পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चर्जहाँग्न५ ०४१२ ـصقهـ -ജ്ജa - --ബ- - ভরসা। ঘোর জলপ্লাবনের সময় প্রভূত জল রাশি যেমন ভাগীরথীর সঙ্কীর্ণ বন্ধন ভগ্ন করিয়া নগর গ্রামসমন্বিত সমুদয় বঙ্গের পৃষ্ঠত্বেশ আপ্লাবিত করিয়া দেয়, সেইরূপ ঈশ্বরের করুণবারি হৃদয় দেশে নিপতিত হইতে হইতে যখনই আবার তাহার প্রসাদে অবিরল ধারে হৃদয়মধ্যে পতিত হইতে থাকে, তখন সমুদয় অন্তর্দেশ তাহার প্রেমবারিতে পরিপূর্ণ হইয়া যায়, পাপ তাপ সংসারবন্ধনের কারণ বিচ্ছিন্ন হয় এবং রিপুকুলের ভীষণ দুর্গ বিচূৰ্ণিত হইয় পড়ে। কিন্তু সে অবস্থা পরোক্ষজ্ঞান অপেক্ষা উন্নততর অবস্থা ; সে অবস্থায় ঈশ্বরে প্রীতি অপরের মুখে তাহার মাহাত্ম শ্রবণে বা শুদ্ধ কেবল শাস্ত্র পাঠে পৰ্য্যবসিত হয় না । এ অবস্থা ঈশ্বরকে আত্মস্থ করিবার অবস্থা, তাহাকে আত্মার আত্মা, প্রাণের প্রাণ রূপে অনুভব করেবার অবস্থা ; সর্ববিষয়ে তাহার মহান ইচ্ছার সহিত আমারদের ক্ষুদ্র ইচ্ছার লয় সাধনের অবস্থা । সাধন প্রভাবে র্তাহাকে নিতান্ত আপনার জানিয়া,ৰ্তাহাকে হৃদয়ে সৰ্ব্বদা সমানরূপে অনুভব করিবার অবস্থা । তিনি যে আমারদের, আমরা যে র্তাহার একমাত্র অধীন ; তিনি যে আমারদের স্বামী ; আমরা যে র্তাহার একমাত্র আদেশানুবত্তী, তিনি যে আমার কর্তা, আমি যে র্তাহার চিরামুগত, আমার ইচ্ছা যে কিছুই নহে, তাহার মঙ্গলময়ী ইচ্ছা যে সর্বস্ব, তিনি যে আমারদের অন্তরেই রহিয়াছেন, আমারদের সত্তা যে র্তাহ হইতে অতিরিক্ত নহে, আমরা যে র্তাহারই প্রকাশে প্রকাশিত হইতেছি, তাহার সত্তাতে প্রতিষ্ঠাবান হইতেছি, তাহারই নিয়ন্তত্বে নিয়মিত হইতেছি এই সকল হৃদয়ঙ্গম করিবার অবস্থা । ইহাই শাস্ত্র বন্ধন ও মোক্ষ (t్ఫ ! κwwαωmωαωmmυ কারগণের মতে ঈশ্বর সম্বন্ধে অপরোক্ষ জ্ঞান। মনুষ্য তখন অন্নময়াদি কোষের অনিত্যতা বুঝিতে থাকেন। সত্যস্বরূপ জ্ঞানস্বরূপ, অনন্তস্বরূপ পরমেশ্বরকে হৃদয়ের মধ্যে প্রতীতি করিতে থাকেন । এ অবস্থায়ও ঈশ্বরবিষয়ক শ্রবণ মনন ও নিদিধ্যাসন বিশেষ হিতজনক । শ্রবণ অর্থাৎ শাস্ত্রপাঠ বা গুরুমুখে ঈশ্বরের মহিমাপ্রতিপাদক উপদেশ শ্রবণ ; মনন অর্থাৎ পরব্রহ্মবিষয়ক চিন্তন ; নিদিধ্যাসন অর্থাৎ অন্তঃকরণের একাগ্রতাসাধন; এই সকল দ্বারা ঈশ্বর বিষয়ক অপরোক্ষ জ্ঞানের প্রতিবন্ধ নিবারিত হইয়া যায় এবং অন্তদেশে ঈশ্বরের উজ্জ্বল প্রকাশ মেঘবিনিমুক্ত পূর্ণ শশধরের ন্যায় দীপ্তি পাইতে থাকে । অপরোক্ষ জ্ঞান অন্তরে প্রতিষ্ঠালাভ করিলে মনুষ্য র্তাহাকে অন্তরতম প্রিয়তম সুহৃদ ও আপনার সর্বস্ব বলিয়া বুঝিতে থাকেন। তখন তিনি বলিতে থাকেন “তrদতৎ প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়োবিত্তাৎ প্রেয়োন্যস্মাৎ সৰ্ব্বস্মাৎ অন্তততরং যদয়মায়া ।” তিনি পুত্র হইতে প্রিয় বিত্ত হইতে প্রিয়—আর আর সকল হইতে প্রিয়— র্তাহ অপেক্ষা অন্তরতম প্রিয়তম সুহৃদ আর কেহ নাই। তখন তিনি সংসারের অনিত্যতা স্পষ্টরূপে অনুভব করিতে থাকেন, সংসারের ক্ষতিবৃদ্ধি আর র্তাহার হৃদয়কে আবিল করিতে পারে না । প্রিয় বিচ্ছেদ বা অপ্রিয় সংযোগ তাছার নিকট । তুল্যরূপে প্রতিভাত হয়—কেন না তিনি সংসারের অতীত সার ধনে ধনী । ঈশ্বরকে পাইয়া তিনি শোকের সাত্বনা, রোগের ঔষধ, বিপদের কাণ্ডারী পান । ভয় বিপদের তীক্ষ বাণ র্তাহাকে আর কোন যাতনা দিতে পারে না ; তিনি ঈশ্বরকে পাইয়।