পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१ कछ, s ४ान তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা eSeSTSMMMSTSTAAASAAAA দৈন্য বিনয় দেখিয়া চৈতন্য হর্ষে পুলকিত । হইয়া ভঙ্গি করিয়া বলিলেন, ভট্টাচাৰ্য্য, । sob Ang An র্তাহাকে প্রয়াগে রাখিয়া আসিলেন । প্রয়াগে অবস্থান কালে চৈতন্য রূপ গো তুমি একজন প্রবীণ কুলীন এবং বৈদিক । যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণ, তুমি ইহাদিগকে স্পর্শ করিও না, ইয়ারা অতি হীন জাতি। চৈতন্যের ইঙ্গিত বুঝিতে পারিয়া ভট্ট বলিলেন, ইহাদের মুখে যখন নিরন্তর হরিনাম নৃত্য করিতেছে তখন ইহারা যে সৰ্ব্ব শ্ৰেষ্ঠ তাহাতে তাঁর সন্দেহ নাই । “তবে ভট্ট মহাপ্রভুর নিমন্ত্রণ কৈল । মহাপ্রভু দুই ভাই র্তারে মিলাইল ॥ দূর হইতে দৃষ্ট ভাই ভূমিতে পড়িয়া । ভট্টে দণ্ডবৎ কল অতি দীন হঞা ॥ ভট্ট মিলিবারে যায় দু হে পলায় দূরে । অস্পৃশ্য পামর মুঞি না ছু ইহ মোরে। ভট্টের বিস্ময় হইল প্রভুর হর্ষ মন । ভট্টেরে কহিলা প্রভু তার বিবরণ ॥ ‘ইহা ন সম্পশিও হ হে জাতি অতিহীন । বৈদিক খাজিক তুমি কুলীন প্রবীণ ॥’ দোহার মুখে নিরন্তর কৃষ্ণনাম শুনি । ভট্ট কহে প্রভূর কিছু ইঙ্গিত ভঙ্গি জানি ॥ দোহার মুখে কৃষ্ণ নাম করিছে নৰ্ত্তন। এদুই অধম নহে হয় সৰ্ব্বোত্তম ।” চৈতন্য চরিতামৃত মধ্যখণ্ড ১৯ অধ্যায় । স্বামীকে শক্তি সঞ্চার করিয়া কৃষ্ণতত্ত্ব ভক্তিতত্ত্ব রসতত্ত্ব প্রভৃতি সমুদায় ভাগবতসিদ্ধান্ত শিক্ষা দিতে লাগিলেন । রায় রামানন্দের নিকট যে সকল প্রেমভক্তির গৃঢ় সিদ্ধান্ত শ্রবণ করিয়াছিলেন, কৃপা করিয়া শ্রীরূপকে সে সমুদায় শিক্ষাদিলেন। শিবানন্দ সেনের পুত্র কবিকর্ণপুর স্বপ্রণীত সংস্কৃত “চৈতন্য চন্দ্রোদয়” না টকে চৈতন্যের সহিত রূপ গোস্বামীর মিলন বৃত্তান্ত বিস্ততভাবে বর্ণনা করিয়াC区可日 “লোক ভিড় তরে প্রভু দশাশ্বমেধে গিয়া । রূপগোস্বাঞীকে শিক্ষাকরান শক্তিসঞ্চারিয়৷ কৃষ্ণতত্ত্ব ভক্তিতত্ত্ব রসতত্ত্ব প্রান্ত । সব শিখাইল প্ৰভু ভগবত সিদ্ধান্ত ॥ রামানন্দ পাশে যত সিদ্ধান্ত শুনিল । রূপে কৃপ। করি তাহা সব সঞ্চারিল ॥ আন্মুলা গ্রামের পাদদেশ বিধৌত t শ্ৰীগৌরাঙ্গ পরমার্থতত্ত্ব শিক্ষা দিলেন । করিয়া প্রসন্নসলিলা যমুনা প্রবাহিতা । ভক্তবৃন্দের সঙ্গে নিরন্তর ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গ এবং : যমুনার স্থচিকন শ্যামল বারিধারা সন্দর্শন করিয়া চৈতন্য প্রেমাবেশে বিহবল হইয়া পড়িলেন । প্রেমোন্মত্ত নিমাইচন্দ্রের অস্কুত ভক্তিভাবের কথা শ্রবণ করিয়া দলে দলে দর্শকগণ অসিতে লাগিল। ব্রাহ্মণেরা তাহাকে আপনাদের গৃহে নিমন্ত্রণ করিতে লাগিলেন । এখানে থাকিলে প্রেমভরে বাহ্য জ্ঞানশূন্য হইয়া কখন ব। মধ্য যমুনাতে পড়িয়া যান, এই ভয়ে, ভট্ট, t শ্রীরূপ হৃদয়ে প্রভু শক্তি সঞ্চারিল । সৰ্ববতত্ত্ব নিরূপণে প্রবীণ করিল ॥ শিবানন্দ সেনের পুত্র কবি কর্ণপুর। রূপের মিলন গ্রন্থে লিখিয়াছেন প্রচুর ॥” চৈঃ চঃ মধ্যখণ্ড ১৯ অধ্যায় । রূপ গোস্বামীকে দশ দিন ধরিয়া গেীর বলিলেন, রূপ! তোমাকে সংক্ষেপে ভক্তি রসের লক্ষণ বলিতেছি শ্রবণ কর । ভক্তিরসসিন্ধু পারাবারশূন্য অনন্ত গম্ভীর, তোমাকে তার বিন্দু মাত্র কহিতেছি। কেশাগ্র শতভাগ করিয়া পুনঃ শত ভাগ করিলে যাহা হয়, জীবের স্বরূপ তদনুরূপ সূক্ষ । জলস্থলময় স্থাবরজঙ্গমাত্মক জগতে মনুষ্য অতি অল্প । মনুষ্যের মধ্যে ম্লেচ্ছ পুলিন্দ বৌদ্ধ শবর অধিকাংশ । বেদনিষ্ঠদিগের মধ্যে অৰ্দ্ধেক লোক মৌ