহে আড়ম্বর করিয়া বৃন্দাবন যাত্রা করা অবৈধ জ্ঞান করিয়া তিনি কানাই নাট্যশালা হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইয়া পুনৰ্ব্বার নীলাদ্রি অভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন এবং নীলাদ্রি হইতে শৈলকন্দরলতাকুঞ্জবেষ্টিত বনপথে বৃন্দাবন গমন করিতে মনস্থ করিলেন । শ্রীরূপ এই সংবাদ অবগত হইয়। গৌরের উদ্দেশে পুরুষোত্তমে দুইজন ভূত্যকে প্রেরণ করিলেন । ভূতোরা গোরচন্দ্রের বৃন্দাবন গমনবার্তা প্রেরণ করিবামাত্র শ্রীরূপ কনিষ্ঠ ভ্রাতা বল্লভকে সঙ্গে লইয়া ব্যাকুল হৃদয়ে ত্ৰিধারাধারিণী ত্রিবেণী সঙ্গম প্রয়াগাভিমুখে যাত্রা করিলেন। “गाँ সন্দর্ভ” প্রভৃতি বৈষ্ণু শাস্ত্র প্রণেতা ভক্তিমান পণ্ডিতপ্রবর জীব গোস্বামী ইহঁরই সন্তান। “শ্রীরূপ সনাতন রহে রামকেলী গ্রামে । প্রভুকে মিলিয়া গেলা আপন ভবনে ॥ দুই বিষয় ত্যাগের উপায় স্বজিল । স্ত্রীরূপ গোসাঞি তবে নৌকাতে ভরিয়া । আপনার ঘর অাইল বহুধন লঞা ॥ ব্রাহ্মণ বৈষ্ণবে দিল তার অৰ্দ্ধধনে । এক চোঁঠি ধৰ্ম দিল কুটুম্ব ভরণে ॥