পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৮ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ४२ कछ, s छोप्न كييفينيقيون بنانے کا کام সের জন্য ব্রহ্মচর্য্যের • সহিত জ্ঞান আবশ্যক। ইন্দ্রিয়নিগ্রহ এই ব্রহ্মচর্য্যেরই অন্তর্গত। আবার এই ইন্দ্রিয়নিগ্ৰহ আহার-শুদ্ধিকে অপেক্ষা করে । সুতরাং রজ ও তমোগুণের উত্তেজক মধু মাংসাদি নিষিদ্ধ দ্রব্য সৰ্ব্বথা পরিহার্য্য । এরূপ আহারে চিত্ত বিক্ষিপ্ত হইয়া লক্ষ্যভ্রষ্ট করিয়া দেয় । এই আহার-শুদ্ধিই বল, ইন্দ্রিয়ানগ্রহই বল, আত্মজ্ঞানের উপযোগি সমস্ত অঙ্গই ব্রহ্মচর্য্যের এক একটী অঙ্গ । সুতরাং জ্ঞানমার্গে ব্রহ্মচর্য্যের বলই প্রধান বল যাহারা এইটুকু বিস্তুত হইয়া আত্মদর্শনের প্রয়াস পান অনন্ত কোটি কালও র্তাহাদের অভীষ্ট সিদ্ধি করিয়া দিতে পারে না । অতএব যদি আত্মদর্শন করিতে চাও,যদি আত্মার মধ্যে স্বষ্টি-স্থিতিপ্রলয়কর্ত প্রাণকে দেখিতে চা ও তবে ব্রহ্মচর্য্যের কঠোর যষ্টি আশ্রয় করিয়া ঋষি প্রদর্শিত পথে অল্পে অল্পে পদচালনা কর । পথ শাণিত ক্ষুরধারের ন্যায় নিতান্ত দুগম । ইহাতে বিঘ্ন অনেক, বাধা অনেক, প্রতিপদেই পদস্থলন সম্ভাবনা । অতএব সাবধান । মৃতু্য প্রতীক্ষা করিয়া আছে। জীবন কাল অতি সংক্ষেপ | চক্ষের দুইখানি কপাট না পড়িতে যদি আত্মদর্শন করিতে পার তবে মৃত্যুর বিভীষিকা তো মার তুচ্ছ বোধ হইবে । তুমি শোক । হইতে উত্তীর্ণ হইবে, পাপ হইতে উত্তীর্ণ । হইবে, সমস্ত হৃদয়গ্রন্থি হইতে মুক্ত হইবে এবং যাহা হইতে পুনরাবৃত্তি নাই সেই অনন্ত দিব্যধামে নিত্যকাল বিরাজ করিতে থাকিবে । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং ।

  • বর্তমানে কি রূপ ব্রহ্মচৰ্য্য আবশ্যক পূৰ্ব্বে এই

বেহালা সাম্বৎসরিক উৎসবের একটী উপদেশে তাহ। বিবৃত করা গিয়াছে। " আত্মার । এই ৷ | শান্তিনিকেতন আশ্রমে ব্ৰহ্মমন্দিরের ভিত্তি স্থাপন । পূজ্যপাদ শ্ৰীমন্মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রধান আচার্য্য মহাশয়ের প্রতিষ্ঠিত বোলপুর শান্তিনিকেতন আশ্রম অতি পবিত্র রমণীয় স্থান । সুপ্রশস্ত স্থসজ্জিত প্রাসাদ, নিৰ্ম্মল জল, বিহঙ্গ-কৃজিত নানা রূপ বৃক্ষরাজি, উন্মুক্ত নীলাকাশ ও শম্পাচ্ছাদিত বিশাল প্রান্তর এই আশ্রমকে রমণীয় শোভায় শোভিত করিয়াছে । সংসারতাপে উত্তপ্ত ঈশ্বর-পিপাস্থ সাধকেরা এই আশ্রমে আগমন করিয়া নির্জনে পরমাত্মার শ্রবণ মনন ও জ্ঞানচর্চা ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গাদি করিয়া তৃপ্তিলাভ করিয়া থাকেন । ধৰ্ম্মার্থী অতিথিগণের কি শারীরিক কি আধ্যাত্মিক সৰ্ব্ব প্রকার সুবিধার জন্য পূজ্যপাদ মহর্ষি প্রভূত অর্থ ব্যয় করিয়া আশ্রমের সমুদায় ব্যবস্থা করিযা দিয়াছেন । এখানে বাহিরের কোন কোলাহল নাই, নির্জনে শান্তমনে পরমেশ্বরের আরাধনার সমুদায় অনুকূল ভাব এখানে বর্তমান । এত দিন এই আশ্রমে ব্রহ্মোপাসনার জন্য পৃথক মন্দির না থাকায় প্রাসাদেই উপাসনা কাৰ্য্য সম্পন্ন হইত। মহর্ষি, সাধক দিগের এই অসুবিধার কথা জ্ঞাত হইয়া শান্তিনিকেতনে লৌহময় স্থপ্রশস্ত ব্রহ্ম মন্দির নিৰ্ম্মাণের জন্য প্রচুর অর্থ ট্রষ্টী মহোদয়দিগের হস্তে অপণ করিয়াছেন । মন্দির নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য আরম্ভ হইয়া, ও । গত ২২ শে অগ্রহায়ণ রবিবার অপরাহ্ল চার ঘটিকার সময় এই ব্রহ্মমন্দিরের ভিত্তিস্থাপন উপলক্ষে পরব্রহ্মের উপাসনা হয় । অনন্ত নীলাকাশের নিম্নে আশ্রম প্রাঙ্গণে উপাসনার জন্য সকলে একত্র হইয়াছিলেন। স্বরুল, রায়পুর, বোলপুর '