পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ১৮১২ বিশ্বাস MAAASAAAAASA SSASAS SSAS ত্মাকে নিকটতর, উজ্জ্বলতররূপে দর্শন করা Sb-% η αμομμμα আকাশগর্ভে জ্যোতির স্রোতে ডুবিয়া যায়। বিদ্যা বল, বুদ্ধি বল, বিশ্বাস ব্যতীত কিছুতেই সেই ধ্রুবতারাকে তেমন স্পষ্টরূপে প্রত্যক্ষ করা যায় না । বিশ্বাস-তাড়িতের সাহায্যে এক দণ্ডেরও জন্য যদি আত্মার আবিশ্বাসরূপ বাতব্যাধিকে তাড়াইতে পারা যায়, তাহা হইলে, আর আত্মার কোন ভয় থাকে না, শীঘ্ৰ বা বিলম্বে আত্মা সম্পূর্ণ স্থস্থতা লাভ করিবেই করিবে । স্ব ভাব-পক ফল যেমন অধিকতর সুমধুর, তেমনি সহজ, অহেতুক বিশ্বাস চেষ্টালব্ধ বিশ্বাস অপেক্ষা জীবনকে অধিকতর স্থস্বাদু করে। প্রকৃতির নিবার হইতে যে জীবন-স্রোত স্যন্দিত হয়, তাহার বারি যেমন মনুষ্যপ্রযত্নকৃতকৃপবারি অপেক্ষা অধিকতর শান্তিপ্রদ ও বলদায়ক সেইরূপ সহজ বিশ্বাস, সাধনা-প্রসূত বিশ্বাস অপেক্ষা অধিকতর শান্তিপ্রদ ও বলদায়ক । বিশ্বাস-আসি যতই জীবন-সমরে ব্যবহৃত হয়, ততই উহা সুতীক্ষ্ণ ও সমুজ্জ্বল হয় । বিশ্বাস সম্মুখ-যুদ্ধের আয়োজন দেখিয়া ভীত হয় না । মহাকবি মিণ্টন কহিয়াছেন, “বিশ্বাসীকে আক্রমণ করিলেও, আঘাত করা যায় না ; অন্যায়রূপে হঠাৎ স্তম্ভিত করা যায়, কিন্তু উহার স্বাধীনতা হরণ করা যায় না ; বস্তুতঃ অমঙ্গলকারী যদ্বারা ‘বিশ্বাসীর বিশেষ অনিষ্ট সাধন করিবার অভিলাষ করে, তাহাই শুভ-পরীক্ষাতে বিশেষ গৌরবের কারণ হয়—যদি ইহা নস্যাৎ হয়, তবে ঐ উৰ্দ্ধস্থ নভোমণ্ডল কিছুই নহে, এবং পৃথিবীর ভিত্তি শস্যদণ্ডের উপর স্থাপিত।” সূর্য্যোদয় হইলে নক্ষত্রদল যেমন যায়, তেমনি প্রকৃত বিশ্বাসোদয় হইলে জ্ঞানের রশ্মি কোথায় লুকাইয়া যায়। দুৰ্ব্বলকে রোগ, এবং ভীরুকে ভয় যেমন চাপিয়া ধরে, অবিশ্বাসীকে পাপ তেমনি চাপিয়া ধরে ; সে “কম্বল’ পরিত্যাগ করিতে অভিলাষ করিলে ও “কম্বল” তাহাকে পরিত্যাগ করে না । সংসারভুজঙ্গ অবিশ্বাসীর আত্মাকে গ্রাস করিবার জন্য মুখব্যাদান করিয়া থাকে, সুযোগ পাইলেই তাহাকে উদরসাৎ করে । শীতপ্রধান দেশে প্রাণ-সংহারক তুষার যেমন প্রচণ্ড সূর্য্যের উত্তাপে দ্রবীভূত হইয়া যায়, তেমনি বিশ্বাসের প্রখর কিরণের নিকট পাপ অধিক কাল স্থিতি করিতে পারে না । বিশ্বাস ধৰ্ম্মজীবনের অতুল সহায় । সামান্য সাংসারিক বিষয়ে ও উহা ভুবনবিজয়ী । যে ব্যবসায়ী সমাজের বিশ্বাস আকর্ষণ করিতে পারেন, তিনিই ব্যবসার উদ্দেশ্য সর্বাপেক্ষ স্বন্দরব্রুপে স্বসিদ্ধ করিতে সমর্থ হয়েন । এই বিশ্বাস-রূপ মূলধন বাণিজ্য-ব্যবসায়েতে সৰ্ব্বাগ্রে প্রয়োজন, এবং ইহা বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না যে, উহা বাণিজ্যে সিদ্ধিলাভের মূলমন্ত্র । জ্ঞান আত্মাকে কেবল পথ প্রদর্শন করে, গতি-শক্তি প্রদান করিতে পারে না । বিশ্বাস পথও দেখাইয়া দেয়, এবং তাছার সঙ্গে সঙ্গেই চলিবারও শক্তি প্রদান করে । মানব আত্মা জীবন-সমুদ্রে পথভ্রান্ত হইলে, বিশ্বাস-চুম্বক উত্তর পথ নির্দেশ করিয়া দেয় । বিশ্বাসবক্স দুর্গম হইলেও সরল । “দুর্গম পথস্তৎ কবয়ে বদন্তি ।” এই পথে তাড়কা-ভয় অাছে সত্য, কিন্তু আচল