পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 سوا ؟ ত্ববােধিনী পত্রিক যাকে তাকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন। পূর্ণচন্দ্রেীদয়ে সাগরবারি যেমন উচ্ছসিত হইয়া বেলাভূমি অতিক্রম করে, প্রেমাবতার গৌরচন্দ্রের প্রেমের আকর্ষণে সনাতনের ভাবসিন্ধু সেইরূপ উদ্বেলিত হইয়া উঠিয়াছে । গণ্ডস্থল ভাসাইয়া গলদশ্রঃধারা প্রবাহিত হইতেছে । আপনার পাপ দুর্বলতা বিষয়ভোগ আর গৌরচন্দ্রের প্রেমবিহবল স্বগীয় ভাব চিন্তা করিয়া সনা- ৷ তাহারে অঙ্গনে দেখি প্ৰভু ধাঞা আইলা ।” তনের আত্মজ্ঞান উদ্বোধিত হইয়াছে। । 浚 বৃথা এতদিন বিষয়মদে উন্মত্ত হইয়া কেবল প্রবৃত্তির সেবা করিলাম, আপনার প্রকৃত কল্যাণ চিন্তা করিলাম না, এই মৰ্ম্মভেদী অনুশোচনার যন্ত্রণাতে বিদ্ধ হইয়া অতি দীন হীন কাতরভাবে বিলাপ করিতেছেন,আর গৌরের অনুসন্ধানে দ্বারে দ্বারে ফিরিতেছেন। চৈতন্যচন্দ্র চন্দ্রশেখর আচার্য্যের গৃহে উপবিষ্ট আছেন শুনিয়া সনাতন চন্দ্রশেখরের বহিদ্ধর্ণরে উপস্থিত হইলেন । আমি নীচ অতি অধম, ভিতরে যাইতে আমার অধিকার নাই, এই মনে করিয়া সনাতন ভিতরে প্রবেশ করিলেন না । শিষ্যবৎসল প্রেমাঙ্গচিত্ত নিমাইচন্দ্র সনাতনের আগমনবার্তা অবগত হইয়। চন্দ্রশেখরকে বলিলেন, দ্বারে এক জন বৈষ্ণব আসিয়াছে লইয়া আইস । চন্দ্রশেখর সনাতনকে দেখিয়া গিয়া বলিলেন, দ্বারে বৈষ্ণব কোথায় ? একজন দরবেশ রহিয়াছে । চৈতন্য বলিলেন, তাহাকেই লইয়া আইস । সনাতন আনন্দমনে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিলেন । সনাতনকে দেখিয়া চৈতন্য প্রেমোন্মত্ত চিত্তে আলিঙ্গন করিতে উদ্যত হইলেন । শুনি আনন্দিত হইল প্রভু আগমনে। চন্দ্রশেখরের ঘরে আসি দুয়ারে বসিলা । মহাপ্ৰভু জানি চন্দ্রশেখরে কহিলা ॥ eeeSATAMSAASAAAS দ্বারে এক বৈষ্ণব হয় বোলাহ তাহারে । চন্দ্রশেখর দেখে বৈষ্ণব নাহিক ছুয়ারে ॥ দ্বারেতে বৈষ্ণব নাহি প্রভুরে কহিল । * কেহ হয় করি প্রভু তঁাচারে পুছিল। র্তিহো কহে এক দরবেশ আছে দ্বারে । র্তারে আন প্রভু বাক্যে কহিল আসি তারে। শুনি আনন্দে সনাতন করিলা প্রবেশ ॥ চৈতন্য চরিতামৃত মধ্য খণ্ড ২০ অধ্যায়। “শ্রীচৈতন্য চরণ লক্ষ যে করিয়া । উভরিল সাধুত্তম কাশীপুরে গিয়া ॥ শ্রীচৈতন্য বলিয়া ফুকারে বারে বার। গদগদ ভাবে বহে গলদশ্র ধার ॥ যারে তারে জিজ্ঞাসে চাই গৌরাঙ্গ সুন্দর। কেহ দেখিয়াছো কোথা গুণের সাগর ॥ উন্মত্তের প্রায় সাধু খুজিয়া বেড়ায় । চন্দ্রশেখরের ঘরে জানিল নিশ্চয় ॥ দ্বারে যাইয়া সাধু ভাবে ভিতরে যাবার। নীচ অধম আমি যে নাহি অধিকার ॥ এত ভাবি বাহির দুয়ারে বসিয়াছে। দূর হইতে কহে প্ৰভু কোন নিজ জনে। দেখত বাহিরে কেহ বৈষ্ণব ওখানে ॥ বসিয়া থাকয়ে যদি বোলাইয়া আন । তেহে দেখি আসিয়া প্রভুরে কহে পুনঃ ॥ বৈষ্ণব না হয় এক কাঙ্গাল আছয় । প্রভু কহে বোলাইয়া আন কেহ হয় ॥ যতন করিয়া তবে ডাকিয়া আনিল । প্রভু দরশনে সাধু আনন্দে ভাসিল ॥” ভক্তমাল গ্রন্থ—দ্বিতীয় মালা । সনাতন গোস্বামী অঞসিক্ত গদগদবচনে দন্তে তৃণ ধারণ করিয়া চৈতন্যের নিকটে আত্মবেদন জ্ঞাপন করিতে লাগি লেন ।