পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ზახ^ე مستعم-e---------- مــیـــص سمت মিলন, অসংশয়রূপে “তুমি আমাতে, আমি তোমাতে’ এই ভাব । দিব্য জ্ঞান বিশ্বাসের জনক । ভক্তি তাহার সখী । শান্তি বিশ্বাসের দুহিতা। এবং মুক্তি তাহার পরিচারিকা । বিশ্বাস স্পর্শমণি । উহার স্পর্শে মলিন জীবন উজ্জ্বল এবং সুবর্ণাভ হইয়া উঠে । সংশয়বিহীন জ্ঞান, আচল ধৈর্য্য, গভীর সন্তোষ, প্রকৃত বিনয়, অতুল আনন্দ, অপ্রতিহত উন্নতি এবং অমানুষ সহিষ্ণুতা এই গুলি বিশ্বাস-বৃক্ষের ফল । বিশ্বাস আলাউদিনের দীপ । উহার সাহায্যে এক রজনীর মধ্যে মহৎ এবং অত্যাশ্চর্য্যজনক ব্যাপার সংঘটিত হয়। বিশ্বাস স্ববর্ণের “জীয়ান কাঠি” । উহার স্পর্শমাত্রেই মনুষ্য নবজীবন লাভ করে,মৃত অস্থির মধ্যে জীবন সঞ্চারিত হয়, “Creates a soul under the ribs of Death.” বিশ্বাস স্বগের চাবি । এই “Open se same” অতি সহজে ভগবানের “খাশ দরবারের” দ্বার উদঘাটিত করে। বিশ্বাস-সাধনই সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ সাধন। উহা ধৰ্ম্মজীবনের পরিণতাবস্থা ও চরম সীমা । সাধক ধৰ্ম্মজীবনের গুহানিহিত গভীর তত্ত্বানুসন্ধান করিয়া অবশেষে বলিয়াছেন, “বিশ্বাসে পাইবে বস্তু তর্কে বহু দূর ” ধ্রুব প্ৰহলাদের অল্পকালের মধ্যেই সিদ্ধিলাভের গুঢ় রহস্যের মীমাংসা বিশ্বাসশাস্ত্রেপাঠ করা যায়। ধৰ্ম্মশৈলের উচ্চ শিখরে আরোহণ করিবার উহাই সুগম vict, “Royal road.” বিশ্বাস সিদ্ধির ঝুলি। উহার মধ্য হইতে যাহা চাহিবে তাহাই পাইবে । বিশ্বাস মুক্তি লাভের বীজ-মন্ত্র। সাধুত স্বয়ম্বর হইয়া বিশ্বাসকে পতিত্বে বরণ করে । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ७२ कन्न, 8 छान রোগের অমোঘাস্ত্র বৈদ্যশাস্ত্রোক্ত তৈলসমূহের মলাযুক্ত “কাও” যেমন সুফল প্রদান করে, তেমনি বিশ্বাস অন্ধ ও জ্ঞানহীন, অতএব মলিন হইলেও মানব আত্মার অশেষ প্রকার ব্যাধির পক্ষে ব্ৰহ্মাস্ত্রস্বরূপ । জ্ঞানহীন অন্ধ বিশ্বাস স্বগের দিকে উঠিতে উঠিতে “হাওয়াইয়ের” ন্যায়, যেন, অৰ্দ্ধ পথ হইতে অধোমুখ হয় । ক্ষীণবিশ্বাসীও সহজেই উল্কার ন্যায় উচ্চ দেশ হইতে ধরণীর ধূলির উপর পতিত হয় । কিন্তু গ্ৰহতারক নিম্প ভ হইতে পারে, সূৰ্য্যমণ্ডল কক্ষ্যচ্যুত হইতে পারে, তথাপি যথার্থ বিশ্বাসে র্যাহার আত্মা প্রতিষ্ঠিত, তিনি ধৰ্ম্মভ্ৰষ্ট হইতে পারেন না । গণিত-শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত বিশ্বাসের নিকট ব্যর্থ হইয়া যায়। অংশ সমগ্র ভাগ অপেক্ষা গুরুতর এবং মহত্তর হয়। সমগ্র পৃথিবী সমবেত হইলেও একজন লুথারের সমকক্ষ হইতে পারে না । বিশ্বাসী দেখেন যে আত্মা-বিন্দুর মধ্যে অনন্ত নিহিত রহিয়াছেন । বিশ্বাসী বলেন “One is the all, and the all is naught.” আধ্যাত্মিক জগতে সংসার ও তাহার ছায়া অবিশ্বাস, আত্মা এবং পরমাত্মার মধ্যবর্তী হইয়া “ব্রহ্মগ্রহণ” ঘটায়। বিশ্বাসীর জীবনে সৰ্ব্বগ্রাস হইতে পায় না, কিন্তু ক্ষণস্থায়ী আংশিক গ্রহণ হয়। বিশ্বাসযোগী স্থলিতপদ হইলেও, অচিরে অনুতাপ-যষ্টি অবলম্বনে দণ্ডায়মান হইতে সমর্থ হয়েন । মহীরাবণ যেমন ভূমিষ্ঠ হইবামাত্র ভীষণ সমরে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, সেইরূপ বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করিবামাত্র রিপুদলের সহিত সংগ্রামে নিযুক্ত হয়। বিশ্বাস-অণুবীক্ষণের সাহায্যে পরমা