পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ(S তত্ত্ববােধিনী পত্রিক , ই কল্প ও তাগ a to om །-སམ་བླླཟླ་ শোক হইতে উত্তীর্ণ হন, হৃদয়গ্রথি হইতে প্রমুক্ত হন, এ অবস্থা উন্নততর অবস্থা ও মনুষ্যের পক্ষে—শোকাপনোদন অবস্থা । অধ্যত্মাযোগাধিগমেন দেবং মত্বা ধীরে হর্ষশোকে। জহাতি । এইরূপে মনুষ্য পরোক্ষে জ্ঞান হইতে অপরোক্ষ জ্ঞানের অবস্থায়, অপরোক্ষ হইতে শোকাপনোদনের অবস্থায় উথিত হন কিন্তু এখনও অার এক উচ্চতর অবস্থা র্তাহার জন্য—ঈশ্বর নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাখিয়া ছেন । পুণ্যের পুরষ্কর্তা পরমেশ্বর এখনও ধ্রুবলোক র্তাহার জন্য নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাখিছেন যাহা তাহার পবিত্র সাধক পরিশেষে লাভ করিতে পারিবে । এখনও পারিজাতকুসুম-খচিত স্বৰ্গীয় মালা তাহার জন্য গ্রথিত রাখিয়াছেন যাহা তাহার বিজয়ী সন্তান সংসার-সমরে জয়লাভ করিয়া তাহার হস্ত হইতে গ্রহণ করত আপনাকে অলঙ্কত করিবে । র্তাহার জ্ঞানে যিনি জ্ঞানী তাহার অঙ্গুলির নির্দেশ ক্রমে যিনি আপনার সর্বস্ব বিসর্জন দিয়া তাহা- ৷ তেছি - অতএব তামি ধন্য, ব্রহ্মানন্দ আমার সমক্ষে সুস্পষ্ট প্রকাশিত হই রই পশ্চাতে ধাবিত হইতেছেন, তাহার জন্য অক্ষয় স্বগীয় সুখ কি না তিনি সঞ্চিত করিয়া রাখেন । “সেই ষে তাহার সাধক ভক্ত সন্তান তিনি বিষয়সুখের ঐন্দ্রজালিকত্ব অনুভব করিয়া তাহ। আর প্রার্থনা করেন না বরং পরিহাস করত তাহা পরিত্যাগ করিতে ইচ্ছা করেন। অশেষরূপ কষ্টোপার্জিত অর্থ যাহার সঞ্চয়ে নানা দুঃখ, অপহরণে দুঃখ, | ব্যয়ে দুঃখ তাহার অসারতা দেখিয়া হাস্য করিতে থাকেন । আশচর্য্য যন্ত্র সদৃশ চঞ্চলস্বভাব অস্থিমাংসশিরানিৰ্ম্মিত শরীরবিশিষ্ট মাংসের পুত্তলিক স্বরূপ স্ত্রীলোকের মোহিনী শক্তি তাহার নিকট তুচ্ছ বোধ হয় ! ক্ষুধাৰ্ত্ত ব্যক্তি যেমন বিষ দ্বারা আপন উদর পূৰ্ত্তি করে না তদ্রুপ তিনি বিষয়ের অনিত্যত জানিয়া তাহার প্রতি অনুরক্ত হন না বরং পরিত্যাগ করিতে বাসনা করেন। তিনি দুৰ্ব্বল-অধি কারীর বিরোধী হন না” । যাহাতে অজ্ঞানী ব্যক্তিগণ প্রকৃত তত্ত্ববোধে অধিকারী হয়— প্রসন্ন চিত্তে শান্তভাবে তাহারই চেষ্টা করিতে থাকেন। এ সময়ে আনন্দের স্রোত র্তাহার অন্তরে বহমান হইতে থাকে । এ পবিত্র অনিদের সহিত আর কোন পার্থিব আনন্দের তুলনা হইতে পারে না । এই যে নিরতিশয় আনন্দের অবস্থা ইহাই মুক্তির অবস্থা ও মনুষ্যের শেষ অবস্থা; ইহাই পবিত্র পরমেশ্বর তাহার প্রকৃত সাধু ভক্ত সন্তানকে কৃপা করিয়া প্রদান করেন, এই নিরতিশয় যোগানন্দ প্রেমানন্দ আর হৃদয়ের ক্ষুদ্র বেলা ভূমির মধ্যে তিষ্ঠিতে পারে না । ভক্ত সাধক একেবারে উন্মত্ত হইয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিতে থাকেনঃ “আমি নিত্য আত্মাকে সাক্ষাৎ জানি তেছে, অতএব আমি ধন্য । সাংসারিক দুঃখ আর আমাকে স্পর্শ করে না অতএব আমি ধন্য; আমার অজ্ঞান অন্ধকার কোথায় পলায়ন করিয়াছে অতএব আমি ধন্য ! লোকে আমার কোন কৰ্ত্তব্য অবশিষ্ট নাই (ৰ্তাহাকে পাওয়াতে আমার প্রাপ্তিরই পরিসমাপ্তি হইয়ছে) অতএব আমি ধন্য, প্রার্থনীয় বিষয় সকল এক্ষণে আমার সম্পন্ন হইয়াছে, অতএব আমি ধন্য । আমার এ প্রীতির উপমা আর কোন লোকে নাই, অতএব আমি ধন্য! আমাতে ধন্যবাদের আর পরিসীমা নাই। কি আশ্চৰ্য্য দৃঢ় পুণ্যফল আমার প্রীতি