পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २३ कब्र, s छान শ্ৰীহরিকে জানি না, আপনার অনুগ্রহই আমার উদ্ধারের হেতু । “প্ৰভু কহে সনাতন, দৈন্য কর সম্বরণ, তোমার দৈন্যে ফাটে মোর বুক । কৃষ্ণ যে দয়াল হয়, ভালমন্দ না গণয়, হইল যে তোমায় উন্মুখ ॥ কৃষ্ণকৃপা তোমাপরি, যতেক কহিতে নারি, উদ্ধারিলা বিষয়কূপ হইতে । নিষ্পাপ তোমার দেহ, কৃষ্ণভক্তি মতি অহ, তোমা স্পশি পবিত্র হইতে ॥” ভক্তমাল গ্রন্থ—দ্বিতীয় মালা । “র্তারে আলিঙ্গন করি প্রেমাবিষ্ট হইলা ॥ প্রভূম্পর্শে প্রেমাবিষ্ট হইল সনাতন । মোরে না ছু ইও কহে গদগদ বচন ॥ দুইজনে গলাগলি রোদন অপার । দেখি চন্দ্রশেখরের হৈল চমৎকার ॥ তবে প্রভু তার হাতে ধরি লঞা গেলা । পিণ্ডার উপরে আপন পাশে বসাইলা ॥ শ্ৰীহস্তে করেন তার অঙ্গ সম্মার্জন । র্তিহো কহে মোরে প্রভু না কর স্পর্শন ॥ প্রভু কহে তোমা স্পর্শি আত্ম পবিত্ৰিতে । ভক্তি বলে পার তুমি ব্রহ্মাণ্ড শোধিতে ॥ তোমা দেখি তোমা স্পর্শি গাই তোমার গুণ। সৰ্ব্বেন্দ্রিয় ফল এই শাস্ত্র নিরূপণ ॥ এত কহি কহে প্রভু শুন সনাতন । কৃষ্ণ বড় দয়াময় পতিত পাবন ॥ মহা রৌরব হৈতে তোমার করিল উদ্ধার। কৃপার সমুদ্র কৃষ্ণ গম্ভীর অপার ॥ সনাতন কহে কৃষ্ণ আমি নাহি জানি । আমার উদ্ধার হেতু তোমা কৃপা মানি ॥” চৈঃ চঃ মধ্য খণ্ড ২০ অধ্যায়। কিরূপে বিষয়বন্ধন উন্মোচিত হইল চৈতন্য জিজ্ঞাসা করিলে সনাতন আদ্যোপান্ত বলিলেন । চৈতন্যের আদেশে তপন মিশ্র ও চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সনাতনের মিলন হইল । মিশ্র তাহাকে নিমন্ত্রণ করিয়া গৃহে লইয়া গেলেন। চৈতন্য বলিলেন, ইহঁার ফকিরের বেশ দূর করিয়া গঙ্গাস্নান করাইয়া ক্ষেীর করাও । * • অতঃপর ভদ্রবেশ ধারণ করিয়া সনাতন গঙ্গাস্নান করিলে চন্দ্রশেখর তাহাকে নূতন একখানি বস্ত্র দিলেন। নূতন বস্ত্র দেখিয়া বৈরাগী সনাতন তাহা গ্রহণ করিলেন না । দীনভাবে বলিলেন, যদি বস্ত্র দিতে অভিলাষ হয়, একখানি পুরাতন বস্ত্র দিন । এইরূপে বারাণসী তীর্থে ভক্তগোষ্ঠি সঙ্গে সনাতন পরিচয় লাভ করিয়া আনন্দিত হইলেন । সেখানে দাক্ষিণাতবাসী এক দ্বিজ বাস করিতেন। তিনি বলিলেন, সনাতন, তুমি যত দিন কাশীতে থাকিবে, অামার বাটীতে তোমার নিমন্ত্রণ থাকিল । সনাতন বলিলেন, আমি মাধুকরী করিব, ব্রাহ্মণের গৃহে স্থল ভিক্ষা গ্রহণ করিব। না । সনাতনের বৈরাগ্য দেখিয়া চৈতন্য অপার আনন্দ লাভ করিলেন । কিন্তু সনাতনের গাত্রে ভোট কম্বল রহিয়াছে, বহু মূল্য ভোট কম্বল বৈরাগ্যের পক্ষে অবৈধ; এজন্য চৈতন্য বারম্বার কম্বলের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। সনাতন শ্রীচৈতন্যের মনের ভাব অবগত হইয়। ভোট কম্বল তাগের পন্থা অন্বেষণে প্রবৃত্ত হইলেন । দেখিলেন, একজন বঙ্গদেশীয় বৈষ্ণব গঙ্গাতীরে একখানি র্কাথা শুকাইতে দিয়াছে। সনাতন উক্ত বৈষ্ণবকে কম্বল দিয়া তাচার কাথাখানি চাহিয়া লইলেন । সনাতনের গাত্রে কন্থা দেখিয়া চৈতন্য

  • পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে রূপ সনাতন মুসলমান রাজার দাসত্ব করাতে কিয়ৎ পরিমাণে মুসলমান ভাবাপয় হইয়। পড়িয়াছিলেন । দাড়ি গোপ রাখা তখন এদেশে হিন্দুদের মধ্যে সাধারণতঃ প্রচলিত ছিল না। এই জন্য চন্দ্রশেখর আচার্য্য বঙ্গি দ্ব"ারে প্রথমে সনাতনকে দেখিয়া হিন্দু সন্ন্যাসী বলিয়া চিনিতে পারেন নাই ; দরবেশ ফকির মনে করিয়া ছিলেন ।