পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8 विदिश खे*ांग्र भूछि, হাতে কিছু নাছি পুজি, কি উপায়ে হব ভব পার ? আমি হে উপায় হীন, কাতরে চাহিছে দীন, 3-g-C C4 || পরমহংস শিবনারায়ণ দেবের জীবন চরিত। ইহ শুনিয়া শিবনারায়ণ বলিলেন, একথা সত্য এবং জয়কিষণ পণ্ডিতও বলিলেন যে এইরূপ অবস্থা হইলে সৌভাগ্য । ইহাতে তথায় উপস্থিত একজন স্বার্থপরায়ণ পণ্ডিত যিনি সব ভাবকে বুঝিয়াও বুঝেন না এবং কথিত বিষয়ের ভাব গ্রহণ করিয়াও বুঝিলেন না, তিনি বলিলেন শূদ্র কখনই শ্রেষ্ঠ কার্য্যে অধিকারী হইতে পারে না । তখন শিবনারায়ণ বলিলেন, তোমরা কাহাকে শূদ্র বল, শূদ্র বস্তুটা কি ? নিকৃষ্ট কার্য্য ও গুণের নাম শূদ্র,কিম্বা জীবের স্থল শরীরের নাম শূদ্র অথবা জীবের স্বগ্ন শরীর স্বরূপের নাম শূদ্র। যদ্যপি জীবের সুগ্ম শরীর স্বরূপেৰ নাম শূদ্র বলা হয়, তাহা হইলে জীব একই ঈশ্বরের অংশ, সমান ভাবে সকল জীবই তুল্য। জীব যদি স্বরূপে শূদ্র হয়, তাহা হইলে সকল জীব শূদ্র। যদি জীবের স্থূল শরীরকে শূদ্র বলা হয় তাঙ্গ হইলে একই ধাতু হইতে হাড়, মাংস, রক্ত ইত্যাদি স্থলশরীর নিৰ্ম্মিত চওয়া প্রযুক্ত সকল জীবই শূদ্র । বস্তুতঃ জীবের স্বরূপে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র ইত্যাদি সংজ্ঞা কখনই হইতে পারে না, ও হইবার সম্ভাবনাই নাই । কে লল অবস্থাভেদে গুণ ক্রিয়ার তারতম্য অনুসারে সামাজিক নিয়ম মতে ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয় বৈশ্য ও শূদ্র ইত্যাদি সংজ্ঞা বলা হয় কিন্তু স্বরূপ পক্ষে ইগর কিছুই নাই, অর্থাৎ যে ব্যক্তি শ্ৰেষ্ঠ কাৰ্য্য করেন এবং যে ব্যক্তিতে উত্তম বৰ্ত্তায় সেই ব্যক্তিই ব্রাহ্মণ ও যে ব্যক্তি নিকৃষ্ট কার্য্য করে ও যাহাতে নিকৃষ্ট গুণ প্রকাশ পায় সেই শূদ্র সংজ্ঞা জানিও । এবং প্রত্যক্ষ দেখিঠেছ যে হিন্দুসমাজ হইতে কোন ব্রাহ্মণ, মুসলমান কিম্বা খ্রিষ্টীয়ান হয় তখন তাহাকে হিন্দু সমাজে ব্রাহ্মণ বলিয়া কেহই গ্রহণ করেন না তাহাকে অতি ঘৃণা করে ও তাহার গাত্রম্পর্শ করিতেও সকলে ইচ্ছা করেন না, বলে অমুক ব্যক্তি এখন প্তিষ্টায়ান অথবা মুসলমান হইয়াছে, উহার জাতি নাই । ইহা কেবল সেই ব্যক্তি ষে আপনার তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ४२ रुन्न, s छ1ो No LULLE সমাজজাত গুণ, ক্রিয়া ইত্যাদি ত্যাগ করিয়া অপরের সমাজ অনুযায়ী গুণ ও ক্রিয় অবলম্বন