পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ترانتراخ সরল বিশ্বাসের অভেদ্য কবচে আত্মা বৰ্ম্মিত রহিলে, এই দুর্গম পথও সুগম ও সহজ হইয় উঠে । বহুশাস্ত্রানুশীলন কর, বা বহুজ্ঞান-পটে আত্মাকে বিভূষিত কর, সামান্য পরীক্ষা-বায়ু উত্থিত হইবামাত্র কোথায় তাহা উড়িয়া যাইবে । পরীক্ষা ও প্রতিকূল রিপূবায়ুর বিরুদ্ধে অগ্রসর হইতে হইলে বিশ্বাসের আয়স অঙ্গত্রাণে আত্মাকে আচ্ছাদিত করিতে হইবে । বিশ্বাসের পথে চলিতে চলিতে অবিশ্বাসের নদী হঠাৎ উপস্থিত হইলে, আশা-তরণী অবলম্বনপূর্বক কৃপাপবনের সাহায্যে উহা উত্তীর্ণ হইতে হইবে । সময়ে সময়ে আত্মা-বিহঙ্গ স্বগের দিকে যাত্রাকালে প্রবল মোহঝটিকার আঘাতে ছিন্নপক্ষ হইয়া অধোদেশস্থ সংসারক্ষেত্রে নিপতিত হয় । তৎপরে ঘনজাল অপসারিত হইলে, ঝটিকা উপশমিত হইলে, অস্তর্দেশে শান্তি সংস্থাপিত হইলে, পুনরায় সে আশাপূর্ণ হৃদয়ে বিশ্বাসের বলে অমৃতধামের দিকে উঠিতে সক্ষম হয়। এই সময়ে আশা ও বিবেকরূপ দুইটা পক্ষ হারাইলে আর সে উঠিতে পারে না । বাস্পত্রয়ের সংযোগে যেমন প্রাণবায়ুর উৎপত্তি হয়, তেমনি জ্ঞান, প্রেম, ভক্তি উপকরণত্রয়ের মিলনে বিশ্বাস উৎপন্ন হয়। সূক্ষরূপে দেখিতে গেলে, উহাদের সকলেরই কিয়ৎ পরিমাণে সাধারণ উপকরণ আছে । প্রথমতঃ তোমার সহিত পরিচয়,অৰ্থাৎ তোমার বিষয় জ্ঞান তৎপরে তোমার চরিত্রের শোভনাংশ দৃষ্টিগোচর হইলে প্রেম, এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বাসের অঙ্কুর জন্মে। তাহার পর তোমার মাহাত্ম্যজ্ঞানপ্রসূত ভক্তি। অবশেষে, ঘনীভূত বিশ্বাস। প্রথম হইতেই দেখা যায় তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

२ पै छ s ७ेर्न

ற যে, আত্মার গর্ভে জ্ঞানের সঞ্চার হওয়ার সময় হইতেই শুক্লপক্ষের শশাঙ্কের ন্যায় বিশ্বাস ক্রমশই বৃদ্ধি ও পুষ্টিলাভ করিতে থাকে, যতদিন না, আত্মা পূর্ণগর্ত হইয়া সংশয় ও কলঙ্কবিহীন দিব্য বিশ্বাস প্রসব করে | ডুবুরী যেমন সমুদ্রের মধ্যে ডুবিয়াও জীবিত থাকে, বিশ্বাসী তেমনি সংসারের মধ্যে নিমগ্ন হইয়াও আত্মাকে সুস্থ ও জীবন্ত রাখিতে পারেন। বিশ্বাসী সংসারের অন্তরে থাকেন । কিন্তু সংসার তাহার অন্তরে থাকে না । তিনি সংসার হইতে অন্তরে থাকেন। র্তাহার মুখ ব্রহ্মের দিকে । তাহার পশ্চাদ্ভাগ সংসারের দিকে। র্তাহার সম্মুখে অমৃতধাম, পশ্চাতে সংসার-প্রবাস । তাহার আত্মা সংসারের উপরে নভোমণ্ডলস্থ তারকার ন্যায় স্বতন্ত্র witz Woosta Eta, “Like a star dwells apart.” এক বিন্দু বীজের মধ্যে যেমন প্রকাণ্ড পাদপ নিহিত থাকে, তেমনি বিশ্বাসকণার মধ্যে মহৎ ধৰ্ম্মজীবন লুক্কায়িত থাকে। মেঘ যেমন শিশির-বর্ষণ দ্বারা তরুরাজি, পুষ্পলতাগণকে প্রফুল্ল এবং পরিপুষ্ট করে, বিশ্বাস তেমনি আশা-শিশিরদানে শুষ্ক ও ম্ৰিয়মাণ আত্মা-প্রসূনকে প্রফুল্ল এবং মঞ্জরিত করে । বিশ্বাসীর আত্মা প্রাতঃসমীরে দোদুল্যমান শিশিরস্নাত পুষ্পের ন্যায় উৎফুল্ল এবং রমণীয়। ংসারের “আওতা” বিশ্বাস-তরুকে ক্ষপ্তি পাইতে দেয় না। সংসারের উত্তপ্ত প্রচণ্ড “লু” বহিলে বিশ্বাসের কোমল অঙ্কুর ও পল্লব ঝলসিয়া যায়। মোহের ক্ষীণ পবন বহিবামাত্র অবিশ্বাসীর আত্মা-গৃহ টলিয়া পড়ে, চর্ণ বিচূর্ণ হইয়া যায়। কিন্তু প্রলয়-ঝড় উঠিলেও