পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rcनोष :४ ०३ নাই। অতএব রাজা প্রজা ইত্যাদি ব্যক্তিগণের বিচার পূর্বক গম্ভীর ও শান্ত স্বরূপে সং বস্তুতে নিষ্ঠ। রাখিয়া ব্যবহারিক ও পারমার্থিক কাৰ্য্য নিম্পন্ন করা কৰ্ত্তব্য । তাহা হইলে সকল দুঃখ মোচন তন্তবে । অর্থাৎ ফুৎবন্তু যিনি পূর্ণ, যিনি পরব্রহ্ম জোতিঃস্বরূপ নিরাকার ও সাকার রূপে পরিপূর্ণ অাছেন কেবল মাত্র তাহাকে ধারণ করিলে সমস্ত ভ্রম ও সংশয় নিবারণ হয়। অতএব ব্যক্তিগণের নানা মতে যা ওয়া উচিত নহে । ভাবিয়া বুঝিতে গেলে সকল মতই এক, কারণ প্রত্যক্ষ স্থল ভাবে দেখ যখন সকল মন্ধের বাক্তি, একই পুথিবী আধারে রচিয়াছেন এবং ৭েকই জল দ্বারা সকলেই কার্য্য করিতেছেন এবং একই ! অগ্নি দ্বারা সকল মতের ব্যক্তিরই কার্য্য নিম্পন্ন হইতেছে এবং একই বায়ুদ্বারা সকলেরই নাসিকাস্বারে শ্বাস প্রশ্বাস চলিতেছে এবং একই আকাশ দ্বারা সকলেই কর্ণদ্বারে শব্দ শুনিতে চেন এবং একই সূর্য্য নারায়ণ প্রকাশ হইলে সকল মতের লোকেরাই । নেত্র দ্বারে দেখিয়া সকল কার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতেছেন তখন ঈশ্বপ, গড়, আল্লা, খোদা, পরমেশ্বর অর্থাৎ পুর্ণ পর ব্রহ্ম জোতিঃস্বরূপ কি নানা মতে নানা প্রকারে ভিন্ন ভিন্ন রূপে কেন অনর্থক মিছা ভ্রমে পতিত হইতেছ ? অাপন আপন অহংকার, মান, আপমান, জয়, পরাজয় ইত্যাদি পক্ষপাত পরিত্যাগ করিয়া গম্ভীর ও শাস্তস্বরূপে বিচার পূর্বক সত্যকে ধারণ কর তাহ হইলে সকল মতের প্রম মিটিয়। যাইবে । তাহাতে সেই স্থানের শ্রোতা ব্যক্তিগণ বলিলেন যে মহারাজ আপনি ইহা যথার্থ বলিয়াছেন আমাদের ইহা সত্য বোধে ধারণ করা সৰ্ব্বতোভাৰে কৰ্ত্তব্য, এবং অন্তর্যামী গুরু যদি কৃপা করেন তবেই ধারণা ও নিষ্ঠা হয়। ষষ্ঠ প্রশ্ন। ঐ মাড়ওয়ারী পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন,মহারাজ, স্ত্রীলোকদিগকে বিদ্যাভ্যাস করান ভাল কি মন ? কেহ কেহ বলেন যে স্ত্রীলোকদিগকে বিদ্যা শিক্ষা করান অতি আবশ্যক এবং কেহ কেহ বলেন যে ইহাদিগকে বিদ্যা শিক্ষা করান নিতান্ত অকৰ্ত্তব্য । বিদ্যা শিক্ষা দিলে স্ত্রীলোকদিগের স্পৰ্দ্ধা হয় এবং কুপ্রবৃত্তি জন্মায়। তাহাতে শিবনারায়ণ বলিলেন, হে শ্রোতাগণ, তোমরা শাস্তস্বরূপে গম্ভীরভাবে বিচার করিয়া দেখ বিদ্যাভ্যাসে যে স্ত্রীলোকদিগের স্পৰ্দ্ধা ও कूथबूखि छब्रांब्र हेश बल डूल । यनानि छौटशांकদিগের বিদ্যা শিক্ষার দ্বারা স্পৰ্দ্ধা ও কুপ্রবৃত্তি জন্মায় হাজারটা আছেন । জীবন চরিত তাহা হইলে বিদ্যাভ্যাসে পুরুষদিগেরও অহংকার