করিয়াচে তৰ্জ্জন্ত গুণ ও ক্রিয়া ভেদে তাহাকে মুসলমান অথবা খ্রিষ্টীযান শব্দে বলা হইল। নতুবা সে বাক্তি যখন হিন্দু ধৰ্ম্মে ছিল তখন সে যাহা ছিল, মুসলমান অথবা খ্রিষ্টীয়ান ধৰ্ম্ম মধ্যে আসিয়া তাহাই আছে ; উহার শারী রিক বা ইন্দ্রিয় ঘটিত কোন রূপান্তর হয় নাই। উহার कूल भद्रौद्र ७ हेक्षिग्रांनि यांश झिल डांझांहे श्रां८छ् এবং উঠার অবয়লের ৪ কোন বিষযে কিছুমাত্র বিভিন্নত হয় নাই, পূৰ্ব্বে যেরূপ ছিল এখনও সেইরূপ আছে । কেবল গুণ ও ক্রিয়ার পবিবর্তন হইয়াছে মাত্র । ঈশ্বর শরীর গঠন করিয়া যে ইন্দ্রিয় দ্বারা যে কাৰ্য্য হইবে ও যে গুণ যে ইন্দ্রিয়ের দ্বারা প্রকাশ পাইবে নিয়ম করিয়াছেন, যেখানে বা যে সমাজেই যাউক না কেন তাহার তিল মাত্র ব্যতিক্রম হইবার সম্ভাবনা নাই, ঈশ্বরাধীন কাৰ্য্যে কাহার কিছু মাত্র তারতম্য করিবার ক্ষমতা নাই। নেত্রের যে গুণ তাহা নেত্ৰে থাকিবে, কর্ণের যে গুণ তাহ কর্ণে থাকিবে, এবং হস্ত পদাদি ইন্দ্রিয়গণের যাহার যে গুণ তাহ অবশ্যই ঘটিবে এবং যে ব্যক্তি জীব শব্দ বাচ্য সে যেখানেই যাউক স্বরূপে যাহা অাছে সে স্বরূপে তাহাই থাকিবে, স্বরূপে খ্ৰীষ্টিয়ান ও মুসলমান হইবে না। অর্থাৎ তাহার কিছুমাত্র তারতম্য হইবে না, কেবল নাম পরিবর্তন মাত্র হইবে—ইহা না বুঝিয়া লোকে নানা প্রকার মিথ্যা ভ্রমে পড়িয়া থাকে । তৃতীয় প্রশ্ন । তখন পূৰ্ব্বোক্ত মাড়ওয়ারি পুনরায় স্বামীজীকে জি জ্ঞাসা করিলেন, মহারাজ ! আমাদের হিন্দু সমাজ হইতে যদি কেহ খ্রিষ্টীয়ান কিম্বা মুসলমান হয় এবং যদি পুনরায় তাহারা হিন্দু সমাজে আসিতে ইচ্ছ করে তাহ হইলে উহাদিগকে আমরা হিন্দু ধৰ্ম্মে লইতে পারি কি না ? তাহাতে শিবনারায়ণ বলিলেন যে, হে শ্রোতাগণ, তোমরা গম্ভীর ও শাস্তরূপে বিচার কবিয়া দেখ যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি নিকৃষ্ট ব্যক্তিকে আপন উত্তম গুণ প্রদান করিয়া আপনার স্বরূপে অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ পদে লয়েন। প্রমাণ--যেরূপ স্থল পদার্থ মধ্যে শ্রেষ্ঠবস্তু অগ্নি যত নিক্লষ্ট স্থল পদার্থকে দগ্ধ করিয়া আপনার স্বরূপ করিয়া লক্সেন অর্থাৎ চন্দন ও বিষ্ঠা উভয়কে সমানরূপে ভস্ম করিয়া আপন স্বরূপে এক করিয়া লয়েন এবং অগ্নি স্বয়ং শ্রেষ্ঠ পদে শুদ্ধরূপে থাকেন। এবং পৃথিবীস্থ যাবতীয় নদীর জল সমুদ্রে গিয়া পড়ে ও সমুদ্র সেই সমুদায় জল নিজের সহিত