পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌৰ ১৮১২ সৃষ্টিকাৰ্য্যে সৃষ্টিকর্তার কৌশল ృNDS প্রভৃতি নিকটবর্তী ভদ্রপল্লী হইতে ৬০ ৷ ৭০ জন নানাশ্রেণীর বিশিষ্ট ভদ্রলোক অtশ্রমে উপস্থিত হইয়াছিলেন । ভক্তি •ভাজন আচাৰ্য্য ত্রযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মঙ্গশর উপাসনা করেন ; এবং অতিশ্রদ্ধেয় স্বকবি ও মৃগায়ক শ্ৰীযুক্ত বাৰু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় অনুরাগভরে ব্রহ্মসঙ্গীত করিয়া সকলকে পরিতৃপ্ত করিয়াছিলেন । উপাসনাশেষে ভক্তিভাজন শ্ৰীযুক্ত বাবু সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় সভাস্থলে দণ্ডায়মান হইয়া শান্তিনিকেতনের উদ্দেশ্য এবং স্বদেশবাসী জনগণের ধৰ্ম্মোন্নতির জন্য পরম ভক্তিভাজন মহর্ষির প্রাণগত যত্ন ও ভূরিপরিমাণ অর্থ ব্যয় ইত্যাদি উল্লেখ করিয়া যাহা বলিয়াছিলেন, তাহার মৰ্ম্মার্থ এই, “যদিও বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সমুদায় স্থান ব্রহ্মসত্তাতে পরিপূর্ণ এবং আমাদের বান্ধব আত্মীয় স্বজনে পরিবেষ্টিত হইয়। সামাজিক ভাবে ভগবদারাধনার জন্য ব্রহ্মমন্দিরের প্রয়োজন । আমরা পরমেশ্বরকে স্মরণ করিয়া এবং তাহার আশীৰ্ব্বাদ প্রার্থনা করিয়া শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মমন্দিরের ভিত্তি সংস্থাপন করিতেছি । পরমেশ্বর আমাদের শুভ সংকল্পের সহায় হউন । র্তাহার পবিত্র নাম গ্রহণ করিয়া আমরা আজ ষে বীজ প্রোথিত করিলাম, তাহার প্রসাদে কালক্রমে তাহ অঙ্কুরিত হইয়া সমস্ত ভারতে বিস্তত হইবে। এই মন্দিরে কেবল একমাত্র নিরাকার ব্রহ্মের মহিমা কীর্তিত হইবে । পরমেশ্বর করুন সমগ্র ভারতভূমি সমগ্র বঙ্গদেশ প্রতিপল্লীতে পল্লীতে এইরূপ ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠিত হউক, কল্পিত দেবদেবীপূজার পরিবর্তে *একমেবাদ্বিতীয়ং” ব্রহ্মের নাম ধ্বনিত ङ्ङेक |" অনন্তর ভিত্তিমূলে যে খোদিত তাত্রফলক প্রোথিত করা হয়, সত্যেন্দ্র বাবু সৰ্ব্বসমক্ষে তাহা পাঠ করিলেন । তাত্রফলকে এই কয়েকটি কথা দেবনাগর অক্ষরে খোদিত আছে । “ওঁতৎসৎ । ঠাকুরবংশাবতংসেন পরমর্ষিণ শ্ৰীমতা দেবেন্দ্রনাথ শৰ্ম্মণা ধৰ্ম্মোপ চয় খং শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠাপিতমিদং ব্ৰহ্মমন্দিরং । শুভমস্ত ১৮১২ শক, ১৯৪৮ সম্বৎ, ৪৯৯১ কল্যবদ । অগ্রহায়ণ ২২ রবিবাসর।” পরে সকলে মন্দিরের ভিত্তি মূলে গমন করিলে তাম্রফলক, পঞ্চরত্ব ও প্রচলিত মুদ্রা এবং উক্ত ২২শে অগ্রহায়ণের Statesman পত্রিকা, এই অগ্রহায়ণ মাসের “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা” একটি আধারে আবদ্ধ করিয়া মন্দিরের ঈশান কোণে প্রোথিত করা হয় । শ্ৰীযুক্ত হৃদয়ই যথার্থতং ব্রহ্মের মন্দির, কিন্তু বন্ধু- | দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় চক্র দ্রব্যগুলি যথাস্থানে স্থাপন করিয়া স্বহস্তে কণিক দ্বারা ভিত্তি প্রস্তর গাথিয়া দিলেন । সৰ্ব্বশেষে সত্যেন্দ্র বাবু পরমেশ্বরের নিকট এই শুভকার্য্যের জন্য প্রার্থনা করিয়া কার্য্য শেষ করিলেন । -حسنجیتے۔ہ۔ সৃষ্টিকাৰ্য্যে সৃষ্টিকৰ্ত্তার কৌশল। শ্ৰীমদভাগবতে শ্ৰীকৃষ্ণের মুখে এইরূপ উক্তি আছে “মদীয় মহিমানন্ত পরব্রহ্মেতি শদিতং” অর্থাৎ ঈশ্বরের অপার মহিমার যে কণিকামাত্র ক্ষুদ্র মানব এই দু্যলোকে ও ভূলোকে কথঞ্চিৎ অনুভব করিতে পারে সেই মহিমাকণার জ্ঞানই তাহার ঈশ্বরজ্ঞানের পরাকাষ্ঠা—তাহাই ঈশ্বর জ্ঞানের শেষ সীমা । ঈশ্বরের মহিমাকেই পরব্রহ্ম শব্দে কথিত হইয়া থাকে। পরন্তু এই মহিমার কত দূরই বা আমরা জা