পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t* > ア)* Sఏ -+++=s - - জীবন চরিত্র কিন্তু দেখিতে পাই আমাদের মুসলমানের

  • -- * - - - - - - - - --- - - - _

ബ= করযোড়ে বলিতে লাগিল যে হুজুর মাপ করুন। সেই মুদি ও হিন্দু। সেই মুদি তাছাদের সম্মুখে আসিয়া বলাতে তাহার। সেই মুদিকে ও মারিতে আরম্ভ করিল এবং মার খাইতে খাইতে সেই মুদি ও অজ্ঞান হইয়া পড়িল । শিবনারায়ণ তৎকালে সেই দোকানে । উপস্থিত ছিলেন । তিনি এই সমস্ত ঘটনা । দেখিয়া হিন্দুদিগকে মনে মনে ধিক্কার দিয়া মুসলমানদিগকে ডাকিয়। প্রীতি পূৰ্ব্বক উভয় পক্ষকে শান্তভাবে বুঝাইতে লাগিলেন যে, তোমরা বিচাব পূর্বক গম্ভীর ভাবে বুঝিয়া দেখ তোমরা কে ? না বুঝিয়া পশুবৎ তোমরা বিবাদ করিয়া মরিতেছ। দুইজনের মধ্যে কাহার ও শান্তি নাই এবং তোমরা এমন বিচার করিয়া দেখ না যে মুসলমান বস্তুটা কি ? : লাল, কাল, হরিদ্র না পীত বর্ণ ? হাড় চামড়া না মাস ? যদ্যপি তকচ্ছেদ করাকে মুসলমান বল তবে তাহা যথেষ্ট নহে । প্রথমে তো সকলেই হিন্দু হইয়া জন্মিয়াছ । হিন্দুরাই তোমাদের আদি বীজ । তাহা তো তোমরা প্রত্যক্ষ জান । তাহাদের তবে কেন তোমবা দেখিয়া জুলিয়া মর। আর ঐ গরিব ব্রাহ্মণদিগকে বিনা অপরাধে কেন মারিয়া অনর্থক কষ্টদিলে। যদ্যপি তাহাদের বল থাকিত তাহা হইলে তোমাদের যদি উহার। মারিত তাহা হইলে তোমাদের কত কষ্ট হইত। সকলেই তো খোদার অর্থাৎ পরব্রহ্মের স্বরূপ। মারপিট এরূপ করিতে নাই, বিচার করিয়া শান্তভাবে চলিতে হয়। মুসলমান দুই জন বলিলেন আপনি যথার্থ বলিতেছেন মহারাজ, আমরা কি করিব যেমন মৌলবীরা বলিয়া দেয় আমরা সেইরূপ করি। আমরা জানি যে হকের নাম মুসলমান, মধ্যে কত জন মিথ্যা বলিতেছে কিন্তু অtমর ঠিক জানি না, যে কাহাকে মুসলমান বলে । অনন্তর শিবনারাযণ সিন্ধু নদী পার হইয়। পেশওয়ারে যাইলেন । পেশওয়ার কেল্লার সম্মুখে একটা কৃপ আছে। সেই কূপের নিকটে তিনি বিশ্রাম করিলেন । সেইখানে বাগানে একট। কুণ্ড আছে। সেখানে একজন ব্রহ্মচারী থাকিতেন । সেই ব্রহ্মচারী আসিয়া শিবনারায়ণকে বলিলেন, যে আপনি রাত্রিতে এখানে থাকিবেন ন। সহরেতে যাইয়। থাকুন, যদ্যপি এখানে থাকেন তাহ হইলে মুসলমানেরা আসিয়া আপনার গলা কাটিয়া ফেলিবে, নতুবা শুনুর করাইয়। মুসলমান কন্যার সহিত বিবাহ দিয়া দিবে, জাত মারিয়া ফেলিবে । আমরা দিবসে এখানে থাকি, রাত্রিতে সহরের মধ্যে থাকি, এবং ইংরাজদিগকে দিবসে সিপাহীরা পাহারা দেয়, রাত্রি হইলে কপাট বন্ধ করিয়া রাখে । নতুবা উহাদিগকে বাহিরে পাইলে কা টিয়া ফেলে। শিবনারায়ণ বলিলেন যে, আমি সকল জাতি অপেক্ষ নিকৃষ্ট । সকল জাতি আমাতে প্রবেশ করিবে, যেরূপ সমুদ্রেতে সকল নদীর জল যাইয়া পড়ে সেইরূপ। শিবনারায়ণ এই কথা ব্রহ্মচারীকে বলিয়া রাত্রিতে সেইখানে বিশ্রাম করিলেন । বিশ্রাম করিয়া সেখান হইতে কাবুলের দিকে দুই তিন দিনের পথ যাইয়। সেখানকার অবস্থা দেখিয়া প্রত্যাগমন করিলেন। পরে পেশোওয়ার হইতে পঞ্জাবাভিমুখে গমন করিলেন । তথায় এক গ্রামের বাহিরে বৃক্ষের তলায় বসিয়া ছিলেন । সেখানে একজন হিন্দু মুদির দোকান ছিল। সেই গ্রামের