এবং স্ত্রালোকদিগকে তোমরা । Sማ@ কু প্রবৃত্তি জন্মাইতে পারে। তাহ হইলে পুরুষদিগকে ও বিদ্যা শিক্ষা দে ওয়া কৰ্ত্ত ব্য নহে । প্রত্যক্ষ দেখিত্তে পাইতেছ যে পুরুষদিগের মধ্যে ও কত কু প্রবৃত্তির লোক আছে তাহার সীমা নাই । অতএব তাছা বিদ্যা শিক্ষার দোষ নহে, সে কেবল তrহাদের স্বভাবজনিত দোষেই ঘটিয়া থাকে। স্ত্রী হউক অথবা शूद्रास झर्छक दिला शिक्र कक्रक श्रणव मांहे कक्रक তাঙ্গাদেব স্বভাবসিদ্ধ গুণের দ্বারা ঐ সকল দোষ ঘটিয়া থাকে। বরং বিদ্যt ভ্যাসে জ্ঞান লাভের দ্বারা হিতাহিত বিচার করিলার ক্ষম তা জন্মায় । তদ্বারা গম্ভীরতা, শান্তি ও ধৈর্য্য গুণ প্রকাশ পায় এবং ক্রমে ক্রমে কুপ্রবৃত্তি সকল বিলুপ্ত হয়। এই হেতু বিদ্যা শিক্ষা দেওয়। রা জ। প্রজাদিগের অবশ্য কৰ্ত্তব্য । কারণ স্ত্রীলোক যদ্যপি বিদ্য। শিক্ষণ করেন তাহ হইলে ব্যবহারিক ও পারমার্থিক উভয়বিধ কার্য্যই বুঝিয়। উত্তম রূপে নিম্পন্ন কবিতে পারেন এবং পুত্র কন্যাদিগকে শিক্ষা দিবার পক্ষে ও সুবিধা হয় । স্বামী যদি কোন কারণ বশতঃ বিদেশ গমন করেন কিম্ব রোগ গ্রস্ত হন অথবা অন্ধ ও বধীর ও উদাসীন কিম্ব বিনষ্ট হন তাহ হইলে সেই বিদ্যা শক্তি দ্বারা কোন প্রকারে জীবিকা নিৰ্ব্বা হার্থে বাণিজ্য, ব্যবসায় অবলম্বন করির। শিশু সন্তানদিগের সহিত জীবন যাপন করিতে পারেন । আর যদি স্ত্রীগণ বিদ্যা শিক্ষা না করেন তাহা হইলে ব্যবহারিক ও পারমার্থিক কাৰ্য্য উত্তমরূপে বুঝিতে পারেন না এবং | দুর্ভাগ্যবশতঃ পতি হীন হইলে আপনার ও শিশু সন্তান দিগের জীবিক নিৰ্ব্বাহ করিতে পারেন না। অতঃপর অন্য উপায় অবলম্বন দ্বারা অর্থাৎ দাসীবৃত্তি নতুবা ভিক্ষা দ্বারা কিম্বা মুখত হেতু ব্যভিচার দোষে দূষিত হইয়া জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিতে বাধ্য হন । এবং নিজ সস্তানগণের পক্ষে ও পারমার্থিক সাধন সম্বন্ধে তাহাদের সৰ্ব্ব প্রকারেই বিয় হইয়া থাকে। এইরূপ নানা কারণ বশতঃ রাজা, প্রজা ইত্যাদি পাঠকগণের পুত্র ও কন্যাদিগকে বিচার পূর্বক বিদ্যা শিক্ষা করান অবশ্য কৰ্ত্তব্য ইহাতে কোন বিধি নিষেধ নাই এবং ইহাতে কোন ংশয় ও করিবেন না। প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখা যাইতেছে যে ইংরাজ স্ত্রীগণ বিধবা হইলে বিদ্যাবলে নানা প্রকার উপায় ও কৌশলে এবং শিল্পকৰ্ম্ম প্রভৃতি দ্বারা প্রচুর অর্থ উপার্জন করিয়া উত্তমরূপে আপন আপন শিশু সন্তানদিগকে লইয়া জীবন যাত্রা নিৰ্ব্বাহ করে। এবং তোমরা যদি স্ত্রীলোকদিগকে বিদ্যা শিক্ষা ন৷ করাও তাহা হইলে কোন স্থানে চাকুরি করিতে গেলে