পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯახo خعے ص-- بھحمتباد ہے تـوتـہ -- _ হয় । শুদ্ধ ভক্তির লক্ষণ শ্রবণ কর । অন্য বাঞ্ছা, অন্যপূজা, শুষ্ক জ্ঞান কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান পরিত্যাগ করিয়া পবিত্রভাবে সকল ইন্দ্রিয়ের আনুকূল্যে হরিপ্রেমরসানুশীলন করাই শুদ্ধ ভক্তি, ইহাকেই অহৈতুকী ভক্তি বলাযায় । পিশাচীতুল্য ভোগবাসনা ও মুক্তিস্পৃহা হৃদয়ে অবস্থিতি করিলে বহু সাধনাতেও প্রেম উৎপন্ন হয় না। নারদ পঞ্চরাত্রে কথিত হইয়াছে, “সৰ্ব্বোপাধিবিনিম্ম ক্ৰং তৎপ রত্বেন নিৰ্ম্মলং ; হৃষীকেন হৃষীকেশ সেবনং ভক্তিরুচ্যতে ॥” “সর্বোপাধিবিনির্মুক্ত কি না অন্য বাঞ্ছা পরিত্যাগ পূর্বক একাগ্রচিত্তে পবিত্র ভাবে ইন্দ্রিয়াদির আনুকূল্যে ভগবদনুশীলন করার নামই ভক্তি । ভাগবতে লিখিত হইয়াছে,— vT "দগুণশ্রীতিমাত্রেণ ময়ি সৰ্ব্বগুহাশয়ে । নোগতিরবিচ্ছিন্ন। যথ। গঙ্গ। স্তসোইস্কুধে ॥ লক্ষণং ভক্তিযোগস্য নিগুণস্য হু্যদাহৃতং । অহৈতুক্যব্যবহিত। যা ভক্তিঃ পুরুষোত্তমে।” আমি সৰ্ব্বান্তৰ্য্যামী ও পুরুষোত্তম । অামার গুণ শ্রবণ মাত্র সাগরণভিগামি গঙ্গাসলিলের ন্যায় আমাতে অবিচ্ছিন্না ও ফলাভিসন্ধিশুন্য এবং ভেদদর্শনবর্জিত মনের যে গতি তাহাই নিগুণ ভক্তিযোগের লক্ষণ বলিয়া কথিত হইয়াছে। ইহাই অহেতুকী ও অব্যবহিত ভক্তি। “ব্রহ্মাণ্ড ভ্ৰমিতে কোন ভাগ্যবান জীব । গুরু কৃষ্ণ প্রসাদে পান ভক্তিলতা বীজ ॥ মালী হঞা করে সেই বীজ আরোপণ । শ্রবণ কীৰ্ত্তন জলে করয়ে সেচন ॥ উপজিয়া বাড়ে লতা ব্রহ্মাণ্ড ভেদি যায় । বিরজা ব্রহ্মলোর্ক ভেদি পর খ্যোম পায় । তবে যায় তদুপরি গোলোক বৃন্দাবন । কৃষ্ণচরণ কল্প বৃক্ষে করে আরোহণ ॥ _ جد سياسييصعصعة == তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা जडिब्र ३७ग्री এই পাচ প্রকার মুক্তি আমার ভর কে দিতে চাহিলেও আমার সেবা ব্যতীত তাহার। আর কিছুই গ্রহণ করেন না । ३ द ब्र. ♚ छींग SSAA SLS LS AAAA TSLSLSTSS :سی---- র্তাহ বিস্তারিত হঞা ফলে প্রেমফল। ইহা মালী নিত্য সেচে শ্রবণাদি জল । যদি বৈষ্ণব অপরাধ উঠে হাতি মাতা । উপারে বা ছিন্তে তার শুকি যায় পাতা । তাতে মালী যত্ন করি করে আবরণ { অপরাধ হাতী যৈছে না হয় উদগম ॥ কিন্তু যদি লতার অঙ্গে উঠে উপশাখা । ভুক্তি মুক্তিবাঞ্ছা যত অসংখ্য তার লেখা ॥ নিষিদ্ধাচার কুটি নাটি জীব হিংসন । লাভ প্রতিষ্ঠাদি যত উপশাখাগণ ॥ সেকজল পাঞী উপশাখা বাড়ি যায় । স্তব্ধ হঞা মূলশাখা বাড়িতে না পায় ॥ প্রথমেই উপশাখা করয়ে ছেদন । তবে মূলশাখা বাড়ি যায় বৃন্দাবন ॥ প্রেমফল পাকি পড়ে মালী আস্বাদয় । লতা অবলম্বি মালী কল্পবৃক্ষ পায় ॥ র্তাহ সেই কল্প বৃক্ষের করয়ে সেবন । সুখে প্রেমফল রস করে অস্বিদন ॥ এইত পরম ফল, পরম পুরুষাৰ্থ। যার আগে তৃণ তুল্য চারি পুরুষাৰ্থ ॥ শুদ্ধ ভক্তি হৈতে হয় প্রেমের উৎপন্ন। অতএব শুদ্ধভক্তির কহিরে লক্ষণ ॥ অন্যবাঞ্ছা, অন্য পূজা ছাড়ি জ্ঞানকৰ্ম্ম । আনুকূল্যে সর্বেন্দ্রিয় কৃষ্ণানুশীলন । এই শুদ্ধভক্তি, ইহা হৈতে প্রেম হয় । পঞ্চ রাত্রে ভাগবতে এই লক্ষণ কয় ॥ ভুক্তি মুক্তি আদি বাঞ্ছা যদি মনে হয় । সাধন করিলে প্রেম উৎপন্ন না হয় ॥” চৈঃ চঃ মধ্যখণ্ড ১৯ অধ্যায় । ইক্ষুরস যেমন ক্রমশঃ ঘনীভূত হইয়। গুড় খণ্ডসার শর্করা মিছরি ও উত্তম মিছরি প্রস্তুত হয়, সেইরূপ সাধন ভক্তি হইতে রতির উদয় হয় । রতি গাঢ় হইলে তাহাকে প্রেম বলা যায় । প্রেমের ক্রমশঃ বৃদ্ধিতে স্নেহ মান প্রণয় রাগ অনুরাগ ভাব মহাভাব উৎপন্ন হইয়া থাকে। এই সমু