পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ ১৮১২ o * Istimmu মিশ্রিত করিয়া একই ভাবে পরিপূর্ণ থাকেন। এইরূপ যখন হিন্দুসমাজশ্রেষ্ঠ হিন্দুগণ শ্রেষ্ঠ কার্য্য করিতেন ও করাইতেন, যখন চিন্দুর ন্যায় উত্তম ও শ্রেষ্ঠ গুণ অর্থাৎ তেজ, বল, বুদ্ধি, ইত্যাদি কোন नमाप्चू, ছিল না তখন সকলকেই সমভাবে লইয়া চলিতেন। এক্ষণে তোমাদের, হিন্দুগণ নিজ সমাজ মধ্যে যদ্যপি কোন তেজীয়ান ও জ্ঞান লান অগ্নি ও সমুদ্রবৎ শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি থাকেন তাহা হইলে তিনি খ্রিষ্টীয়ান ও মুসলমান সমাজ হইতে কেই হিন্দু সমাজে আসিতে ইচ্ছা করিলে তাঙ্গা ওঁকার অর্থাৎ পূর্ণ পরব্রহ্মের নাম একবার অথবা দশ বার শুনাইয়। তাহাকে অনায়াসে অাপন ধৰ্ম্মে লইতে পারেন, তাকাতে কোন ভয় ও সংশয় নাই । এবং যদ্যপি তেজ ও বলহীন হন তাহা গুইলে তা ছা দের লইতে সাহস হইবে না এবং মনোমধ্যে ভয় মানি উপস্থিত হইবে । চতুর্থ প্রশ্ন । জীবন চরিত পুনরায় সেই মাড়ওয়ারা ব্যক্তি পূৰ্ব্ববৎ জয়কিযন । পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা করিল যে, মহারাজ, ওঁকার সকলেই বলে ; কিন্তু ওঁকার কি বস্তু, ওঁকারের স্বরূপ কি, এবং ওঁকার কোথায় থাকেন, এবং নিরাকার মা সাকার ? যদি নিরাকার হন তাহা হইলে অদৃশ্য, দেখা যাইবে না, মন বাণীর অতীত, ইন্দ্রিয়ের অগোচর ; আর যদি সাকার হন তাহা হইলে প্রত্যক্ষ দেখা যাইবে । তাহাতে পণ্ডিত বললেন, আমাকে কেন মিছা জিজ্ঞাসা করিতেছ, সাক্ষাতে স্বয়ং মহাত্মা বসিয়া আছেন তাহাকে জিজ্ঞাসা কর । আমরা এই পর্য্যন্ত জানি যে ঈশ্বরের নাম ওঁকার এবং আকার, উকার, মকার যুক্ত হইয়। ওঁকার হয়। তখন মাড়ও য়ারি বলিল, মহারাজ, যদি আকার, উকার, মকার এই তিন শব্দ ওঁকার হইতেছে তাহা হইলে তাহার স্বরূপ ও আকার যুক্ত সাকার পদার্থ হইবে, নিরাকারে ত অকার উকার মকার হইতে পারে না--ইহা তো স্বষ্টি প্রকরণ হইল। নিরাকারে ত একই ব্রহ্ম পরিপূর্ণ ভাবে আছেন কিন্তু সাকার হইলে, সাকার ব্রহ্মের নাম অ, উ, ম অর্থাৎ তাহার স্বরূপ ও বর্ণ অাছে, শুক্ল রক্ত কৃষ্ণবর্ণ, ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর—এই ত্রিগুণাত্মার নাম ছইতে পারে। তাহাতে পণ্ডিত বলিলেন যে, মহাত্মাকে জি জ্ঞাসা কর তাহা হইলে সকল সংশয় নিবারণ হইবে। তাহাতে শিবনারায়ণ বলিলেন, হে শ্রোতাগণ, ঋষি, মুনি ও পণ্ডিতগণের যাহার অন্তর হইতে যেরূপ ভাব প্রকাশ হইয়াছে অর্থাৎ অস্তুর্য্যামি যেরূপে যাহাকে অন্তর হইতে দেখাইয়াছেন, তিনি ኧ((የ সেইরূপে