পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৩৪ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক to on

२ कछ, s छ,'

চর্ষ্যই ভাবী গার্হস্থ্যের প্রবল উৎপাতে মানুষকে অটল রাখে। পরে শ্রুতি সমাবর্তনের পর বাসভূমির কথা বলিয়াছেন। ইহা পরিস্কৃত ও পরিচ্ছন্ন হওয়া আবশ্যক । শরীর রুগ্ন ও ভগ্ন হইলে কি ঐহিক কি পারত্রিক কোন কাজই হয় না । অতএব অশুচি ও দুর্গন্ধময় স্থানে বাস না করা সৰ্ব্বতোভাবে শ্রেয় । তৎপরে ইহাতে তদার গৃহীর কৰ্ত্তব্য নির্দিষ্ট হইয়াছে। অনুশীলন ব্যতীত বাল্যের অভ্যস্ত জ্ঞান পরিবদ্ধিত ও বিশেষ ফলপ্রসূ হয় না এবং তাহা পাত্রসাৎ না করিলে জনসমাজের কল্যাণ হয় না এই জন্য শ্রীতি গহীর সম্বন্ধে স্বাধ্যায়ের বিধান করিয়া । অগ্রে সমস্তই অন্ধকার ছিল এই বাক্যে পুত্রাদি পরম্পরায় জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের প্রবাহ রক্ষা সুস্পষ্টরূপে নির্দেশ করিয়াছেন । ফলত যে গষ্ঠী এইরূপ হিতকর ধৰ্ম্মনিয়মে তাপনাকে জিয়মিত করেন, যেযাং ন মাতা, যাদের মাতা নাই, তিনিই মাতা, ন পিতা, পিতা নাই, তিনিই পিতা, ন বন্ধুঃ, বন্ধু নাই, তিনিই বন্ধু, নৈবান্নসিদ্ধিঃ, অন্ন নাই, তাহার হস্তেই অন্ন ; বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের কি অতীত কি বর্তমান সমস্ত যায় না কারণ ইহা অতি সূক্ষ ধৰ্ম্ম। কঠ শ্ৰুতিও এই আত্মজ্ঞানকে একটা মুখ্য ও স্বতন্ত্র ধৰ্ম্ম বলিয়া স্বীকার করিলেন । কিন্তু কোন কোন শাস্ত্রকার ইহাকে ধৰ্ম্মাঙ্গ অর্থাৎ গৌণ বলিয়া কৰ্ম্মকেই মুখ্য পদবী দিয়াছেন । এ বিষয়ে মানবধৰ্ম্মশাস্ত্র, বক্তা মহর্ষি মনুর কিরূপ অভিপ্রায় এক্ষণে তাহা আলোচনা করা আবশ্যক। এই গ্রন্থের প্রারম্ভেই দেখা যায় ঋষির মনুর নিকট আসিয়া কহিলেন ‘বর্ণনামাtশ্রমাণাঞ্চ ক্ৰহি ধৰ্ম্মানশেষতঃ ।” ভগবন আপনি বর্ণ ও আশ্রম ধৰ্ম্মের বিষয় বলুন । কিন্তু মনু প্রকৃত প্রশ্নের উত্তর না দিয়া ‘আসীদিদং তমোভুতং স্বষ্টিতত্ত্বের অবতারণা করিলেন। সুতরাং প্রত্যুত্তর প্রশ্নের বিপরীত হইল। এই জীবকে উদ্দেশে জলগণ্ড্যু না দিয়া যিনি । জলস্পর্শ করেন না, স্পষ্ট কথায় র্যাহার স্বর্থ কেবল পরার্থেই পর্য্যবসিত বিশ্বপ্রেম সেইরূপ গৃহীরই বিরাট হৃদয়ে অঙ্কুরিত হয়, শ্রুতি উপসংহারে সেই বিশ্বপ্রেমিকের পরমধৰ্ম্ম অহিংসা ধৰ্ম্মের উল্লেখ করিয়া আত্মজ্ঞ হইবার উপদেশ করিয়াছেন । কারণ অপ্রসারিত সঙ্কীর্ণ হৃদয়ে আত্মজ্ঞান হইতেই পারে না । আত্মজ্ঞানই যে মুখ্য ধৰ্ম্ম এই ছান্দোগ্য শ্রুতিতে তাহ স্পষ্টই বুঝাগেল। ‘নহি স্থবিজ্ঞেয়মনুরেষ ধৰ্ম্মঃ এই আত্মতত্ত্ব সবিশেষ যত্ন ব্যতীত শ্রবণমাত্র সম্যকরূপে জানা স্থলে টীকা করে মীমাংসা করিলেন নন্ত মুনীনাং ধৰ্ম্মবিষয় প্রশ্নে তত্ৰৈবোত্তরং দাতু মচিতং তৎকোইয়মপ্রস্তুতঃ প্রলয়দশায়াং কারণনীলস্ত জগতঃ স্বষ্টি প্রকরণাবতারঃ’ ইত্যাদি । এই স্বষ্টিতত্ত্বের অবতারণা অপ্রাসঙ্গিক হয় নাই। মনু ধৰ্ম্মবিষয়ক প্রশ্নে অগ্ৰে ব্ৰহ্মকে জগৎকারণরূপে প্রতিপাদন পূর্বক প্রকৃত প্রত্যুক্তরই দিয়াছেন। কারণ “আত্মজ্ঞানস্য ধৰ্ম্মরূপত্বাৎ’ আত্মজ্ঞানই ধৰ্ম্ম । মনু স্বষ্টিতত্ত্বে আত্মজ্ঞানকে ধৰ্ম্মরূপে নির্দেশ করিয়া অার একস্থলে স্পষ্টরূপে কহিয়াছেন ‘ধুতিঃ ক্ষমা দমোহস্তেয়ং শৌচমিন্দ্ৰিয়নিগ্ৰহ: | ধীর্বিদা স ত্যমক্রোধে দর্শকং ধৰ্ম্মলক্ষণং ।” এস্তলে বিদ্যাশব্দে আত্মজ্ঞান, এই দশবিধ ধৰ্ম্মলক্ষণ কীৰ্ত্তনকালে বিদ্যাশকদবাচ্য আত্মজ্ঞান গৃহীত হইয়াছে। সুতরাং আত্মজ্ঞান একটী স্বতন্ত্র ধৰ্ম্ম । যাহ। সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ সৰ্ব্বাগ্রে তাহারই खेळल्लथ সঙ্গত, এই জন্য ধৰ্ম্মপ্রবক্তা মনু ঋষিগণের প্রশ্নে