পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኧ( © চূড়ান্ত সীমা । ধৰ্ম্ম নাই ঈশ্বর নাই পরকাল নাই, আমি ইচ্ছা করিয়া পৃথিবীতে আসিয়াছি, নিজের বলবুদ্ধির সাহায্যে অসামান্য সুখের সামগ্রীতে পরিবৃত রহিয়াছি, অতুল ঐশ্বর্ষ্যের অধিকারী হইয়াছি, এখানকার সুখই সৰ্ব্বস্ব বুঝিয়া এই সুখ লাভ করিবার জন্য দিন যামিনী পরিশ্রম করিতেছি । অামার চরমগতি পরম কল্যাণ বিস্মৃত হইতেছি ইহা অপেক্ষ অজ্ঞানের পরাকাষ্ঠ। আর কি হইতে পারে, এই অজ্ঞান মনুষ্যের বন্ধন ; মুক্তিলাভের এবং ঈশ্বরের দিকে গমন করিবার পক্ষে নিদারুণ প্রতিবন্ধক । কিন্তু আমারদের এই ঘোরতর নরকের দ্বার হইতে উদ্ধার হইবার কি কোন উপায় নাই, মৃতপ্রায় অসাড় আত্মাকে সচেতন করিবার জন্য পরম পিতার নিকটে কি মৃতসঞ্জীবন ঔষধ নাই ? আমরা কি চিরকাল র্তাহ হইতে দূরে থাকিব, ধৰ্ম্ম ঈশ্বরের স্বাদ গ্রহণ কি আমারদের দুর্বল প্রযত্নে সংঘটিত হইবে না; ভয় নাই! সেই পরম মাত৷ আমাদিগকে প্রতিনিয়ত আহবান করিতেছেন, মা তার ন্যায় হৃদয়বন্ধুর ন্যায় সস্নেহে ষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরাণ নিবোধত” বৎস তোমার ভয় নাই, তুমি উত্থান । কর জাগ্রত হও আর কতকাল মোহে অভিভূত হইয়া থাকিবে, আর কতদিন আমাকে ভুলিয়া রহিবে, এই যে আমি তোমার সম্মুখে । উত্তম আচার্য্যের নিকট গমন কর—এবং ব্রহ্মবিষয়ক জ্ঞান অভ্যাস কর অবশ্যই আমাকে প্রাপ্ত হইবে । চারিদিকে অমানিশার ঘোর অন্ধকার; ইহার মধ্যে বিদ্যুতপ্রকাশের ন্যায়—ঈশ্বরের আবির্ভাব ক্ষণকালের জন্য হৃদয়ে প্রকাশিত হইলে, মনুষ্যচ্ছদয়ের লৌহ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক s२ कछ, a छां★ ר কবাট ঈষৎ প্রমুক্ত হইয়া যায়, এবং তাহার মধ্যদিয়া সেই প্রেমসূর্য্যের হবিমল রশ্মি অন্তঃপ্রদেশের মোহজালের উপরে নিপতিত হইতে থাকে। মনুষ্য বিষয়সুখে বিষয়ের পশ্চাদ্ধাবনে আত্মার ক্ষুধা নিবারণ করিতে অসমর্থ হইয়। ক্রমে ক্রমে ধৰ্ম্মের দিকে ঈশ্বরের দিকে পদনিক্ষেপ করিতে থাকে। তখন শাস্ত্রপাঠ বা আচার্য্যের উপদেশ শ্রবণে তাহার ব্যাকুলত আইসে । মনুষ্য আপনার হীন ও মলিন অবস্থার মধ্যে ঈশ্বরপ্রতিপাদক জীবন্ত সত্য সকল আলোচনা করিয়া অথবা আচার্ষ্যের উপদেশ শ্রবণ করিয়া আপনার দীন-হীন-মলিন আত্মাতে শান্তিকল্যাণের শীতল বারি সিঞ্চন করিতে থাকেন । মনুষ্য যে পৰ্য্যন্ত না মধ্যায়ুসুৰ্য্যের ন্যায় ঈশ্বরের উজ্জ্বলপ্রকাশ আপনার অন্তরে অনুভব করেন, র্তাহাকে সাক্ষাৎ পিতামাতা জানিয়া তাহাতে মনঃসমাধান করিতে সমর্থ হন, তত দিন শাস্ত্রপাঠ বা আচার্য্যের উপদেশপ্রবণই তাহার শ্রেয়। ইহাই মনুষ্যের পক্ষে মোক্ষ লাভের প্রথম সোপান বলিয়া শাস্ত্র সাদরে সুমধুর বাক্যে বলিতেছেন “উত্তি- কারগণের উক্তি আছে। এ অবস্থা মনুষ্যের পক্ষে পরোক্ষ জ্ঞানের অবস্থা । ধৰ্ম্মের এমনই বিচিত্র ভাব, ঈশ্বরের এমনই করুণা যে মনুষ্য র্তাহার পথের পথিক হইলে তিনি বিমল আত্মপ্রসাদ তাহার আত্মাতে প্রেরণ করিয়া, আনন্দের পর আনন্দ বিধান করিয়া ক্রমাগতই আপনার দিকে অাকর্ষণ করিতে থাকেন । ঈশ্বরের যে করুণ ঘোরতর নারকীর পাষাণ হৃদয়ের মৃতসঞ্জীবন ঔষধ, তাহাই আবীর পুণ্যাত্মার পবিত্রতর লোকের— উন্নততর ধামের একমাত্র পথপ্রদর্শক সম্বল ও