ওঁকারের শব্দার্থ বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন । কিন্তু আমি তোমাদিগকে স্থল করিয়া প্রত্যক্ষ দেখাইয়া দিতেছি ও বুঝাইয়া দিতেছি,তোমরা স্থা ভাবে পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করিও । নিরাকার পরব্রহ্মের ও'কার নাম কল্পনা হয় নাই, যখন তিনি নিরাকার হইতে জগৎস্বরূপে বিস্তাব হন, তখন সেই সাকাররূপ চলা চবকে লইয়া বিরাট সমষ্টি ঈশ্বরের শরীরকে, মুনি, ঋষি, মহাত্মা ইত্যাদি ভক্তগণ ও কার নামে কল্পিত করেন এবং এই ও'কার নাম জপ করিলে পূর্ণ পলব্রহ্ম জ্যোতিঃস্ব রূপের উপাসনা হইয় থাকে । এবং যখন নিরাকার হইতে সাক্ষার হন, তখন অকার, উকার মকবি, অর্থাং ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, অর্থাৎ সত্ত্ব, রজ ও তমঃ এই তিন গুণ উৎপন্ন হয় । এই তিন গুণ হইতে ব্যবহারিক ও পরমার্থিক উভয় কার্গা নিম্পন্ন হঠয়। আসিতেছে ও হইবে । রজো গুণ চহতে ঈশ্বর যখন স্বষ্টি করেন তখন র্তাহাকে ব্রহ্মা নাম বলিয়। উক্ত করা হয় । যখন সত্ত্বগুণ হইতে এই জগং চরাচরকে পালন করেন, তখন তাহার নাম বিষ্ণু ভগবান প্রয়োগ করা হয়। এবং যখন তমো গুণে এই স্বষ্টিকে সংহার অর্থাৎ লয় করিয়া আপনার স্বরূপে স্থিতি করেন তখন তাচাকে বিশ্বনাথ কল্পনা করা হইয়াছে। এই তিনের নাম আকার, উকার ও মকার। প্রত্যক্ষ তেজ সাকার জ্যোতিঃ স্বরূপ দিবারাত্র প্রকাশমান আছেন । এবং সেই ওঁকার প্রণব ব্ৰহ্ম আকার ডকার মকার এই তিন ভাগ হইতে সাত ভাগ হইয়া প্রত্যক্ষ সাকার স্বরূপে বিরাজমান আছেন। এই সাত ভাগের নাম কোন শাস্ত্রে সাত দ্রব্য বলে, কোন শাস্ত্রে সাত ধাতু বলে ও কোন শাস্ত্রে সাত বস্তু বলে এবং সেই সাতকে সাত ঋষিও বলে এবং জীবকে লইয়। অষ্টম, প্রকৃতিও বলে এবং গায়ত্রীর সপ্ত ব্যাহৃতীও বলে এবং তাহাকে সাবিএী ও বলে অর্থাৎ এই ব্রহ্মেরই নাম যথা, ওঁ ভূঃ ওঁভূবঃ ওঁ স্বঃ ও মহঃ ও জনঃ ও তপঃ ও সত্যং ইত্যাদি এবং ব্যাকরণে ইহাকে সাত বিভক্তি বলে । এই সাতের নাম প্রত্যক্ষ পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ চন্দ্রমা ও স্বৰ্য্যনারায়ণ এবং জীবসংজ্ঞা লইয়া অষ্টম, প্রকৃতি শব্দ বলা হয়। এই সাত ভাগ ও কার প্রণব ব্ৰহ্ম হইতে এই সকল চরাচর স্ত্রী ও পুরুষের স্থল এবং স্বক্ষ শরীরের গঠন হইয়াছে। ও ভূঃ যে পৃথিবী ও কার তাত হইতে স্ত্রী ও পুরুষের হাডমাংস গঠন হষ্টয়াছে, ও জল ও কাব হইতে রক্ত হইয়াছে, এবং অগ্ন ও কার হইতে অন্ন পরিপাক হইতেছে, ও বায়ু ও কার হইতে শ্বাস প্রশ্বাস সমষ্টি শরীরের মধ্যে চলিতেছে,