পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৩ _ _ S AAAAAS AAAAAM MSMTT of- to--- তত্ত্ববোধিনী পত্রিক s २ द छ, a छ, न দস্তবন্ধ লাগি চোঁঠি সঞ্চয় করিল। ভাল ভাল বি প্রস্থানে স্থাপ্য রাখিল ৷ গৌড়ে রাখিল মুদ্রা দশ হাজারে । সনাতন ব্যয় করে রছে যদি ঘরে ॥ শ্ৰীক্লপ শুনি প্রভুর নীলাদ্রি গমন । বন পথে যালেন প্রভু শ্ৰীবৃন্দাবন ॥ শীঘ্ৰ আসি মোরে তার দিবে সমাচার । শুনিয়া তদনুরূপ করিল ব্যবহার ॥” চৈঃ চঃ মধ্যমখণ্ড । “প্রথমে শ্রীরূপ গেল বিষয় ছাড়িয়া ।” ভক্তমাল গ্রন্থ । | সনাতন এখনও রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত রহিয়াছেন । এখন পর্য্যন্ত র্তাহার বিষয় বন্ধন উন্মোচিত হয় নাই। র্তাহার হৃদয়ে বৈরাগ্যের অনল প্রধূমিত হইতেছিল, মন সদাই উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। সনাতন এই চিন্তা করিতে লাগিলেন, রাজা আমাকে অনুগ্রহ করেন, এই রাজানুগ্রহই আমার বন্ধন । রাজা যদি কোনরূপে আমার প্রতি বিরক্ত হ’ন তাহা হইলে আমি এই যন্ত্রণাঞ্জাল হইতে অব্যাহতি পাই । “এথা সনাতন গোসাঞি ভাবে মনেমন । রাজা মোরে প্রীতি করে সে মোর বন্ধন ৷ কোন মতে রাজা যদি মোরে ক্রুদ্ধ হয়। তবে অব্যাহতি হয় করিল নিশ্চয় ॥’ চৈঃ চঃ মধ্যমখণ্ড । সনাতন মনে করিলেন, অস্থস্থতার ভান করিয়া যদি রাজকার্য্যে অনুপস্থিত থাকি, তাহা হইলে রাজা বিরক্ত হইবেন, এবং রাজা বিরক্ত হইলেই আমার নিস্কৃতি। সনাতন রাজদরবারে না গিয়া গৃহে রছিলেন এবং নির্জনে পণ্ডিতগণের সঙ্গে শাস্ত্র অনুশাল করিতে লাগিলেন । মন্ত্রীর অসুস্থতার সংবাদ অবগত হইয়া রাজা চিকিৎসক প্রেরণ করিলেন । চিকিৎসক পরীক্ষা করিয়া গিয়া বলিল, পীড়ার কথা সৰ্ব্বৈব মিথ্যা । ইহা শুনিয়া গৌড়েশ্বর স্বয়ং সনাতনের গৃহে উপস্থিত হইয়া বলিলেন, তোমাব্যতীত রাজকাৰ্য্য অচল হইয়াছে, , তোমার এক ভাই রাজকাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া ফকির হইয়া গেল। তুমি কার্য্যে না গিয়া গৃহে বসিয়া রহিয়াছ । তোমার মনের কথা আমাকে খুলিয়া বল। এই সময় উড়িষ্যার রাজার সহিত হুসেন সাহার যুদ্ধ উপস্থিত হয়। পাৎসাহের ইচ্ছ সনাতন তাহার সঙ্গে গমন করেন । সনাতন বলিলেন, আমার দ্বারা আর রাজকৰ্ম্ম হইয়া উঠিবে না, আপনি অন্য লোক নিযুক্ত করুন। সনাতনের বাক্যে রাজা মহাকুদ্ধ হইলেন এবং পলাইতে না পারে এই জন্য সনাতনকে কারাগারে বন্দী করিয়া যুদ্ধে যাত্রা করিলেন । প্রধান রাজমন্ত্রী সনাতন বন্দীশালে অতিকষ্টে কালযাপন করিতে লাগিলেন । এই অবস্থায় শ্রীরূপের পত্র আসিয়া পৌছিল। শ্রীরূপ লিখিয়াছেন আমরা দুই ভাই চৈতন্য চরণ দর্শনের জন্য চলিলাম, তুমি যেরূপে পার ছুটিয়া আইস । “অস্বাস্থ্যের ছদ্ম করি রহে নিজ ঘরে । রাজকাৰ্য্য ছাড়িল নবাব রাজ দ্বারে ॥ লোভী কায়স্থগণ রাজকাৰ্য্য করে । আপনে স্বগৃহে করে শাস্ত্রের বিচারে । রাজা কহে তোমার স্থানে বৈদ্য পাঠাইল । বৈদ্য কহে ব্যাধি নাহি সুস্থ যে দেখিল ৷ অীমার किडू“कर्मी সব তোজনকে লইয়। মোর যত কাৰ্য্য কাম সব হৈল নাশ । কি তোমার হৃদয়ে অাছে কহ মোর পাশ ॥ সনাতন কহে নহে আমা হৈতে কাম । আর একজন দিয়া কর সাবধান ॥