পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

एंiोष s४४१ _ ধিক বেদনিষ্ঠ মাত্র। ধৰ্ম্ম অগ্রাহ্য করিয়া বেদনিষিদ্ধ পাপ কৰ্ম্মে তাহারা রত রহিয়াছে । ধৰ্ম্মাচারী লোকদিগের মধ্যে •কৰ্ম্মনিষ্ঠ লোক অধিকতর, কোটি কৰ্ম্মনিষ্ঠের মধ্যে একজন জ্ঞানী। কোটি জ্ঞানীর মধ্যে একজন মুক্ত,কোটি মুক্ত পুরুষের মধ্যে একজন হরিভক্ত সাধু অতি দুর্লভ। হরিভক্তেরা কামনাশূন্য এইজন্য শান্ত, জ্ঞ ক্তিতেই যথার্থ শান্তি । মুক্ত সিদ্ধ ও ফলকামীরা অশান্ত। ভাগবতে কথিত হইয়াছে, “মুক্তানামপি সিদ্ধানাং নারায়ণপলায়ণ: | মুচুল্লভ: প্রশাস্তাত্মা কোটিশ্বপি মহামুনে ॥” হে মুনিশ্রেষ্ঠ শুকদেব ! যে সকল ব্যক্তি মুক্তি লাভ করিয়া সিদ্ধ হইয়াছেন, তাহাদিগের কোটির মধ্যে বিষ্ণু ভক্তিপরা প্রভৃতি উপশাখা মিলিত হয়, তাহা হইলে য়ণ প্রশান্তাত্মা অতি দুল্লভ । এই মত দশদিন প্রয়াগে রহিয়া । শ্রীরূপে শিক্ষা দিল শক্তি সঞ্চারিয়৷ ৷ প্রভু কহে “শুন রূপ! ভক্তি রসের লক্ষণ । সূত্ররূপে কহি বিস্তার নাবার বর্ণন ॥ পারাবার শূন্য গম্ভীর ভক্তিরস সিন্ধু । তোমা চাখাইতে তার কহি এক বিন্দু ॥ এইত ব্রহ্মাণ্ড ভরি অনন্ত জীবগণ । চৌরাশি লক্ষ যোনিতে করয়ে ভ্রমণ ॥ কেশাগ্র শতেক ভাগ পুনঃ শতাংশ করি। তার সম সূক্ষা জীবের স্বরূপ বিচারী। তার মধ্যে স্থাবর জঙ্গম দুই ভেদ । জঙ্গমে তির্য্যক জল স্থলচর বিভেদ ॥ তার মধ্যে মনুষ্য জাতি অতি অল্পতর। তার মধ্যে ম্লেচ্ছ পুলিন্দ বৌদ্ধ শবর ॥ বেদনিষ্ঠ মধ্যে অৰ্দ্ধেক মুখে বেদ মানে ॥ বেদনিষিদ্ধ পাপ করে ধৰ্ম্ম নাহি গণে ॥ ধৰ্ম্মচারী মধ্যে বহুত কৰ্ম্মনিষ্ঠ । কোটি কৰ্ম্মনিষ্ঠ মধ্যে এক জ্ঞানী শ্রেষ্ঠ ॥ কোটি জ্ঞানী মধ্যে হয় একজন মুক্ত । কোটি মুক্ত মধ্যে দুর্লভ কৃষ্ণভক্ত ॥ চৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ কৃষ্ণভক্ত নিষ্কাম অতএব শান্ত । ভুক্তি মুক্তি সিদ্ধি কামী সকলি অশান্ত ॥” চৈঃ চঃ মধ্যখণ্ড ১১ অধ্যায় । হে শ্রীরাপ ! গুরু এবং ভগবানের কৃপাতে ভাগ্যবান মানব ভক্তিলতাবীজ লাভ করেন । শ্রবণ কীৰ্ত্তনরূপ জলে উক্ত দাজ সেচন করিলে তাহা হইতে ভক্তিমত। অঙ্কুরিত হইয়া ব্রহ্মাণ্ড ভেদ করত সেই লতা গোলোক বৃন্দাবন ধামে হরিচরণ কল্পবৃক্ষে আরোহণ করে, এবং ত হইতে প্রেমফল প্রসৃত হয়। বৈষ্ণবাপদ পরপ হস্তী যদি মস্তকোঁত্তোলন করে, তাছ চইলে ভক্তিলত উৎপাটিত ও চিছন্ন হইয়। যায়। ভক্তিলতার সঙ্গে যদি ভোগবাসনা স্বৰ্গকামনা মুক্তিবাঞ্ছা লাভ প্রতিষ্ঠা সেক জল পাইয়। উপশাখাগণই বৰ্দ্ধিত হয়, মূলশাখা অর্থাৎ ভক্তি লতা তার বাড়িতে পায় না । এই জন্য প্রথমেই উপশাখা ছেদন করা কর্তব্য। অর্থাৎ হরিভক্তি লাভ করিতে হইলে প্রথমতঃ ভুক্তি মুক্তি ও স্বৰ্গভোগ প্রভৃতি সমুদায় ফলাভিসন্ধি পরিত্যাগ করিয়া, কেবল হরিচরণাশ্রয় না করিলে শ্রবণ কীৰ্ত্তনাদি সকল প্রকার সাধন ভজন বৃথা হইয়া যায়। এই ভক্তিলতা অবলম্বন করিয়া সাধক কল্পবৃক্ষ লাভ করেন এবং পরম সুখে স্থপক প্রেমফল রস আস্বাদন করেন । এই ভগবৎ প্রেমরসাস্বাদনই পরম ফল—পরম পুরুযার্থ। ইহার নিকট চারি পুরুষাৰ্থ তৃণ তুল্য * শুদ্ধ ভক্তি হইতে প্রেম উৎপন্ন

  • সালোক্য সাষ্টি সামী প্য সারূপেকত্বমপুত |

দীয়মানং ন গৃহন্তি বিনা মৎসেবনং জনা: ॥” ভাগবত ৩য় স্কন্ধ। সালোক্য অর্থাৎ আমার সহিত একলোকে বাস, সাষ্টি কি না আমার তুল্য ঐশ্বৰ্য্য প্রাপ্তি,সামীপ্য অথ1২ আমার নিকটে থাকা, সারূপ্য, আমার সমানরূপ পাওয়। এবং একত্ব অর্থাৎ সাযুজ্য, আমার সহিত