পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক s२ कन्न, 8 छर्भ অসঙ্কোচ সেবা মমতাধিক্য আত্মসমপণ ; এই সকল ভাব ক্রমান্বয়ে পরপর রসে অনুভূত হয়। শব্দ স্পর্শ রূপ রস গন্ধ ভৌতিক গুণ সকল যেমন ক্রমান্বয়ে পরস্পর মিলনের দ্বারা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া একাধারে ক্ষিতিতে মিলিত হইয়াছে, সেই প্রকার শান্তরসের গুণদ্বয় দাস্যরসে, দাস্যরসের গুণ সখ্যরসে, সখ্যের গুণ বাৎসল্যে ও বাৎসল্যের গুণ কান্তভাবে একাধারে সন্নিবিষ্ট হওয়ায় ইহা মাধুর্য্য রস নামে অভিহিত হইয়াছে। এই মাধুর্য্য রসে সকল ভাবের সমাহার হওয়ায় ইহা অাশ্চৰ্য্য এবং অমৃতাস্বাদযুক্ত た。 শ্রীরূপ ! ভক্তিরসের পথ মাত্র আমি প্রদর্শন করিলাম । ভক্তিরসসমূদ্রের অনন্ত বিস্ততি ও গাম্ভীৰ্য্য তুমি এখন আলোচনা কর । “পুনঃ কৃষ্ণরতি জয় জুইত প্রকার । ঐশ্বৰ্য্য জ্ঞান মিশ্রা, কেবল ভেদ আর ॥ গোকুলে কেবল রতি ঐশ্বৰ্য্য জ্ঞান হীন । ঐশ্বৰ্য্য জ্ঞান প্রাধান্যে সঙ্কুচিত প্রীতি । দেখিলে না মানে ঐশ্বৰ্য্য কেবলার রীতি ॥ শান্ত দাস্য রসে ঐশ্বৰ্য্য কাহা উদ্দীপন । বাৎসল্যে সখ্যে মধুররসে সঙ্কোচন ॥ কেবলার শুদ্ধ প্রেম ঐশ্বৰ্য্য না জানে। ঐশ্বৰ্য্য দেখিলে নিজ সম্বন্ধ না মানে ॥ শান্তরস স্বরূপ বুদ্ধ্যে কৃষ্ণেকনিষ্ঠতা । শমোমন্নিষ্ঠত বুদ্ধেরিতি শ্ৰীমুখ গাথা ॥ কৃষ্ণ বিনা তৃষ্ণা ত্যাগ তার কার্য্য মানি । অতএব শান্ত, কৃষ্ণভক্ত একজানি । স্বৰ্গ মোক্ষ কৃষ্ণ ভক্ত নীক করি মানে । কৃষ্ণ নিষ্ঠ। তৃষ্ণাত্যাগ শান্তের দুই গুণে ॥ এই দুই গুণ ব্যাপে সবভক্ত জনে । আকাশের শব্দগুণ যেন ভূতগণে । mom শান্তের স্বভাব কৃষ্ণে মমতা গন্ধহীন । পরং ব্রহ্ম পরমাত্মা জ্ঞান প্রবীণ ॥ কেবল স্বরূপ জ্ঞান হয় শান্ত রসে । পূৰ্ণৈশ্বৰ্য্য প্রভুজ্ঞান অধিক হয় দস্যে : ঈশ্বর জ্ঞান, সন্ত্রম, গৌরব প্রচুর । সেবা করি কৃষ্ণে সুখ দেন নিরন্তর ॥ শান্তের গুণ দাস্যে আছে অধিক সেবন । অতএব দাস্য রসে হয় দুই গুণ ॥ শান্তের গুণ, দাস্যের সেবন সখ্যে দুই হয়। দাস্যে সংক্রম গৌরব সেবা,সখ্যে বিশ্বাসময়। বিশ্রম্ভ প্রধান সখ্য গৌরব সন্ত্রমহীন । অতএব সখ্য রসের তিন গুণ চিন ॥ বাৎসল্যে শাস্তের গুণ দাস্যের সেবন । সেই সেই সেবনের ইহি নাম পালন ॥ সথ্যের গুণ অসঙ্কোচ আগৌরব সার । মমত। অধিক্যে তাড়ন ভৎসিন ব্যবহার ॥ চারি রসের গুণে বাৎসল্য অমৃত সমান ॥ সে অমৃতানন্দে ভক্ত ডুবেন আপনে । কৃষ্ণভক্তরস গুণ কহে ঐশ্বর্য্যজ্ঞানীগণে । মধুর রসে কৃষ্ণনিষ্ঠ। সেবা অতিশয় । সখ্যে অসঙ্কোচ লালন মমতাধিক হয়। কান্তভাবে নিজাঙ্গ দিয়া করেন সেবন । অতএব মধুর রসে হয় পঞ্চ গুণ ॥ আকাশাদির গুণ যেন পর পর ভূতে । এক দুই তিন ক্রমে পঞ্চ পৃথিবীতে। এই মত মধুরে সমভাব সমাহার। অতএব আস্বাদাধিক্যে করে চমৎকার ॥ এই ভক্তিরসের কৈল দিগ্‌ দরশন। ইহার বিস্তার মনে করিহ ভাবন ॥” চৈতন্য চরিতামৃত, মধ্যখণ্ড ১৯ অধ্যায়। এই প্রকারে প্রেমভক্তি তত্ত্বের ব্যাখ্যা করিতে করিতে প্রেমনিধি চৈতন্যচন্দ্রের | ভাবসিন্ধু উচ্ছসিত হইয়। উঠিল, প্রেমময়