পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৭৬

פאף צ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ५२ कछ, 8 छोप्न S S AAAAA SAAAAA AAAA SAAAAA MA S T T SAMS তাহাদের মুখত হেতু বেতন অল্প হইবে, তাহাতে তাহারা কি প্রকারে শিশু সন্তানদিগকে লইয়া জীবিক। নিৰ্ব্বাহ করিবে ? এই সমস্ত শুনিয়া সকলে বলিলেন, হা মহারাজ ইহা অামাদের করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য কিন্তু যদি সকলে একমত হইয়। বুঝিয়া করে তাহ। চইলেই অতি উত্তম হয় এবং জগতে ও বড়ই মঙ্গল হয়। কেননা স্ত্রী পুরুষ উভয়ে মিলিয়, স্খে স্বচ্ছন্দে ব্যবহারিক ও পারমার্থিক কার্য্য নিৰ্ব্বা হু করিতে সক্ষম झग्न ! সপ্তম প্রশ্ন । পুনরায় উপরোক্ত পণ্ডিত শিবনা পাণণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে মহারাজ, পুত্র কন্যfদগেদ বাল্যাবস্থায় বিবাহ দেওয়া উচিত, না, উচtiদগের পরিপক যুবাবস্থায় বিবাহ দেওয়া উচিত ? শিবনারায়ণ বলিলেন যে হে শ্রোতাগণ, বিচার পূর্বক গম্ভীর ও শান্ত স্বরূপে দেখ যে যেরূপ ঈশ্বরের স্বভাব ও নিয়ম চরাচরে বর্তমান আছে সেইরূপে র্তাহার আজ্ঞা পালন করা উচিত। যেরূপ আম্র র্কাচা অবস্থায় পাড়িলে ঈশ্বরের নিয়মের অন্যথাচরণ করা হয় । সেই কাচা আম্র অস্ত্র হয় এবং তাহা ভক্ষণে শারীরিক পীড়া জন্মায়। সেই কাচা আস্ত্রের বীজে কোন বৃক্ষ হয় না আর যদিও হয় তাহা হইলে ভাল পুষ্ট হয় না। এবং উহাতে সুন্দর আশানুরূপ ফল ধরে না। কিন্তু ঈশ্বরের নিয়মানুসারে আম্রকে পকাবস্তায় পাড়িয়া ভক্ষণ করিলে উহা সুমধুর ও তৃপ্তিজনক হয়। এবং উহার বীজে উত্তম বৃক্ষ হয় ও তাঁহাতে আশামুযায়ী সুন্দর ফল জন্মায় । আর তা হা হইলে ঈশ্বরের অভিপ্রায়ানুযায়ী কার্য্য করা হয়। সেইরূপ যদ্যপি পুত্র কন্যাদিগের বাল্যাবস্থায় বিবাহ হয় এবং সস্তান সন্ততি জন্মায় তাহা হইলে সেই সস্তান রুগ্ন, বলহীন, বুদ্ধিহীন, তেজহীন ও অল্পাযু হয়। আর যদ্যপি বিচার পূর্বক উহাদিগের ঈশ্বরের নিয়মানুসারে পরিপক্ক অবস্থায় অর্থাৎ যুবাবস্থার প্রারম্ভে বিবাহ হয় তাহ হইলে তাহাদিগের যে সকল সস্তান সন্ততি হয় তাহার তেজ, বল, বুদ্ধি মেধা শক্তি সম্পন্ন হয় এবং দীর্ঘকাল জীবিত থাকে—কোন প্রকারে রুগ্ন হয় না। এবং এইরূপ হইলেই ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করা হয় । অতএব পাচ বৎসর হইতে ২০ বৎসর পর্য্যন্ত উeাদিগকে উত্তমরূপে বিদ্যা, সৎকাৰ্য্য ইত্যাদি সৎশিক্ষা দেওয়া অবশ্য বৰ্ত্তব্য। এবং পাঠ্যাবস্থাম বিবাহ দিলে উছাদিগের বিদ্যাশিক্ষার ব্যাঘাত হয় । বাল্যাবস্থায় সস্তান সন্ততিদিগকে উত্তমরূপে বিদ্যা Εαμ " Η শিক্ষা দেওয়া এবং উহাদিগকে পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ আত্মা গুরু মাতা পিতাতে ভক্তি নিষ্ঠা করিয়া দেওয়া এবং মাতা পিতা এবং গুরু জনকে সম্মান এবং সৎব্যক্তির আজ্ঞাপালন প্রভৃতি সংশিক্ষা দেওয়া অবশ্য কৰ্ত্তব্য —যাহাতে ব্যবহারিক এবং পারমার্থিক৬ উভয় কাৰ্য্য বুঝিয়া আনন্দরূপে কাল যাপন করিতে পারে সেইরূপ শিক্ষা দেওয়া সকলের উচিত এবং অবশ্য কর্তব্য । এই সকল উপদেশ পূর্ণ সারগর্ভ বাক্য সকল শ্রবণ করিয়া তৎস্থানস্থিত শ্রোতাগণ কহিলেন, হে মহারাজ, যাহা আপনি আজ্ঞা করিলেন ইহা সত্য বাক্য, অামাদিগের সকলের বিচার পূর্বক ইহার অনুসরণ করা কৰ্ত্তব্য । বিজ্ঞাপন। একষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ । আগামী ১১ মাঘ শুক্রবার প্রাতঃকালের ব্রহ্মোপাসনা শ্রীমৎ প্রধান আচার্য্য মহাশয়ের বাটীর বহিঃপ্রাঙ্গণে হইবে। ঐ দিন সৰ্বসাধারণে প্রাতঃকাল ৮ ঘটিকার সময় ঐ স্থানে উপস্থিত হইয়৷ ব্রহ্মোপাসনা করিবেন। ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ঐরমণীমোহন চট্টোপাধ্যায়। সম্পাদক ।